পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণাত্ত মহাষ্টমী \రి8్స ভাস্কর বাড়ীতে আসিয়াছেন, আজ তার দক্ষিণের ঘরে মেজবৌয়ের কাছে শোওয়া চলে না । কিন্তু উত্তরের ঘরের যা অবস্থা তাহাতে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকিতে গ ছমৃদ্ধ করে । কিছু দিন আগে বস্তায় কুমারের জলের ঢেউ লাগিয়া মেটে পোতা ধ্বসিয়া গিয়াছে, মাণিক একদিন কি খেলার জিনিষ খুজিতে আসিয়া এ ঘরে একটা শেয়াল দেখিয়া চীৎকার করিয়া উঠিয়াছিল । সেই প্রসঙ্গে শোনা গেল এতে আশ্চর্ধ হইবার কিছুই নাই, কারণ নদীর ওপারে জোকার চক্রবর্তী-বাড়ীর দক্ষিণের পোতার ঘরে বাঘ ও সাপ একসঙ্গে নিৰ্ব্বিবাদে বাস করিতেছে । বাঘটাকে এখনও কেই মারে নাই বটে, কিন্তু সেও কাহাকে কিছু বলে মাই—বদ্যায় সেও তার হিংসাবৃত্তি ভুলিয়া গিয়াছে । এ সংবাদ হোসেরও জানা আছে, কিন্তু তাই বলিয়া এক সে উ ওরের ঘরে থাকিতে সাহস করে না, কারণ পাধের চেয়ে হিংশ্র জীবও জগতে আছে । প্রথমে কথা ইঠল উষ। তাহার ছোটকাকীমার কাছে শুইবে, স্বীকারও সে করিয়াছিল, কিন্তু সন্ধ্যার আগে কেমন করিযু কে জানে তাহার মতটা হঠাৎ বদলাইয়া গেল। স্বহাস মনে মনে সত্যই একটু বিপদ গণিল । কিন্তু বিপদে ভড়কাহয় যাইবার মেয়ে সে নয়। ঘরের এক কোণে সাজানে কাঠালের বড় বড় পিড়িগুলি টানিয়৷ পূবসিয়া-যাওয়া ছিদ্রগুলি বন্ধ করিল, তক্তপোষের নীচের হাড়িগুলি ভাল করিয়া পরীক্ষা করিয়া ঘরে এক পাশে রাখিল কতক বা বারান্দায় বাহির করিয়া দিল । এক বছর পরে সে এ ঘরে শুইতে আসিতেছে—এ ঘরে শেষ শুইয়াছে সে গত বিজয়-দশমীর রাত্রে---পাশে ছিল তার স্বামী । আজ কাজ করিতে করিতে সেদিনের কথা তার কেবলই মনে পড়িতেছে, আর মনে পড়িতেছে তার বৈরাগীঠাকুরের কথাগুলি হেন শিশির বসন্তু, গ্রীষ্ম বরধারি অস্ত পঞ্চ ঋতুতে পঞ্চভূ-প্রায় হয়েছিলাম হেরিয়ে হইব ধন্য সেই মুখমণ্ডল । মা সে হয় নাই, কস্তার বিরহ সে জানে না, স্বামীর অদর্শন-যন্ত্রণ যে কি সে কথা ভাল করিয়াই সে জানে । সহসা তার মায়ের কথা মনে হইল, মা বাচিয়া থাকিলে সেণ্ড বুঝি তাহাকে দেখিবার জন্তু এমনি করিয়া পাগল হইয়। উঠিত ; তাহা হইলে মেজবৌয়েব এত কটুক্তি সে সহ করিত ন। মুহাস সত্যই বড় দুঃখিনী । স্বহাসের মনের অবস্থা ক্রমেই এমন হইয়া আসিতেছিল যে এখনই হযুত বিছান করা রাখিয়া তক্তপোষের এক কোণে বসিয়ু নির্জন ঘরে সে র্কাদিতে বসিয়া যাইবে, কিন্তু তাহা আর হইল না, শীতাস্থের দমক হাওয়ার মত প্রবেশ করিল সুরমা । —কই রে—কি কাপড় পালি তুই দেখি ! —কাপড়, কই পাই নি ত—তুমি শুনলে ক’লতে ? —চালাfক—এই উষা ধে ঘাটে বুলে আ'লে তোমার জরির বুটীদার নীলাম্বর আইছে—রাঙা রঙে মানাবি ভাল ? স্বহাস কোন উত্তর দিল না। সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে সুরমা প্রথমে লক্ষ্য করিতে পারে নাঙ্ক, এখন তাহার মুপের দিকে তাকাইয়ু বলিল, তুই কাদতিfছস না কি রে, আবার কি হ’ল তোর—এ-ঘরে বিছানা করতিছিস ক্যান ? —শোব —-মাহরি ? ভাস্কর ঠাকুর আহছেন যে, দক্ষিণিক ঘরে শোধ কেমন ক’রে ? --ভয় করবি না নে ? স্বহাস হাসিল,—ভয় করলি আর কি করব বল । সুরমা কহিল, আমি আজ আসে থাকপে, দুইএক দিন আসে থাকfত পারব—তার পরে কানের কাছে মুখ আনিয়া বলিল, উনি আসতিছেন কি ন ? মুহাস একটু হাসিয়া বলিল, তাই না কি, কবে ? মুহাসের মুখের দিকে চাহিয়া স্বরম বলিল, কিন্তু তুই কি আজকের ডাকেও কোন চিঠি পালি নে ? মুহাস বলিল, না ভাই একখান ছাড়া চিঠি আর ল্যাখেন নি। - —তোর কি মনে হয় পুজোতে তিনি আসপেন না ? —মিছে কথl ত তিনি আমার কাছে বোলেন নি,—