বৈশাখ ঋষিকাহিনী ও ঋষিপস্থা f ఫ్ఫి দেহাস্তেও চলতে থাকে। কোন লোকে, কোন ভোগে, মুক্তাত্মার অনধিকার নাই, সকলই তার আয়ত্ত। ইক্স এই রূপে আত্মতত্ত্ব শিক্ষা করে দেবলোকে চলে গেলেন। সেখানে এলেন রাজা দিবোদাসের পুত্র প্রতদন। তার যুদ্ধকৌশলে প্রীত হয়ে তাকে ইস্র বরস্বরূপ আত্মতত্ব শিক্ষা দিলেন। যে তত্ত্ব এই সেদিন নিওহিগেলিয়ান দার্শনিকের পাশ্চাত্য জগৎকে শিখিয়েছেন, সেই তত্বই অন্ততঃ তিন হাজার বছর আগে এদেশে রাজধির ইন্সের মুখ দিয়ে শিখিয়েছিলেন। ইন্দ্র প্রজ্ঞানকে বললেন, মানুষের পরম শ্রেয় আমাকে জানা। "আমাকে’ অর্থ ‘শাত্মাকে । মাত্মার ছুটে দিকৃ, জ্ঞেয়ু ও জ্ঞাত, বিষয় ও বিষয়। ইন্দ্র এদের বলেন ‘ভূতমাত্রা ও প্রজ্ঞামাত্রা'। অজ্ঞানী এই দুটাে দিককে দুটো পৃথক বস্তু মনে করে, সে জানে না, বোঝে না, ষে একটাকে ছেড়ে অার একটা অর্থহীন অসম্ভব। এই জেরুজ্ঞাতৃরূপ আত্মাই একমাত্র cif; fofa (concrete reality), na foto frio নেই । দেশকালের সীমার দিক থেকে দেখলে একে বলতে হয় সসীম। কিন্তু সসীম অসীমকে ছেড়ে থাকতে পারে না। সসীমের ভিতরে অসীম, অসীমের ভিতরে সসীম রয়েছে। বিষয়-বিষয়ীর মূল কখা সসীমঅসীমের এই ভেদাভেম্ব। প্রত্যেক জ্ঞানক্রিয়ায় সসীম অসীমকে জানেন, অসীম সসীমকে আত্মপরিচয় দেন। উাদের পরম্পরের সম্বন্ধ আচ্ছেদ্য, অবিনাশ । খা হোক, এই যে ঘটে। ঋষিকাহিনী বললাম-প্রথম প্রজাপতি ও ইঙ্গ-বিরোচন-সংবাদ, আর দ্বিতীয় ইক্স-প্রতঙ্গন-সংবাদ, এই দুটোঙে মারণি ও ধাজ্ঞবল্ক্য আর তাদের অম্বুবত্নী পিপ্পলা, মুণ্ডক ও মাতুক্যের নিৰ্ব্বিশেধ অদ্বৈতবাদের মূল ভ্রম দেখান হয়েছে । আরও তিনটি কাহিনী আছে যেগুলিতে এই মূল ভ্রমের ফল,-ঈশ্বরের প্রেম ও জীবাত্মার অমরত্ব অস্বীকার,—এই দুই মতের ভূল দেখান হয়েছে। এই তিনটি আখ্যায়িকাতেই গুরু হচ্ছেন এক এক জন রাজর্ষি, আর শিক্স হচ্ছেন নিৰ্ব্বিশেষ অদ্বৈতবাদের প্রবর্তৃক আরুণি। প্রথমটি আছে, ছামোগ্যের পঞ্চমাধ্যাম্বে, দ্বিতীয়টি বৃহদারণ্যকের ধষ্ঠাধ্যায়ে, আর তৃতীখট কৌষীতকির প্রথমাধ্যায়ে। আরণির পুত্র শ্বেতকেতু পিতার প্রতিনিধি রূপে ব্লাজধিদের ধজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়েছিলেন। রাজৰ্ষিরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি পিতার কাছে ব্ৰশ্ববিদ্যায় শিক্ষালাভ করেছেন কি না। শ্বেতকেতু বললেন, শিক্ষালাভ করেছেন । কিন্তু প্লাজষিরা উাকে পরলোক সম্বন্ধে যে সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি সে সকলের छेद्धव्र भिt७ भाग्नालन न 1 डिनि निडाग्न निकाँ निts নিজের অসম্পূর্ণ শিক্ষা সম্বন্ধে অভিযোগ করলেন। পিতা বললেন শ্বে স্লাজমির যে-সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, তিনি নিজেই সে-সকলের উত্তর জানেন না। আরুণি তখন রাজর্ষি প্রবাহণ ও চিত্রের নিকট গিয়ে ঠাম্বের কাছে পরলোকতত্ত্ব শিক্ষা করলেন । এ-বিষয়ে কৌষীতকিতে চিত্র যা বলেছেন তাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট। জীবাশ্ম যে ইহপল্পকালে ক্রমশঃ নানা গুরের ভিতর দিয়ে জগুলোকের शिरक मर्षीं९ उष स अछ औयांक्षारशग्न अश्ऊि श्रद्दष्कृश যোগের দিকে অগ্রসর হয়, তা কৌষীতকির প্রথমাধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে। রূপকের ভাষায় বলা হয়েছে ব্ৰহ্ম শ্রুতি ও - মনোবৃত্তিরূপিণী দেবকামিনীদিগকে বলেন, তোমরা আমার মুশ নিয়ে ঐ সাধকের দিকে ধাবিত হও, অর্থাৎ আমার সম্মানে সম্মানিত ক’রে তাকে আমার নিকট নিয়ে এস। নিবিশেষ অদ্বৈতবাদী জীবের প্রতি কন্ধের এই ব্যস্ত প্রেম স্বীকার করেন না, অথচ বাজ্ঞবল্ব্যের সাক্ষ্মপ্রেম ব্যাখ্যা থেকে জীবের প্রতি ব্ৰহ্মপ্রেম নিঃসন্দিগ্ধ রূপে প্রমাণিত হয়। যাহোক, জন্ধের আদেশে পাচ শত দেবকামিনী নানা উপহার সহ সাধকের নিকট উপনীত হয়ে ঠাকে ব্ৰহ্মালম্ভারে অলঙ্কড় করেন। সেই সাজে সজ্জিত হয়ে সাধক অনায়াসে আর অর্থাৎ রিপু নামক হয়, ইষ্টহানিকর মুহূৰ্ত্ত অর্থাৎ অনর্থক সময় নষ্ট করা রূপ দোষ, বিজয়া নদী, ও ইল্যবৃক্ষ অর্থাৎ জগৎ সম্বন্ধে পাখিব ভাব, অতিক্রম করেন। ব্ৰহ্মলোকের নিকটবর্তী হয়ে তিনি ক্রমশঃ কক্ষগঙ্ক, ব্ৰক্ষরস, ব্ৰহ্মতেজ ও ব্রহ্মষশ সম্ভোগ করতে করতে হ্রদ্ধের সম্মুখীন হন। শ্রদ্ধকে প্রজ্ঞাৰূপ ধিব্য সিংহাসনে আসীন দেখতে পান । ব্ৰন্ধের সহিত তার দীর্ঘ কখোপকখন হুয়ু । ‘কোহপি –তুমি কে ? ব্ৰন্ধের এই প্রশ্নের উত্তরে সাধক বলেন—
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।