"पय् भाक्षा,ि शपथ् यनि সোহহমশ্মি",—তুমি আত্মা, তুমি я wiभि५ tण । অর্থাৎ “তোমার সঙ্গে আমি ভেদাভেদ ভাবে যুক্ত ।” তার পর সাধক উপাসনা নদীতীরে, পূৰ্ব্বাগত মুক্তাত্মাদের 'সহিত চিরবাস করতে ব্রহ্মের আদেশ লাভ করেন।
- ম চ পুনরাবৰ্ত্ততে, ন চ পুনরাবর্ততে” । ( ছাগোগা ৮৫১ ) সেখান থেকে অবিদ্যা ও স্বত্র কামন-যুক্ত সাংসারিক জীবনে তিনি আর ফিরে আসেন না । এই হ’ল ঋষিপন্থা। এই পন্থার সঙ্গে আমাদের অর্থাৎ আধুনিক ব্ৰহ্মবাদীদিগের পন্থার কি কোন পার্থক্য আছে ? মূলে আমি ত কোন পার্থক্য দেখি না। মূল সত্য সম্বন্ধে কালে কোন পার্থক্য হয় না। মূল সত্য নিত্য, অপৌরষেয় । কালপ্রবাহে অবাস্তর বিষয়ে পরিবর্তন হয়। মূল বিষয় অপরিবর্ধিত থাকে। কিন্তু নিত্য পুরাতন বস্তুও সাধককে সাধনশ্রমের দ্বারা আবিষ্কার করতে হয়। এই আবিষ্কারে - তা আবিষ্কারকার কাছে মৃতন বলে মনে হয়। জীবন্ত সাধকের কাছে নিত্য পুরাতন ব্ৰহ্ম দিনে দিনে, মুহূর্বে মুহুর্তে, নূতনৰূপে প্রকাশিত হন। যা হোক, ঋষিপন্থাটা আমি যা বুঝেছি, তা সংক্ষেপে পুনরুক্তি করে আজকের কাজ শেষ করি।
দেশে কালে প্রকাশিত জগৎ, ষে জগৎ আমরা দেখি, শুনি, স্পৰ্শ, আঘ্রাণ ও অস্বিাধন করি, যে জগৎ আমরা স্মরণ, বিচার ও চিন্তা করি, তাকে লোকে বলে গুড়জগৎ । ঋষিরা বলেন-- - "সৰ্ব্বং খলু ইত্থং ব্ৰহ্ম-নিশ্চয়ই এই সমস্ত জগৎ ব্ৰহ্ম। ( ছন্দোগ্য ৩১৪৷১ } ঋষির কেন এই অভূত কথা বলেন, তার আভাস আমি আমার প্রবন্ধে কতকটা দিতে চেষ্টা করেছি। যা কিছু আমরা জানি, যাকে ইঞ্জিয়গ্রাহ বিষয় বলি, তার সঙ্গে জ্ঞাতৃ আত্মাকে জানি, আত্মাকে তার সহিত সংযুক্ত বলেই জানি। অঙ্গরূপে জানা অসম্ভব। এসকল জানা বস্তুকে যখন স্বরণ করি, বিচার করি, চিন্তা করি, তখনও আত্মার । সহিত সযুক্ত ভাবেই স্বরণ, বিচার ও চিন্তা করি । অন্তরূপে পারণ, বিচার ও চিস্তা সম্ভব নয়। স্বতরাং প্রত্যেক জ্ঞান, স্মৃতি, বিচার ও চিন্তাতে আমরা যাকে নিজ আত্মা বলি প্রবাসী SN988 তাই বিবিধ বিজ্ঞান-সমস্থিত হ’য়ে প্রকাশিত হয়। বিশেষ বিশেষ দেশ ও কালে যা আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়, তা বিশ্বের অতি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু এই অংশকে আমরা বিশ্বের, সমষ্টি জগতের, ব্যষ্টি বা আংশিক প্রকাশ বলে ভাবতেই বাধ্য হুই । এরূপ ভাবনা ছাড়া আর কোন প্রকার ভাবনা সম্ভব নয়। সমষ্টি জগৎ ভাবতে গিয়ে আমরা আত্মাকে,যাকে নিজ আত্মা বলি সেই ছাত্মাকেই—সমষ্টি বা বিশ্বাত্মারূপে ভাবতে বাধ্য হই, অগুরুপ ভাবনা অসম্ভব। বিশ্বাত্মাই ব্ৰক্ষ, সৰ্ব্বtধার বৃহৎ বস্তু। ঋষির কেন “সৰ্ব্বং খলু ইদং ব্রহ্ম"— এই অদ্ভুত বাক্য বলেন, যে বাক্যকে বেদীপ্তের একটি “মহাবাকা" বলা হয়, তা এখন আপনার বুঝতে পারবেন। আমরা নিজ আত্মাকেই ব্ৰহ্ম ক'লে ভাবতে বাধ্য হই, একথা বুঝলে বেঙ্গাস্থের আর একটি “মহাবাক্যের" অর্থও আপনার বুঝতে পারবেন। সেটি হচ্ছে— “অয়যায়৷ ব্ৰহ্ম"--এই আত্মা ব্ৰহ্ম ( মাণ্ডুক্য ২ ) আরুণি শ্বেতকেতুকে যে অস্তুত বাকা বলেছিলেন, যেটি অার একটি বৈদাস্তিক “মহাবাকা",— “তত্ব অসি শ্বেতকোত" সেই বাক্যেরও এই অর্থ, এই হেতু । এই পৰ্য্যস্ত গেল নিৰ্ব্বিশেষে অদ্বৈতবাদ, ব্রহ্মধিদের অদ্বৈতবাদ। তার পরে আসছে বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ—রাজষিদের অদ্বৈতবাদ, ভেদাভেদ বা দ্বৈতাদ্বৈতবাদ । এতেও এক অথও সৰ্ব্বাধীর পরব্রহ্মই স্বীকৃত হন, কিন্তু তিনি নিৰ্ব্বিশেষ নন, নিবিধ নন। এক অখণ্ড অনন্ত ব্রহ্মের কাছে কিছুই অজ্ঞাত নয়, গুপ্ত নয় । কিন্তু জীবাত্মার জীবনে জ্ঞান-অজ্ঞানের, স্মৃতি-বিস্মৃতির, নিদ্রা-জাগরণের, শ্বশ্ব সৰ্ব্বদাই চলছে। এই দ্বন্দ্ব নিৰ্ব্বিশেষ অনন্ত দ্বারা ব্যাখ্যাত হয় না, কেবল অনন্ত ও সাস্তের সম্বন্ধ দ্বারাই ব্যাখ্যাত হয়। প্রত্যেক জ্ঞানক্রিয়াতে এই সম্বন্ধ, সসীম-অসীমের সহযোগিতা, ভেদাভেদ, প্রকাশিত হয়, প্রমাণিত হয়। দর্শন, শ্রবণাদি জানে সসীমের নিকট অসীম আত্মারূপে ও বিশ্বরূপে প্রকাশিত হন। নিদ্রাজাগরণে অনিত্র পুরুষ নিস্ত্রাশীলের কাছে প্রকাশিত হন। স্থতি-বিস্মৃতির দ্বশ্বে ভোলার নিকট আভোলা প্রকাশিত হন। এক অনন্ত আত্মাতে সসীম অসীমের এই দ্বৈতাদ্বৈত, এই |