পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbٹاف ٹN —পরের ঘরে যায়ে ওর আর রাধতিও হবি নে,--আর এত কাল আমরা রা’ধেও খাই নি ! উষা কাঠালের বিচি মাখিয়৷ ভাগ করিতেছিল, মেজবে তাহাকে ধমক দিয়া কহিল—ভাগ করতিও শেখে। নি,ভটা-ওটা কার ভাগ হ’ল শুনি, -তোমার ছোটকাকীমার ? তোমার ছোট-কাকীমার অতটুকু হলি হয় নাfক,—অত এক ড্যাং ভাত গেল। হ'বে নে কেমন ক’রে শুনি ! মেজবৌয়ের স্বামীর উপার্জনের অল্প তাহাকে গঙ্গণ করিতে হয়—কিন্তু দুটি ভাত খাইতে দিয়া যে লোকে এমন করিয়া কথা শুনায়, তাহা ভাবিয়া স্বহাসের কান্না পাইতে লাগিল। ছেলেবেলায় মা বাপ হারাষ্টয়া গরিব পিসীর কাছে মানুষ হইয়াছে সে, কিন্তু ভাতের জন্তু কথা কোনদিন শুনিতে হয় নাই তার, বরং ক্লিসে দুটি ভাত বেশী করিয়া খাইবে চিরদিন সেই চেষ্টাই করিয়াছে পিণী । আজ সে ইহাদের কোন কাজ করিতে পারিল না--- তাহাদের দেওয়া অনাদরের অন্ন সে কি করিয়া গ্রহণ করিবে ? একটা মিথ্যা অমুখের অজুহাত দেখাইয়া সে এবেল উপবাস করিবে কি-না সেই কথাই সে ভাবিতেছিল, এমন সময় মুক্তি দিল আসিয়া মিত্তির-বাড়ীর মেয়ে স্বরম। আহলাদে গলিয়া পড়িয়া সে বলিয়া উঠিল, ওগো রায় বাড়ীর লোকজন, কেমন আছ সব ? তার পর স্বহাসকে দেখিতে পাইয়া, তাহার গলা ধরিয়া বলিল, এই যে ছোটগিল্পী,—এই দিক্ আ'সে দেখি, এক ঘড়া জল দাও, পায়ে যা কাদা লাগিছে তা এক ঘটির কাম না —বলিয়া তাহাকে টানিতে টানিতে উত্তরের ঘরে লইয়৷ গেল। যাইতে ধাইতে স্বহাস বলিল, কবে আ’লে ? আমি আবার ‘তুমি হ’লাম নাকি তোর – স্বরম বলিল—বলিয়া তার স্বডৌল হাতে একটি চিমটি কাটিল। মুহাসের মনটা হালকা হইয়া আসিতেছিল, এত দিন পরে মনের কথা বলিবার একটি লোক পাইয় সে যেন একটু বাচিয়াছে, সেও একটি দুষ্টামির কথা বলিতে যাইতেছিল এমন সময় মেজবোঁয়ের স্বর কানে গেল,-চললে ত!— জামারে একেবারে উদ্ধার করে গেলেই হ’ত—কেণ্ড আবার ভাত আগলায়ে বসে থাকবি ? প্রবাসী ১৩৪৪ স্বহাসের স্বচ্ছন্দ ভাব কাটিয়া গেল, স্বরমার বাহুমুক হইয়া দাড়াইম্বা সে বলিল, উষা, আমার ভাত কয়ড়া ঢা’পে রাখ, মা, আমি পরে খাবে। স্বরম তাহাতে আপত্তি কfরতে যাইতেছিল, কিন্তু সে আর কিছু বলিতে সুযোগ পাইল না, রান্নাঘর হইতে মেজবেীয়ের তীরের ফলার মত চোথা-চোখা কথা কা•ে আসিয় বিঁধিল, রাজরাণী আমাগারে-রাজরাণী হুকুম করতিছেন,—বুলি, কয়ণ্ড দাসী বাদী আছে আপনার গুনি ?--এক বাণী রাধে দিল, এক বাদী ঢা'কে রাখপেবাদষ্ট আবার রাণীর খাবারের জোগাড় করতি চলল । নায়ক। এ্যাহোন সষ্ট-সয়ল নিয়ে পীরিত করতি চললেন— তবু তোর সোয়ামীর অন্ন যদি খাতি হতো আমাগারে - বুলি--- নি-মায়েরের নায়ের বড় ঠাটা টেকির বাছি বড়— সেই বিত্ত্বাস্ত । পরের সোয়ামীর রোজগার থায়েত এই,-- নিঞ্জির সোয়ামীর রোজগার ঘদি থাত্তি, তালি ত ধবাবে সর জ্ঞানই করতি নে ! পরের মেয়ে সুরমা আঞ্জ এ-বাড়ীতে আসিয়াছে তাহণৰ সম্মুখে স্বহাস এতটা প্রত্যাশ করে নাই। স্বরমার সম্মুখে তাহাকে কটুক্তি করিলে অপমানটা সুরমারও কম করা হয় ন—মুহাস ফিরিয়া দাড়াইল। বড় ভাস্কর পশ্চিমের বারান্দায় শুষ্টয় আছেন, জবাবট এখান থেকে দেওয়া চলে ন, মুহাস রান্নাঘরের দিকে আগাইয়া আসিয়া বাক-বেড়৷ ছাড়াইয়া আসিল । কাল রাত্রিটা সুহাসের একেবারে ভাল কাটে নাই, এত দিনের সংযমের বাধ ভাসাইয়। মুহাসের মুখে কথার বান ছুটিল, দিদি, ঠাট টেকির বাছি বড়—এ কথা ঠিক, কিন্তু তাতে লাথি মা মারলি ত বাজে ন',-- নায়েরও আমার বড় না,--নায়ের থাকলি আর আপনাদের এখানে থা’কে লাথি ঝাঁট থা'তাম না,—দেণ্ডং আপনার রোজগার করতি পারে না, কিন্তু রোজগারেব তল্লাসেই ত এক বছর বাড়ীছাড়া। আপনারাষ্ট বলেন, বয়স তার এই বিশ ছাড়াল, এ-বয়সে আপনাগেরে গায়ের কোন ছেলেডী চাকরি করে ঘরে টাক জানতিছে শুনি ? আপনার সোয়ামীর রোজগার থা'য়ে