سراج প্রবাসী
১Ne৪৪ কুশীলা বলিল—কি স্বভাব ? কাস্থ বলিল, আঃ নেকি ! স্বভাব ভাল নম্ন আর कि । স্থলীলা খলিল—ও, বউকে সন্দেহ করা এর রোগ তা হ’লে ? কাদু খুব জোরে হাসিয়া উঠিল, এতক্ষণ একটু বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছ তৰু। -- তবে তোমার কোন ভয় নেই। কেউ তাকাবে না ব'লেই ও সোদপুরের খাওড়াতলা থেকে তোমায় কুড়িয়ে এনেছে গে, স্বয়ে রাণী ! বার-বার নিজের রূপের নিন্দায় মুণীলা ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিল। সরোৰে কহিল,-তুমি দূর হওঁ । কাস্থ যাইতে ঘাইতে বলিল, এই বাণী বেজে উঠল— খাম আসছেন ঘরে। আজ আর পরোটা খাওয়া হ’ল न, शॉट्टे । আশ্চর্ঘ্যের বিষয়, স্বশীল সে-বিষয় স্বামীকে কিছুই বলিল না। যদিও ঘনশ্বামের কাছে সে ভাল ব্যবহার পাইয়াছে এবং চাবি আঁচলে বাধা পড়িবার সঙ্গে সঙ্গে বুখিয়াছে মাচুর্যটিও তাহার হাতের মুঠায় আসিল, তথাপি ওই পরশুর পীনে চাহিয়া ডম্বে সে স্তৰ হইয়া রহিল। হয়ত কাছুর স্বভাবচরিত্র ভাল নহে—সেই দোষে স্বামী তাহাকে ভাগ - করিয়াছে। মর্শ্বাস্তিক ব্যথা না পাইলে কেহ কি অকারণে পত্নী ত্যাগ করিতে পারে ? কাছুর সব কথাই যে সত্য এমন হইতে পারে না। স্ত্রীর চরিত্রে স্বামীর এই অকারণ সন্দেহ—ইহাতে সংসারে যে কত অশাস্তি আনে । কাজ নাই ঘনশুমের কাছে ওই সব কথা বলিয়, কান্ধ যদি চুরি করিয়া ছু-খানা পরোটা ভাজিয়৷ খায়, খাক। ধরা না পড়িলেই হইল। মাঝে হইতে সে কেন অশান্তি টানিয়া খানে ? অনঙ্গম যদি বলে—বউ, এবার পূজোয় কি চাই, বল ? মুণীলা অাদরে গলিয়া প্রার্থন জানায় না, ঢাকাই শাড়ী কিংবা আড়াই-প্যাচ তাগা। কখনও সে বলে না, এক দিন cनौकाग्र ध्फ़ाहेब्रा भवांद्र eभांtद्र हgफाग्र योरफ़श्रद्र मर्थन করাইয়া আন । রান্না সে ভাল করিতে পারে না। স্বামী ধে-সব থাৎ প্রব্যের নাম করেন সে-সব জিনিষ সে কখনও চোখেও দেখে নাই। সে জানে শাকের কয়েক প্রকার তরকারি ; মূল, বেগুন, আলু, কাচকলা আর কুমড়া তার পরিচিত। স্বামীর রুচিবর্ধনে তার অক্ষমতা দিন দিন তাকে ম্ৰিয়মাণ করিয়া তুলে। আর দেওয়ালে-টাঙানো ওই পরও দেখিলেই বুকের স্পন্দন বাড়িয়া উঠে—সারা দেহ কেমন যেন এলাইয়া পড়ে। ওই পরশুর পানে চোখ রাখিয়া স্বামী-সোহাগিনীর অনেক সাধই তাই বুকের তলায় জমাট বাধিয়া যায়। এ-দিকে চাবি পাইয়৷ কাছুর সাহস বাড়িয়া গিয়াছে। আপন মনে সে ভাড়ার খোলে, পরোটা কখনও কখনও লুচির আকার ধারণ করে, কখনও স্বজি, চিনি ও দ্বি দিয়া মোহনভোগ তৈয়ারী করে, কখনও সবটা আপনি খায়, কখনও বা স্বশীলাকে ডাকিয়া ভাগ দেয় । স্বশীল ভয়ে ভয়ে কাছুর কথা শোনে আর ভাড়ারের পানে চাহিয়া ভাবে অতিসতর্ক স্বামী যদি কোনদিন দ্বিময়দার হিসাব তলব করেন । তখন কি দশা হইবে কাছুর, আর কোথায় থাকিবে স্বশীলা ? দেড় বৎসরের মধ্যে তেমন ছুদিন অবগু আসিল না। ইতিমধ্যে মুণীলার একটি পুত্রসস্তান হইয়াছে। তাহাকে ভালবাসিয়া ধনঞ্চম অর্থের মমতা কিছু হ্রাস করিয়াছে। ঘনখামের অস্তরের মধ্যে প্রচও ক্ষুধা-কুরূপ স্বশীলাৰে । পাইয়া থানিকট খেল পরিতৃপ্ত হইয়াছে। যখন-তখন তাই সে অাদর করিয়া বলে—বউ, যাদের জন্মে সংসার তার কাছে না থাকলে কি ভাল লাগে ? আমি বাড়ীম্বর ভালবাসি, টাক ভালবাসি, জমিজমা ভালবাসি—সব আলাদা আলাঙ্গ, কিন্তু তোমাকে ভালবেসে মনে হয়, এই সমস্ত জিনিষ আর আলাদা নেই-এক জায়গায় এসেছে। এই ভালবাসার ফল এই সোনার টুকরো —বলিয়া ছেলেকে সে সম্বেন্ধে झुवन काब्र। এক দিন ভালবাসার কৰা উঠিলে স্বশীল ফুক্ষণে বলিল, ও-কথা দিদিদের বেলায়ও ত বলতে —ঘনখাম ঈষৎ আহত হইয়া বলিল, কে বললে এ-কথা । কান্থ বুঝি ? স্বশীল ঘাড় বাঞ্চাইয়। বলিল, বা রে! সে বলবে কেন? —তবে সে কি বলেছে ? বলিয়া ঘনতাম তীক্ষ দৃষ্টিতে হশীলার পানে চাহিল।