পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SS939 বললে, “না গুড, বাই নয়, একটু সবুর, এই এলাম ব’লে।” সীমার দুই চোখ দিয়ে আগুন বেরচ্ছে যেন । তার অনুচরদের সে নিজের ভায়েরই মতই ভাল বাসত। অনিল ও রঙ্গলালের কথা স্পষ্ট তার কামে এল। প্রত্যেকটি মৃত্যু সে যেন প্রত্যক্ষ দেখতে পাচ্ছে । রিভলভারটা হাতে ক’রে সে সোজা হ’য়ে দাড়িয়ে উঠল। তার পর নিখিলের দিকে ফিরে বললে, “এমন কোথাও দেখেছেন ? দাদাদের কথা আজ মনে পড়ছে। মুত্যু যেন একটা মুহূৰ্ত্তেকের পরিহাস । এবার আমাকে বিদায় দিন। প্রার্থনা করুন, যেন ফিরেবার স্বাধীন ভারতে জন্ম নিতে পারি।" এমন সময় বন্ধ দ্বারে ভীষণ তাড়নায় দরজী ভাঙবার উপক্রম হ’ল । সীমা ফিরে রিভলভার একবার দরজার দিকে লক্ষ্য করে দাড়াল। তার পর নিখিলের দিকে ফিরে তারই কথার পুনরাবৃত্তি ক'রে হেসে বললে, “কি হবে একটা দুটো খুন করে, কি বলেন ?” সেই মুহূৰ্ত্তে দরজা ভেঙে পড়ল এবং পর মুহূৰ্ত্তেই সীমা নিজের বুকের উপর গুলি চালিয়ে দিয়ে নিখিলের পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল । পুলিসবাহিনীর দিকে কিছুমাত্র লক্ষ্য না করে পাগলের মত নিখিল ইটুে গেড়ে সীমার উপর ঝুকে পড়েছে। “সীমা, সীমা, এ কি করলে, সীমা ! এমনি ক’রে কিসের শোধ নিলে তুমি ? সীমা, সীমা, সীম, ব’লে সে ক্রমাগত ডাকতে লাগল। মরণোন্মুখ সীমার মুখে অল্প একটু হাসির রেখা ফুটে মিলিয়ে গেল। ভুলু দত্ত ঘরে ঢুকেই “সীমা” নাম শুনে বললে, “সীমা ! কই সীমা ?” নিখিল হাহাহাহা করে একটা উন্মাদের হাসি হেসে দাড়িয়ে উঠে ভুলু দত্তকে বলতে লাগল, “বুল ডগ, পারলে না, পালিয়েছে । তোমার দাতের ধার অার পরীক্ষা করবার সুযোগ দিলে না। হা হা হা হা।" “একি নিখিল ! তুমি এখানে ! তুমিও ?” “হ্যা, আমিও। একটুও দয়া ক'রো না আমাকে, একটুও না। তোমাদের বন্দুকে কি একটাও গুলি আর বাকী নেই ? ওদের চেয়েও অপরাধী আমি। ওদের প্রৰণসী SNご88 অপরাধ বিশ্বাসে, আর আমার পাপ লোভে । কিছু দয় ক’রো না আমাকে ।” ভুলু দত্ত দেখলে যে নিখিলের মস্তিষ্ক কিছু উত্তেজি, হয়েছে । আর বাক্যব্যয় না করে সে তাকে গ্রেফতারের হুকুম দিয়ে অত্যন্ত গম্ভীর চিন্তিত মুখে সে সমস্ত বাড়ীট অনুসন্ধানের জন্তে বেরিয়ে গেল । আজকের অভিযানে ব্যক্তিগত আনন্দের ও জয়ের যে আত্মপ্রসাদ, তা যেন কিসের ছায়াপাতে স্নান হয়ে গিয়েছে । o 事 豪 দু-এক দিনের মধ্যেই নিখিল শাস্ত হয়েছিল । হাঙ্গতে একদিন ভুলু দত্তকে ডেকে নিয়ে সে বললে, “আমার একট অতুরোধ তোমার কাছে আছে ; শচীন সিংহ সম্বন্ধে যদি হাজতে তাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে দাও তবে তাকেই সব বলব। নইলে অগত্য তোমাকেই ব’লে যেনে হবে ।” ভুলু দত্ত বললে, “সে হুকুম ত এখন আমি দিতে পারব না। আমাকে বলতে যদি তোমার আপত্তি না থাকে তবে বলতে পার ।” নিখিল তখন তাকে জ্যোৎস্নার মোটামুটি ইতিহাস ংক্ষেপে ব’লে বললে, “ডাক্তার হিসেবে বলছি, হঠাৎ শচীনবাবুকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত ক’রে না। তাদের বৃদ্ধ ভূত্য ভোলানাথ-” ভুলু বললে, “ষ্ট্য, হ্যা ম্যানেজারের সঙ্গে ঐ নামের একজন এসেছিল বটে। লম্বাচোঁড়া বুড়ে মানুষ ।” “ষ্ঠ্যা, তাকে দিয়ে সাবধানে সংবাদ দিও। নইলে, হঠাৎ ংবাদ দিলে ফল ভাল নাও হতে পারে। আমার বন্ধু হিসাবে ঐটুকু ব্যবস্থা তুমি করে।" সম্মত হয়ে ভুলু দল চলে গেল । ج: وه কমলার সংবাদে শচীন্দ্রনাথের চিত্ত যে পরিমাণ আনন্দেব উত্তেজনায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠবার কথা সেই বাধাবিহীন আনন যেন তার চিত্তে সেই উচ্ছসিত অভ্যর্থন লাভ করলে না বহুদিনের পর তার একান্ত বাঞ্ছিতের পরমরমণীয় মিলনের