পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণঢ় কাশীর মানমন্দির Nうb〜ヘク পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবিত হইয়াছে। এই যন্ত্রের উপরে একটি লৌহ-তার বা একটি সরল নল স্থাপিত করিতে হইবে, ইহার একটি প্রাস্ত ধতুর পাশ্বে থাকিবে এবং অপর প্রান্ত শঙ্কুর উপরে থাকিবে । পরে ধন্থর পাশ্বে যে প্রাস্তটি রহিয়াছে, তাহার মধ্য দিয়া দ্রষ্টব্য গ্রহ বা তারকা লক্ষ্য করিতে হইবে। এমন ভাবে লৌহ-নলটি স্থাপন করিতে হইবে যে, ইহার ঠিক মধ্য দিয়া গ্রহ বা তারকাটি দৃষ্ট হইবে। এই প্রকারে ধন্থর যে ধারটি অন্ত ধারটির অপেক্ষ নিম্নে অবস্থিত, তাহার যে চিহ্নটি নলের দ্বারা বিভক্ত হইয়াছে, তাহাই গ্রহ বা নক্ষত্রের মাধ্যাহিক হইতে নতঘটি হইবে। শঙ্কুর পাশ্বের যে-অংশ ধতুর কেন্দ্র আর নলের প্রাস্তের অস্তরে স্থিত, সেই অংশই গ্রহ বা নক্ষত্রের ক্রাস্তির স্পৰ্শজ্য the declination) । সুতরাং নতঘটি ও ক্রান্তি এই যন্ত্রের দ্বারা অবগত হওয়া যায় । কোন নক্ষত্রের ভুজাংশও ( longitude ) এই যন্ত্রের সাহায্যে নিম্নলিখিত উপায়ে জ্ঞাত হওয়া অল্পায়াসপাধ্য। সূর্য্য অস্তগমন করিবার সময়ে মাধ্যাঙ্গিক হইতে স্বর্ষ্যের নতাংশ বাহির করিতে হইবে । এই সময় হইতে যে-পৰ্য্যন্ত ন নক্ষত্রটি ( যাহার ভূজাংশ বাহির করিতে হইবে ) আকাশে স্পষ্ট উদিত দৃষ্টিগোচর হয়, সেই পৰ্য্যস্ত যে সময় তাহ স্থির করিতে হইবে । এই সময় মাধ্যহিক হইতে সূর্য্যের নতঘটিতে যোগ দিতে হইবে। এইরূপে প্রাপ্ত সময়ই সেই সময়ের মাধ্যাহিক হইতে সূর্য্যের মতাংশ। পরে এই সময়ে স্থয্যের বিষুবাংশ গণনা করিতে হঠবে এবং প্রাপ্ত ফলের সহিত মাধ্যাহিক হইতে সূর্য্যের নতাংশ যোগ করিতে হইবে । তাহ হইলে Woods (culminating point of the ecliptic) বিষুবাংশ প্রাপ্ত হওয়া যাইবে । এক্ষণে যন্ত্রের সাহায্যে নক্ষত্রের নতঘটিকা বাহির করিয়া মধ্যলগ্নের বিষুবাংশে যোগ ব। বিয়োগ করিতে হইবে। তাহা হইলে নক্ষত্রের জ্ঞাতব্য ভুজাংশ পাওয়া যাইবে। পূৰ্ব্ব-গোলে নক্ষত্র থাকিলে বিষুবাংশ যোগ করিতে হইবে, আর পশ্চিম-গোলে নক্ষত্র থাকিলে বিষুবাংশ বিয়োগ করিতে হইবে। সম্রাটু-যন্ত্রের শঙ্কুর পূর্ব দিকে যুগ্ম ভিত্তি-যন্ত্র ( double mural quadrant ) নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে। ইহার নিম্মাণ ( tangent of প্রণালী প্রথমোক্ত ভিত্তি-বস্ত্রের ন্যায় । প্রভেদের মধ্যে এই যে, এই যন্ত্রে কীলক দুইটির অস্তর ১০ ফুট ৪ ইঞ্চি । (৩) বিষুবচক্র-যন্ত্র—সম্রাটু-যন্ত্রের পূর্ব দিকে GæfS f<jS5IF ( equinoctial circle ) নামক যন্ত্র অবস্থিত। ইহা প্রস্তুর-নিৰ্ম্মিত এবং বিমূর্ববৃত্তের সমতলে রক্ষিত। এই যন্ত্রের উত্তর পার্থে ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি ব্যাসের একটি বৃত্ত অঙ্কিত আছে । এই বৃত্তে একটি ব্যাস ক্ষিতিজের ( horizon ) সমানাস্তর, আর একটি ইহার উপর লম্বভাবে অবস্থিত । সুতরাং ইহাদের দ্বারা এই বুত্তটি সমান চারি অংশে বিভক্ত। এই চারিটির প্রত্যেকটি আবার সমান ১৯ অংশে বিভক্ত। এই বৃত্তের কেন্দ্রে একটি লৌহকীলক প্রোথিত রহিয়াছে। কীলকটি উত্তর-প্লবের দিকে লক্ষ্য করিয়া অবস্থিত । যখন উত্তর-গোলে সূর্য্য বা নক্ষত্র থাকে, তথন কীলকের যে ছায়া পড়ে, তাহা হইতে স্বয্যের বা কোন নক্ষত্রের লতাংশ অবগত হওয়া যায় ! দক্ষিণ-গোলে যখন স্বৰ্য্য বা কোন নক্ষত্র থাকে, তখনকার নতাংশ নির্ণয় করিবার জন্য ২ ফুট ৩ ইঞ্চি ব্যাসের একটি ক্ষুদ্র বৃত্ত দক্ষিণ পাশ্বে অঙ্কিত রহিয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত বৃত্তের ন্যায় এই বৃত্তকেও দুই পরস্পর লম্ব ব্যাসের দ্বারা চাfর সমান ভাগে এবং বৃত্তপাদকে ৯০ সমান থণ্ডে বিভক্ত করা হইয়াছে। ( ৪ ) ছোট যন্ত্র-সমৃfট—ঘন্ত্র-সম্রাটের ন্যায় আর একটি ছোট যন্ত্র-সম্রাটু বিষুব-চক্রের পূৰ্ব্ব দিকে অবস্থিত। এই যন্ত্রের শঙ্ক ১০ ফুট ১ ইঞ্চি দীর্ঘ ; ইহার প্রশস্তত ১ ফুট ৩ ইঞ্চি । দক্ষিণ দিকের উচ্চতা ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি, আর উপর দিকের উচ্চতা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। প্রত্যেকটি ধতুর প্রস্থ ১ ফুট ৯ ইঞ্চি, আর স্থলত ৩ ইঞ্চি ; এবং ধনুর নিম্নদিকস্থ পাশ্বের ব্যাস ৩ ফুট ৫ ইঞ্চি । ( ৫ ) চক্র-যন্ত্র—সম্রাটু-যন্ত্রের নিকটে আর একটি যন্ত্র দুইটি প্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত । ইহাকে চক্র-যন্ত্র বলা হইয়া থাকে । ইহা একটি গতিশীল লৌহচক্র, ইহার প্রস্থ এক ইঞ্চি এবং ইহার সম্মুখ ভাগ , ইঞ্চি গভীর পিতলের পাত দিয়া আবৃত। ইহা একটি অক্ষদণ্ডের চতুৰ্দ্দিকে পরিক্রম করে ; এই অক্ষদণ্ড দুইটি প্রাচীরে ংলগ্ন এবং উত্তরদিগভিমুখে লক্ষ্য করিয়া অবস্থিত। এই