পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞごぐうわ প্রশ্বাসী ১৩৪৪ মালতী চটে বললে, “থাক, তোমার আর আদিথ্যেতায় কাজ নেই । আয়ু অজয় ।” “আরে, চট ক্যান। চারদিক সামাল দিতি হয় ত f" 嶺影 端 豪 কড় নাড়া ও গোলমাল শুনে কমলাও বাইরের ঘরের দরজার আড়ালে মালতীর কাছে এসে দাড়িয়েছিল । অজয় দরজা খুলে ভোলানাথকে দেখে একটু থমকে গেল । প্রকাগু রঙীন পাগড়ী, প্রকাগু চেহারা, চকুচকে পোষাকে ভোলানাথকে দেখে সে সসন্ত্রমে একটু পিছিয়ে এল । উকি মেরে, “এ আফার কেন্ডা !” ব’লে মাতুল ঘরের এক কোণে গিয়ে আশ্রয় নিলে । ভোলানাথ অজয়কে আশ্চয্য হয়ে দেখছিল। সেই শিশুকালের শচীন্দ্রনাথ cধন আরও সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছে । সেই নাক চোখ, সেই মুখ, গালের উপর তিলটি পৰ্য্যস্ত হুবহু এক । দুই হাতে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে তাকে আদর করবার জন্যে ভোলানাথের মন আকুল হয়ে উঠছিল। তবু, বাবুর কথামত নিজেকে সামলে রেখে সে অজয়কে জিজ্ঞাস “খোকাবাবু, এটা কি নিখিলবাবুর বাড়ী বাবা ?” “šri lo ভোলানাথের গলার প্রথম আওয়াজ শুনেই কমলা যেন কেমন হয়ে গেল । অবরুদ্ধ স্মৃতির ফুয়ারে ঘা পড়ল যেন । সমস্ত অতীত যুগের চেনা কণ্ঠস্বর যেন তার স্মৃতিকে মথিত ক’রে চার দিক থেকে মৃত্যুপারের ইতিহাসকে সজীব প্রত্যক্ষ করে তুলতে চাইছে। এই কণ্ঠস্বরের ছায়াপথ অবলম্বন ক’রে পরপারেব নিৰ্ব্বাসিত কূল থেকে তার মনটা পৃথিবীর আত্মীয় লোকের কূলে উপনীত হবার জন্যে আকুল হয়ে উঠছে ৷ কপাল কুঞ্চিত ক’রে সে তার মনের অন্ধকার কক্ষগুলির মধ্যে যেন তার দৃষ্টিকে কঠিন বলে প্রত্যক্ষ করবার প্রেরণায় নিয়োজিত করতে চাইছে । "° নাথ ততক্ষণে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেছিল। করলে, সাধন করতে পারছিল না। এমন সময় ভোলানাথের দৃষ্টি কমলের উপর পতিত হ’তেই সে তার পাগড়ী উন্মোচন ক’রে এগিয়ে এল এবং “ম, মাগো, আমায় চিনতে পারছ না মা ? আমি যে তোমার ছেলে, ভোলানাথ ।” ব’লে আশাসোটা জামা-জামিয়ার স্বদ্ধ প্রকাগু দেহ নিয়ে সাষ্টাঙ্গে মাটিতে পড়ে কমলাকে প্রণাম ক’রে উঠে দাড়াল । এক মুহূর্বের মধ্যে কমলার স্মৃতির অবরুদ্ধ দ্বার খুলে গেল । সে চীৎকার ক’রে “ভোলাদা !” বলেই হতচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়ল মাটিতে । দিদি, দিদি গে৷ ” কমলার মাথাটা কোলে তুলে মালতী “জল, জল । অজয়, বাবা, দৌড়ে একটু “কি হ’ল ! কি হ’ল ! ব’লে ডাকতে ডাকতে ব'সে পড়ে বললে জল নিয়ে আয়ু । কও ?” ওগো এfক হ’ল ! দিদি ৪ দিদি কথা ব’লে সে হাপুস নয়নে কঁদিতে লাগল । অজয় দৌড়ে গেল জল আনতে । ভোলানাথ থতমত থেয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে অদূরে ট্যাক্সিতে উপবিষ্ট শচীন্দ্রকে ডেকে বললে, “বাৰু শিগগির ভীম্মি গেছে ।” মাতুল ব্যস্ত সমস্ত হয়ে শুধু “তাইত, তাহঁত” ক’হে অকারণে সমস্ত ঘর চামচিকের মত ঘোরাঘুরি ক’রে বেড়াতে লাগল । কমলা—এবং সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে শুনে শচীন্দ্রের মনে এতক্ষণ যে দ্বিধা সঙ্কোচ জড়ত ছিল এক নিমেষে সব ঘুচে গিয়ে কুলে উপনীত নিমজ্জমান তরীর আরোহীর ধে মনোভাব হয় সেই হতাশ। পূর্ণ কুলের আগ্রহে সে ছুটে কমলার কাছে | মালতীর কোলে শিথিল দেহাৰ্দ্ধ ন্যস্ত ক’রে মেঝের উপর লুটিয়ে পড়ে আছে কমল ছিন্নকুন্ত শতদলের মত । মন্দসমীরস্পর্শে আকুঞ্চিত দীঘিকার বারিরাশির মত ছড়িয়ে পড়েছে তার বিপুল কেশভার । লঙ্গ-সঙ্কোচ-ভাবব্যঞ্জনবর্জিত দীর্ঘপল্লব-ছায়ারেখাঙ্কিত শুভ্র কপোলে নিৰ্মীলিত নেত্রে তাং মুখ অপুৰ্ব্ব ঐ ধারণ করেছে। শচীন্দ্র মুহূৰ্ত্তকাল নিৰ্ব্বাণ নিম্পদ হয়ে এই অপরূপ রূপশী নিরীক্ষণ করতে লাগল । এস ! ম} যেন কেমন হয়ে *;ডছে । ஆக এখানে পণ্য লর্তী সভয় কৌতুহলে এই রাজসিক সজ্জায় তার চোখের প্রিভ সুচি৬ কমলা ভোলানাথের উর্ষীযआगद्ध cोदन-दिगिन्ध २नि-िभएन त्कान ८शशात्माण কমলাকে দেখে তার মনের মধ্যে তার পুরাতন পরিপূর্ণ প্রেম উদ্বেল হয়ে উঠল । তার মনে হ’তে লাগল যে এঠ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তার সাধনার ধন যদি এমনি ক’রে তাকে