বৈশাখ ভেদাভেদ, স্বীকার না করলে কিছুই ব্যাখ্যা হয় না, জীবলীল, জগৎ-লীল, সবই অব্যাখ্যাত থাকে। ব্যাখ্যা আরও উজ্জল হয় প্রেম-তত্ত্বে। এক নিবিধয় নিৰ্ব্বিশেষ পরমাত্মা কেমন করে আর কেনই বা এই জীবলীলা, জগৎ লীলা করছেন, তা বোঝা যায় না। লীলা বা কর্মের মূল দেখি আমরা প্রেমে। যাকে আমাদের জ্ঞান বলি, তাতে যেমন ব্রগঙ্গান প্রকাশিত হয়, যাকে আমাদের প্রেম বলি তাতেই, তেমনই, ব্ৰহ্ম-প্রেম প্রকাশিত হয় । পরম পিতার, পরম মাতার, অনন্ত বক্ষে অসংখ্য সস্তান নিত্রিত রয়েছে, তিনি তাদের না জাগিয়ে, লালন পালন না করে, শিক্ষা না দিয়ে, তাদের প্রেমাকৰ্ষণ না করে, থাকতে পারেন না, এই তার জীব-লীলার, জগংলীলার, একমাত্র সস্কোর্যকর ব্যাখ্যা । ঔপনিষদ ঋষিদের উপদেশে আমি এই ব্যাখ্যাই পাই। এই ব্যাখ্যার অতুযায়ী সাধনপন্থাও আমি তাদের উপদেশে এবং তাদের প্রভাবে প্রভাবিত গীতা, ভাগবত প্রভৃতি সাধন-গ্রন্থে পাই। যিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা আমাদের অন্তর্তর, সত্তায় অস্থরতর, প্রেমে আগুরতর, তার সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতার আভাস মায় পাওয়া যায় মাতাপুত্রের, পতি-পত্নীর, সম্বন্ধে। আমাদের উপর উrর যা দ্বাধী, তার সঙ্গে ছেলের উপর মায়ের দাবীর বা পতি-পত্নীর পরম্পরের উপর দাবীর তুলনা হয় না। এই দাবী অমুভব করলে সাধন-প্ৰণালী সহজেই নির্ণীত হয়। রাজধিরা এই প্রণালীকে বলেন, “দেবযান পথ"। তারা যে রূপকের ভাষায় এই প্রণালী বর্ণনা করেছেন, তা আপনারা এই মাত্র শুনলেন। তাদের রূপক অতি স্বচ্ছ । শ্রুতি ও মনোবৃত্তিরূপিণী দেবকামিনীরা সাধককে ব্ৰহ্মালঙ্কারে অলঙ্কৃত করেন, এর অর্থ ব্রহ্মবিষয়ুক মহাবাকাগুলির মৰ্ম্ম বুঝলে আমরা সাধন-চেষ্টায় বল পাই। সাধনের প্রথম চেষ্টাই ঋষিকাহিনী ও ঋষিপস্থা ১৩ । fরপুঞ্জ পার হওয়-ক্ষুত্র বাসনা-কামনাগুলিকে বিবেকের অধীন ক'রে চিত্তকে শুদ্ধ করা। দ্বিতীয় চেষ্ট । “ंहैश्! शृङ्ॐit" चयि कद्रां चर्षी५ uषम एवftश्व श्रुतःि। काँ}ीन शांrड श्रीभttभग्न भाथTांशिक औषटनग्न अनिहे ना হয়। তার পর বিম্বর নদী পার হওয়া অর্থাৎ আগন্ত, জড়তা ছেড়ে চির উদ্যমশীল হওয়া। তার পর ‘ইল্য-বৃক্ষ’ ছড়িান অর্থাৎ বিশ্বকে জড়ময় বোধ না ক’রে চিন্ময়ক্ষপে দেখা । তখন থেকে রক্ষুগন্ধ অম্বষ্কৃত হয়, ব্ৰহ্মকে না । যেখলেও তার সম্বন্ধীয় সব কথা, লব চেষ্টা, চিত্তাকর্ষণ করে। তার পর ব্ৰঙ্করস অনুভব, উপাসনার মিষ্টতাস্বাদন। তার পর । প্রক্ষতেজ প্রাপ্তি, যাতে সব সংস্কার-চেষ্টা, সাধন-চেষ্ট, সহজ হয়ে যায়। তার পর ব্ৰহ্মযশ প্রাপ্তি অর্থাৎ অস্কাভুকরণ বশতঃ প্রাপ্ত সমূদ্রায় সস্থান নিরহংকারে ব্রহ্মসখান রূপে অহঙব করা। তার পর ব্রস্কের সহিত সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে আত্মভের ভূমিতে অভেদবোধ,অথচ সসীম-অসীমের ভেদবশও ‘তুমি 'জামি'র ভোদর্শন। এই ভেদাভেদবোধ স্থায়ী হওয়ার নামই ব্ৰহ্মলোক, ব্ৰহ্মলোকে চিরবাস। এই ৷ অবস্থা আমার এখনও হয় নি, পরশু অতি দূর বলেই মনে হয়। ক্ষণিক, সাময়িক, অনুভব বশতঃ আর ঋষিদের সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে এর কথা বললাম। অামাজের বর্ধমান আধ্যাত্মিক দুৰ্গতির নানা কারণের মধ্যে প্রধান একটা কারণ ঋষিদের কথা না জানা বা জেনেও স্কুলে থাকা। এই জন্তেই জীবনের এই সন্ধ্যাকালে স্থাপনাদিগকে একটু বিশেষ ভাবে আঙ্গ ঋষি-কাহিনী ও ঋষি-পদ্ধ স্বরণ করিয়ে দিলাম। হয়ত আর বলবার অবসর হবে না, তাই আপনাদিগকে শ্রদ্ধার সহিত নমস্কার করে বিদায় গ্রহণ করি ৯ •তত্ত্ববিদ্য সভার সাথৎসরিক উৎসবে পঠিত প্রবন্ধ । - s
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।