পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9(3) প্রষণসী >Nご88 উপহাসের উপাদানরূপে উদগীরিত হয় এবং যাহা তাহার বিদ্রুপের বৈদ্যুতিক কশাঘাতে মানুষের সহজ চৈতন্যকে জাগ্রৎ করিয়া তুলে । তৃতীয়, অট্টহাস্ত—ব্যক্তি বা সমাজ, কাহাকেও ঠিক মুখ্য লক্ষ্য না করিয়া যে হাসি , আপনার অন্তরস্থ প্রাণপুরুষ বা অদৃষ্টের পরিস্থিতিকে উপলক্ষ্য করিয়া প্রকাণ্ড মৰ্ম্মান্তিক পরিহাসরূপে হা-হা বা হায়-হায় করিয়া উঠে। আমাদের এই ধিক্কত জীবনের নিরুপায় দুদৈবে যাহার জন্ম এবং মহাকালের অট্টহাস্যের সহিত যাহার কোথায়, বোধ করি, একটা মিল আছে । ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিতে একই ভাবের বিভিন্ন অভিব্যক্তি জগতে দেখা যায়। হাসির কথ} শুনিয়: কেহ-ব হো-হে] করিয়া হাসিয়া উঠে, কেহ-ব। মুখখানিকে ঈষৎ স্মিত বিকশিত করিয়া তুলে, আবার কাহারও বা মুখচোখ রক্ষণভ হইয়৷ উঠে মাত্র, হাস্যের অন্য কোনণ্ড চিহ্ন প্রকাশ পায় না । বেদনা-ব্যাপারেও তেমনি । পুরহার! জননী—কেহ ক্ৰন্দনের চীৎকার শব্দে গগন বিদীর্ণ করেন, অব্যক্ত হাহাকারে দুরবিগলিতধারে অশ্রু বিসর্জন করেন, আবার কেহ-ব! ধনী হইয় পাথরের মতন বসিয়া থাকেন, চোথে বা মুখে অশ্রীও নাই, শব্দও নাই । এমনও দেখা যায়, শোকের আকস্মিক আঘাতে কিয়ৎকালের জন্য কাহারে মুখে অসংবদ্ধ প্ৰলাপবাণী ও ভাণ্ডবহাস্য দেখা দেয়। দ্বিজেন্দ্রলালের যে হাসির কথা আমরা এখানে বলিতেছি, তাহার সহিত সাধারণ হাস্যরসের বড় সম্বন্ধ নাই। তাহা অস্তরের সহজ আনন্দপ্রবাহের উচ্ছল অভিব্যক্তি নহে, তাহা রোদনেরই রূপান্তর মাত্র। সুগভীর দেশপ্রীতির অস্ফুট বেদন রুদ্র হাস্যরূপে সেখানে ধেন শদিত হইয়া উঠিতেছে। ইহা যেন তাহার স্বকীয় শক্তিব শুক্তিগর্তাবাসে হাসি ও অশ্র-মিশ্র অপূৰ্ব্ব যমজ-মুক্তা। এ-হাসির পরিচয় আমরা শেক্সপিয়ারের কিং লিয়ার’ নাটকে, গিরিশচন্দ্রের প্রফুল্প' প্রভৃতি কোনও কোনও নাটকে এবং দ্বিজেন্দ্রলালেরই একাধিক নাটকে, বিশেষ করিয়া, তাহার ‘সাজাহান' নাটকে পাইয় থাকি । এইবারে আমরা এই হাস্যত্রিবেণী হইতে এক-একটি ধারা ধরিয়া অতি সংক্ষেপে উদাহরণযোগে আমাদের বক্তব্য পরিস্ফুট করিবার চেষ্টা করিব। কেহ-ব! ১ । এ কি হেরি সর্বধলাশ, রাম তুই যাবি বনবাস । তোরে ছেড়ে রবে না প্রাণ, আমার এ ধ্রুব বিশ্বাস । যদি নিতান্ত যাবি রে বনে, সঙ্গে নে সীতা লক্ষ্মণে ভাল দেখে দাবী এক জোড়, ভাল দু’জোড় তাস ৷ ইত্যাদি বনবাসের অপর দুঃখের মধ্যে রামচন্দ্রের মত নরদেবতা তাস ও দাবী থেলিয়। তবু অনেক দুঃখ দূর হইতে পারে, এই ভরসা ! ২ । প্রাণ রাখিতে সদাই যে প্রাণান্ত ! জন্মিতে কে চাইত, সেটা আগে ধলি জালত । ভোরে উঠেই ঘুমটি নষ্ট, তার পরেতে যে সব কষ্ট বর্ণি১ে অক্ষম আমি সে সকল বুন্তান্ত । স্নানাদির পর নিত্য নিত্য ক্ষুধায় জুলে যায় যে পিক, থেতে বসলে চক্রণ করতে করতে পরিশ্রান্ত । যদিহ বা খাই যথাসাধ্য, প্পেলেষ্ঠ যায় ফুরায়ে খাদ্য, পাস্ত আনতে লবণ ফুরায় লবণ আনতে পাg ! কিনলে পরে কোলে দ্রব্য দাম চাহে যত অসম্ভ}, বাস্ত জুড়ে বসে থাক পাওনাদার দর্দশস্থ । বিয়ে করলেই পুত্র কথা আসে যেন প্রবল বহু', পড়াতে আর বিয়ে দিতে হই যে সৰ্ব্বথta : বাঙালী-জীবনের কি নিখুঁত হাসির •কস । ৩ । বুড়োবুড়ী দু’জনাতে মনের মিলে গুপে খাকত । বুড়ে ছিল পঞ্চম বৈষ্ণব, বু ? ছিল ভারি শ - । হ’ত যখন ঝগড়াঝাটি, হ’ত প্রায়ই লাশলাঠি, ব্যাপার দেখে ছুটোছুটি, পাড়ার লোকে পুলিশ ভাপত । হঠাৎ একদিন "ত্ত্বোর’ বলে বুড়ে কোথায় গেল চলে, বুড়ী তখন বেদে কেটে করলে চণু লবণাক্ত । শক্ষে বছর খানেক পরে বুড়ে ফিরে এল স:, বুঢ়ী তখন রোধে বেড়ে তাকে তারি খুলি থিত । ঝগড়াঝণটি গেল খেমে, মনের মিলে গম্ভীর প্রেমে বুড়ী দিত দাতে মিশি, বুড়ে গালে সাবান মাথত । বুড়োবুড়ীর জীবনযাপন ব্যাপারে কি সরল ও সর্য হাস্যকর বর্ণনা ! ৪ । হোল কি ! এ হোল কি ! -- এত ভারি আশ্চধি ! বিলেতফে টপিছে গুস্ক, সিগারেট থাচ্ছে ভট্চার্য্যি! (হাটেলফের্তা মুন্সেফ ডার্ছেন—‘মধুসুদন কংসারি। চট্ট চটির দোকাল খুলে দস্তুর মতন সংসারী। 嶺 粵 萼 পক্ষীর মাংস লক্ষ্মীর মতন ছেলেবেলায় খাল নি কে ? ভবনদীর পারে এসে বিড়াল বস্ছেন আহিকে ! 鶴 夢 養 রাধাকৃষ্ণ রঙ্গমঞ্চে নাচছেন গিয়ে আননে,--- ব্যাখ্যা করছেন হিন্দুধৰ্ম্ম হরিঘোষ আর প্রাণধন দে । দীনবন্ধুর ভাষায় একাধারে মিল ও মজা’র অপূৰ্ব্ব কৌতুক রচনা। এ সকল গান প্রথম ধারার নিছক হাসি ।