পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষlচ - শহুরে মেয়ে Nరిషాఢ ভারি ভারি, তিনি মানুষটাও দশাসই চেহারার । তাহার একখানা গহনা ভাঙিলে লতির তিনথান হইবে। ভাবিয়াচিস্তিয়া তিনি ভাজকে ডাকিয়া বলিলেন, “দেখ বাপু, গহনা তিনখানা না-হয় আমি দিচ্ছি, হাজার হ’লেও তোমাদের দায় আমারও দায় । বাপের বাড়ীর দুনাম কে শুনতে পারে ? বাকিট জোটাতে পারবে ত ?” এতক্ষণে মালতীর মায়ের বিবর্ণ মুখে হাসি ফুটিল, তিনি ষ্ট্রেট ইষ্টয় ননপের পায়ের ধূলা লঙ্গয় বলিলেন, “ত দিতে হবেই যেমন ক’রে হোক ৷” অতএব বিবাহে স্ন দিনক্ষণ দেখ! হইতে লাগিল, কথাবাৰ্ত্ত পাক হইয়া গেল । সরযু আসিল, বিমলাও আসিল । বরের আংটি সরযুস্থ দিবে বলিল, দ্বিীয় পক্ষের গৃহিণী সে, তাহার একটু খাতির বেশী । বিমল বিবাহের শাড়ী জামা দিল, লুকাইয়া অন্স কাপড়চোপড়ও কিছু কিছু দিল । মালতীর দুষ্ট মামার কাছে আবেদন নিবেদন করিয়া তাহার মা কিছু টাক আদায় করিলেন, তাহাতে ঘড়ি আর বাসন-কোসন জোগাড় হঠল । মালতীর মা গোছানী গৃহিণী, ছেড়া কাপড় দিয়া বাটি ঘটি প্রায়ই তিনি কিনিয়া রাখিতেন। সেগুলি এবার কাজে লাগিল । কিছু টাকা ধার হইল বটে, তবে সে সামান্ত, তাহার জন্য বাড়া বিক্রয় হইবে না । মোটের উপর সবাই খুসি হইল এই বিবাহে, বিয়ের ক'লে ছাড়া । তাহার কল্পনার রাজপুত্র বর কোথায় হাওয়ায় মিলাইয়া গেল, তাহার বদলে আসিল কি না এই অজ পাড়াগেয়ে ব্যক্তি ? মাগে, কি করিয়া সে আমন স্থানে বাস করিবে ? সাপে তাহাকে খাইয়া ফেলিবে, ম্যালেবিয়া হইয়া সে মরিয়৷ যাইবে । ওদেশে ত মানের ঘর নাই, কত কি নাই। মাগো মা, সে বঁাচিবে কি করিয়া ? মালতী পাড়াগ কখনও চোখে দেখে নাই, তাহার কল্পনায় সেট একটা বিভীষিকার রাজ্য হইয়া দেখা দিল । তাহার চোপে জল আসিয়া পড়িল, মুখ ভার হইয়া গেল । বিমলা বলিল, “ওকি লো, আজ বাদে কাল বর আসছে, তুই অমন মুখ ছাড়ি ক'রে বেড়াচ্ছিস কেন ? ছেলে ত ভাল শুনলাম।” মালতী গাল ফুলাইয়ু বলিল, “ছাই ভাল! দেখ এখন ঐ পাড়াগায়ে গিমেই আমি মরে যাব। শহরে বুঝি আর ছেলে ছিল না ?” সরযু বলিল, “বিন্ধুর্য মেয়ে কি না তাই তার মন উঠছে ন । আমাদের বাপু বাপ-মায়ে যেমন ধ’রে দিয়েছে তেমন নিয়েই আছি । সাধে বলে মেয়ে মাহুষের বেশী পড়াশুনো করতে নেই ?” বিমল বলিল, “সব তোর বাড়াবাড়ি বাপু, পাড়াগায়ে গেলেই মাচুষ অমনি ম’রে যায় কি না ? এই ত ও-বছর পূজোর সময় আমরা মাস থানিক পূরো আমার মামাশ্বশুরের গ্রামে গিয়ে থেকে এলাম। কচ, সবাই কি গেছি মরে ?” সরযূ বলিল, “যেমন কথা মেয়ের, গরীবের ঘরের মেয়ের অত খোট্‌ ধরলে চলবে কেন ? চল, তোর গহনা এসেছে দেখবি চল । পিসীমার গতরকে ধষ্ঠি, তার বালা জোড়া ভেঙেই লতির চুড়ি, হার আর আম্মলে তিনটাই হয়ে গেল প্রায় । মাত্র আর দু-ভরি ভাঙতি সোনা দিয়েছেন।” কিন্তু গহনার খবরেও মালতীর মুথের আঁধার কাটিল না। তা নাই কাটুক, বিবাহ তাহার হইয়াই গেল। বাসরধরে মেয়ের ভীড়ে বর তাহার সঙ্গে কথা বলিবার কোন সুবিধাই পাইল না, সুতরাং মালতী ধে কতখানি চটিয়া আছে তাহাও সে জানিতে পারিল না । পরদিন তাহাকে যাত্র করিতে হইল এই অবাঞ্ছিত বরের সহিত, তাহার “াড়াগায়ের ঘরে । বর, কনে, বরযাত্রী সব এক গাড়ীতেই উঠিল । বেশ দূর নয়, কলিকাতা হইতে ঘণ্ট। দুয়েকের পথ । সঙ্গে ম একটা ঝি দিয়াছিলেন তাই রক্ষা, ন হইলে ঘোমট টানিয়া, ঘাড় গুজিয়া বসিয়া বসিয়া মালতার ঘাড়ে মাথায় ব্যথা ধরিয়া যাহত । ঝি থাকাতে সে তবু দু-চারটা কথা বলিল, গোটা দুই মিষ্টি মুখে দিয়া এক গেলাস জলও খাইল। পাড়াগায়ের ষ্টেশনে এমন হুড়মুড় করিয়া তহিকে নামিতে হইল যে দশ-বার মিনিট তাহার বুকট কেবলই টিপ ঢিপ করিতে লাগিল । ছোট্ট ষ্টেশন, মালতী লাল বেনারসীর ঘোমটা ফাক করিয়া দেখিতে লাগিল। তাহার চারিদিকে ধানের ক্ষেত, মাঝে মাঝে কুঁড়েঘর, পুকুর, বাশঝাড় । বিকাল হইয়া আসিয়াছে, পশ্চিমাকাশে একেবারে রঙের প্লাবন । কিন্তু রাস্তাঘাট নাই, গাড়ীঘোড়া কিছু নাই। ঐ সরু জালের