পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ol

  1. ায় সবাই মুসলমান, কারণ তাহারাই জগতে, ভারতে ও জে শিক্ষায় অগ্রণী ও অগ্রসরতম—দাজিলিঙে খসড়াটা পালিশ করিতেছেন, তাহাতে শান দিতেছেন । গবষ্মেণ্ট কয়েক বৎসর হইতে বঙ্গের উচ্চ বিদ্যালয়গুলির সংখ্যা কমাইতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছেন ; কিন্তু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাদিগকে প্রবেশিক পরীক্ষার জন্ত শিক্ষা দিবার , ও ছাত্রছাত্রী পাঠাইবার যোগ্য বা অযোগ্য বলিয়া নিৰ্দ্ধারণ করিবার মালিক থাকায় গবশ্লেষ্ট নিজ উদ্বেত সাধন করিতে * পারেন নাই। এখন নূতন আইন করিয়া মাধ্যমিক শিক্ষার ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলির কর্তৃত্ব একটা বোর্ডের হাতে দেওয়া হইবে। বোর্ডটা শুধু শিখণ্ডী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে অভিযান শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টরই চালাইবেন । উচ্চ বিদ্যালয়গুলির অধিকাংশ বেসরকারী, দেশের লোকের টাকায় চলে । কিন্তু তাহদের উপর সরকার প্রভুত্ব করিতে চান । অনেকগুলি বেশ কেজে নয়, সত্য। কিন্তু যথেষ্ট টাকা দিলেই কেজো হয় । সরকার তাহা করিবেন না, অনেকগুলিকে উঠাইয়া দিবেন। দুভিক্ষের সময় দরিদ্র দেশবাসীরা সামান্য পরিমাণে মোটা ভাতনিরশ্নদিগকে দিলে যদি কেহ বলে, “এটা ঠিক নয়, আমি কতকগুলি লোককে রাজভোগ দিব, তোমাদের মোট ভাতের অন্নসত্র উঠাইয়া দিব—ওরকম খারাপ খাদ্য লোককে দেওয়া উচিত নয়,” তাহ হইলে ব্যবহারটা যেমন হয়, শিক্ষাদুভিক্ষগ্রস্ত এই দেশে অকেজোত্বের ওজুহাতে বহু বিদ্যালয় উঠাইয়া দেওয়াও সেইরূপ।

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকাতে যে মাতৃভাষাকে বাহন করিয়াছে, সে ব্যবস্থা মাধ্যমিক শিক্ষাবোড সম্ভবতঃ সরকারী হুকুমে রদ করিবে। সম্পূর্ণ রদ যদি না-ও করে, তাহা হইলেও, যে-সব বাংলা বহি চলিবে, বঙ্গসাহিত্যে ও বঙ্গভাষায় অপ্রচলিত বহু আরবী-ফারসী শব্দে তাহা কণ্টকিত করা হইবে । মুসলমানপ্রধান মন্ত্রিসভা ও শিক্ষাবিভাগ “হিন্দু" বাংলা ভাষা বরদাস্ত করিবে না । আরও কি কি অনিষ্ট বিলটার দ্বারা হইতে পারে, তাহা পরে লিখিব, এখন সংক্ষেপে বলা চলিবে না। বাংলা দেশে উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা বড় বেশী এবং বড় বেণীসংখ্যক ছেলেমেয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করে, এই ধারণাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বর্তমান বৎসরে পঞ্জাবে ماهی، به عمحتیم প্রবণসী $$888 প্রবেশিক ও তত্ত্বল্য পরীক্ষায় ২২৪৬৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭১৬৩ জন উত্তীর্ণ হইয়াছে, বঙ্গের লোকসংখ্যা পাচ কোটির অধিক, পঞ্জাবের লোকসংখ্যা আড়াই কোটির কম। অতএব, বঙ্গে অনূ্যন ৪৫,০০০ ছাত্রছাত্রীর প্রবেশিক পরীক্ষা দেওয়া উচিত। তাহা দেয় কি ? রেলের তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া বৃদ্ধি এই দুর্ভাগ্য দেশে সরকারী ব্যয় সঙ্কোচ বা আয় বুদ্ধি করিতে হইলে দরিদ্রের উপরই কর্তৃপক্ষের অনুগ্রহদৃষ্টি আগে পড়ে। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্বে তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া বাড়াঙ্গয়া দিয়াছেন। প্রতিবাদ অরণ্যে রেদিল । — কৃষ্ণকুমার মিত্রের চিত্র প্রতিষ্ঠা গত মাসে সিটি স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রগণ বিদ্যালয়ে স্বৰ্গত কৃষ্ণকুমার মিত্রের চিত্র প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন । সাহিত্যাচাধ্য হেরম্বচন্দ্র মৈত্রেয় মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করেন । অমৃতবাজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদকীয় লেখক শ্রযুক্ত মৃণালকান্তি বস্থ, কলিকাতার ভূতপূৰ্ব্ব মেয়র শ্রযুক্ত সস্তোয কুমার বসু, বঙ্গীয় রাষ্ট্রপরিষদের সভাপতি মাননীয় শযুক্ত সত্যেন্ত্ৰচন্দ্র মিত্র, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত দেবপ্রসাধ ঘোষ, আনন্দবাজার পত্রিকার বাণিজ্য-সম্পাদক শ্রযুক্ত যতীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য, প্রবাসী-সম্পাদক প্রভৃতি মিত্র মহাশয়ের ভগবস্তুক্তি, দেশসেবা, সত্যনিষ্ঠ, নিৰ্ভীকতা, যশস্পহার অভাব প্রভৃতি বিষয়ে বক্তৃতা করেন। দীর্ঘ গ্রীষ্মাবকাশে ছাত্রছাত্রীদের কাজ দীর্ঘ গ্রীষ্মাবকাশে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্রাম ও খেলাধূলার দ্বার স্বাস্থ্যের উন্নতি করিতে পারিলে তাহা সন্তোষের বিষয় হইবে । সঙ্গে সঙ্গে তাহার দেশের দরিদ্র জনসাধারণের সহিত মিশিয়া তাহাদের প্রকৃত অবস্থ উপলব্ধি করিতে পারিলে তাহাজের ভবিষ্যৎ কৰ্ম্মজীবনে তাহা কাজে লাগিবে এবং বর্তমানেও সমগ্র জাতির সকল শ্রেণীর লোকদের মধ্যে সম্ভাব ও সংহতি বৃদ্ধি পাইবে। প্রত্যেক ছাত্র ও ছাত্রী এই দীর্ঘ অবকাশে দুই-এক জন করিয়া নিরক্ষর লোককে লিখিতে পড়িতে শিখাইয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করুন। তাহা স্বসাধ্য।