পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి88 এক ফোটা চোখের জলও ফেলিল না । সুরমা তাহার পাশেই বসিয়া ছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা পর সুরমাকে ডাকিতে লোক আসিল । সুরমা মুহাসের গায়ে মাথায় হাত বুলাইয় বলিল, তা’লে ভাই আমি উঠি ? স্বহাস দু-হাতে সুরমাকে জড়াইয় ধরিয়া তাহার বুকে মুখ রাখিয়া ফুলিয়া ফুলিয়া কাদিতে লাগিল । সুরম ধর্থন চলিয়া গেল তখন রাত্রি এক প্রহর কাটিয়া গিয়াছে । সে আজ পাশে থাকিলেই ভাল হইত, কিন্তু তাহা ত হইবে না, তাহার স্বামী আসিয়াছে । অনেক চেষ্টা করিয়াও স্বহাসকে কিছু খাওয়ানো গেল না। সকালবেল ঘুম হইতে উঠিয়া উষা দেখিল কাকীমা ঘরে নাই। সে মনে করিল, কাকীমা হয়ত একটু আগে উঠয়। গিয়াছে । মেজবেী উষাকে জিজ্ঞাস করিল, তোর ছোট কাকী কই রে । চোখ রগড়াইতে রগড়াততে উষ বলিল, আমি উঠে তারে দেখি নি ত! মেজবে তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকিয়া কি ধেম খুজিল, তার পর তাহা না দেখিয়া ধীরে ধীরে কাঠালের পিড়িগুলি এক পাশে সরাইয়া সেখানকার মাটি পা দিয়া আরও থানিক ধ্বসাইয়া দিল । শাস্ত গাম্ভীৰ্য্য লইয়া ঘর হইতে একটা গেলাস হাতে করিয়া বাহিরে আসিয়া মেজবেী উষাকে বলিল, তোর ছোট কাকী বোধ হয় সুরমাদের ওহানে গেছে । হ’fত পারে । ধখন একটু রৌপ্র উঠিয়াছে, দত্ত-বাড়ীর সন্তোষ ছুটিয়া ইপিাইতে ইাপাইতে আসিয়া বলিল, ঘাটের ডান দিক পিটেপোড়া গাছের ঠিক নীচে যে গইন জল না—স্যাথানে— ক্যাবোল কাছিম উঠতিছে ! শুনিয়া মাণিক ও সুধা ছুটিয়া গেল । বড়বোঁ থামিক পরে উত্তরের ঘরে গিয়া চীৎকার করিয়া প্রবাসী ১৩৪৪ উঠিল, তোমরা ছোট বৌয়েরও খোজ করলে না—এদি দ্যাথে—বেড়া ত একেবারে ফাক । মেজকৰ্ত্ত, মেজবে), উষা সকলে ছুটিয়া আসিল । তাই ত! মেজবে মেজকর্তার দিকে চাহিয়া বলিয়া উঠিল, f সৰ্ব্বনাশ, কেলেঙ্কারীর আর অন্ত ব্ল'লে না,-যি দেখতিছো—তোমাদের লাঙ্গমণ যে ছিকলী কাটিছেন। মেজকৰ্ত্তার চক্ষু ক্রমে কপালে উঠিতেছিল। বড়বে বলিল, একবার ঘাটটা খোজ করে দেখঃি হয়,—কাছিম উঠতিছে বলে. কাল বড় দুখখু পাইছে ! উঠানে শব্দ হইল,—ও বৌদি। বড়বে ও মেজকর্তা আগাইয়া আসিল । উষা চীৎকার করিয়া উঠিল, ওম,—ছোট কাকা ধে ! সত্য একটা বড় কাপড়ের রোচক বারান্দায় রাথিয় বৌদি ও দাদাকে প্রণাম করিয়া হাসিয়া বলিল, একট চাকরি এই পুজোর মাঝেই হবার কথা ছিল, তাই কা অতুলের কাছে খবর পাঠাইছিলাম,—পূজোয় আর বাড় যাব না । তা কাজড{ এখন আর হ’ল ন!—তাই চলে আলাম। নৌকোয় আলাম্‌ তাই সকাল সকাল । তার পর সব ভাল ত | কাহারও মুখে আর কথা সরে না। কাহারও কোন কথা বলিবার অবসর না দিয়া মেজবে একটা কলসী কাপে লইয়া বলিল, তোমরা ব’স আমি স্বরমাদের অথান থে ছোটবেীয়ের একটা খবর দিয়ে চট্‌ ক’য়ে ডুবড়া দিয়ে আসি—বলিয়া বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ীর বাহির হইয় গেল । চন্দ-বাড়ী পুজা । ভৈরব একটা ঘরে বসিয়া নৈবেদোয় জন্য ফল কাটিতেছিল। মেজবোঁ পাগলের মত ঘরে ঢুকিয় দোর বন্ধ করিয়া দিল, তার পর ভৈরবের পায়ের উপর পড়িয়া বলিয়া উঠিল, ভৈরব, তুই আমারে বাচা। ভৈরব বঁটা ছাড়িয়া উঠিল, বুক তাহার কাপিতে লাগিল : এ কি কর বৌদি, তুমি কি পাগল হ’লে, কি হইছে ?