পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষাঢ অভিষেক రి-న, কেন্দ্রে এবং ইহার লম্বভাবে একটি লৌহশলাক সংবদ্ধ আছে । ইহার চতুৰ্দ্দিকে একটি করিয়া বৃত্ত অঙ্কিত রহিয়াছে। বাহিরের বৃত্তটিতে ঘণ্টা প্রভৃতি এবং ভিতরের বৃত্তটিতে ঘটি, পল প্রভৃতি চিহ্ন ক্ষোদিত । ইহা ব্যতীত যন্ধটিতে অমুনাস্ত বিন্দুদ্বয় চিহ্নিত রহিয়াছে ; কারণ, স্বৰ্য্য যখন নিরক্ষতলের উত্তরে থাকে, তখনই কেবল পৰ্য্যবেক্ষণের জন্য উত্তর মুখটি ব্যবহৃত হয়। যন্ত্রটিতে এই লিপি ক্ষোদিত আছে—নাড়ীবলয় বা উত্তর-দক্ষিণ গোল। এই যন্ত্রের দ্বারা জ্যোতিষ্কসমূহ উত্তর গোলার্দ্ধে কি দক্ষিণ গোলার্দ্ধে অবস্থিত, তাঙ্গ অবগত হওয়া যায় । হহাতে সময়ও নিণীত হইতে পারে । কাশীর মানমন্দিরের ইহাই সংক্ষিপ্ত বিবরণী। এই মানমন্দিরে স্থাপিত যন্ত্রসমূহের গঠনপ্রণালী ও তাহাদের ব্যবহারবিধি অল্পবিস্তর বিবৃত হইল। এই যন্ত্রগুলি সূৰ্য্যসিদ্ধাস্তের মূলস্বত্র অনুসারে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মহারাজ মানসিংহ এষ্ট মানমন্দিরটির নির্মাণকাৰ্য্য আরম্ভ করেন । ইহার পঞ্চাশ বৎসর পরে মহারাজ জয়সিংহ পূৰ্ব্বপুরুষের এই বিশিষ্ট কীৰ্ত্তির সংস্কার ও উৎকৰ্ষ সাধন করিয়া অনেক নূতন যন্ত্রের সমাবেশের দ্বারা উগর বিশেষ উন্নতি করিয়া তুলেন। যদিও ইহার বর্তমান পারিপাশ্বিক অবস্থা পধ্যবেক্ষণের পক্ষে তেমন অনুকূল নহে, তথাপি ইহা জয়সিংহে বৃএক অক্ষয় কীৰ্ত্ত। সুপ্তির সীমায় শ্রীরসময় দাশ জাগরণ মিশে যেথা সুপ্তির সীমায়, সেইখানে চেতনার সর্বপ্রান্তর্তীরে তোমারে কি দেখিলাম দীপ্ত মহিমায় ?— কনক-কিরণ ফুটে ওষ্ট ত ঘিরে ! নিদ্রারূপে অন্ধকার ধীরে আসে ছেয়ে, মিলায় সোনার আলো সন্ধ্যা-পারাবারে ; এ কি ভ্রাস্তি ? স্বপ্ন এ কি ?—কি দেখি চেয়ে,— স্বারের বন্ধু এলে হৃদয়ের দ্বারে! তন্দ্রাতুর অঁাথি দুটি, শ্লথ কলেবর, শিথিল চৈতন্য পরে ঘুম আসে নামি ; বহি আরতির ধ্বনি সমীর মন্থর জাগরণ-কোলাহল ধীরে গেল থামি । ভাল ক'রে দেখি নাই, বলি নাই কথা ; মুপ্তি এসে টানি দিল স্তন্ধ নীরবতা !