পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8の3 প্রবাসী ১৩৪৪ ছ’কড়ির বয়স বাইশ উত্তীর্ণ হইয়া গেল অথচ তাহার বিবাহ এখনওঁ দেওয়া গেল না, ইহা অত্যন্তই অন্যায় হইতেছে । বিবাহ-প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলেই ছ’কড়ি লেখাপড়ার অজুহাত উপস্থিত করে। কিন্তু পোদার মহাশয় ভাবিধ দেখিলেন এবং মাধব কুণ্ডুও সে-কথা সমর্থন করিলেন যে জোর করিয়া বিবাহ না দিলে ছ’কড়ি কিছুতেই বিবাহ করিবে না এবং এই যৌবনকালে বিবাহ না করিলে নানা প্রকার অঘটন ঘটিতে পারে---বিশেষত: কলিকাতার মত শহরে । পোদ্দার মহাশয়ের স্বজাতি ও বাল্যবন্ধু বিশ্বনাথের মেয়েকেই তিনি ছ’কড়ির জন্য মনোনীত করিয়া রাখিয়াছেন। বহু দিন পূৰ্ব্বেক বিশ্বনাথের সহিত র্তাহার কথাবার্তা গোপনে পাপ হুইয়া আছে । বিশ্বনাথ কলিকাতায় বেশ ফালা ৪ ব্যবসা করেন, লোক ও ভাল, পেদার মহাশয়ের ভারি পছন্দ । তাছাড় বাল্যবন্ধু। সৰ্ব্বোপরি বছর-চারেক পূৰ্ব্বে বিশ্বনাথ যখন দেশে আসিয়াছিল তখন তিনি তাহাকে এক রকম পাক। কথাই দিয়াছেন । সুতরাং ঐখানেই বিবাহ দেওয়া ঠিক । মাধব কুধুও এ বিষয়ে এক মত। পাক কথা দেওয়ার পর হইতেই—অর্থাৎ প্রায় চারি বৎসর ধরিয়া—পোদ্ধার মহাশয় ও বিশ্বনাথের পত্ৰযোগে বিবাহ-সম্বন্ধীয় নানারূপ চলিতেছিল ; পোদার মহাশয় ভাবী পুত্রবধূ সম্বন্ধে বিশ্বনাথকে প্রায়ই লিখিতেন— “দেখিও ভায়, মেয়েটিকে যেন ফেশিয়ান-দুরস্ত করিও না। ইস্কুলে-পড়া হাল-ফেশিয়ানি মেয়েদের কাণ্ডকারখানার কথা শুনিলে গায়ে জর আসে । বউমাটিকে গৃহকৰ্ম্মনিপুণ কর । আমার সহধৰ্ম্মিণী এখনও টেকিতে পাড় দিতে পারেন এবং দশট যজ্ঞ্যির রান্না একাই রাধিতে পারেন। তাহার দেওয়া বড়ি ও আমসত্ত্ব গ্রামসুদ্ধ লোক খjইয়া প্রশংসা করেন। দেখিঙ ভায়, বউমাটি যেন এই চtল বজায় রাখিতে পারে—” উত্তরে বিশ্বনাথ লিখিতেন“ভায়, তুমি মোটেই চিন্তিত হইও না । মেয়েকে ংসারধৰ্ম্মে সুনিপুণ করিতে আমার চেষ্টার কোন ক্রটি নাই । তোমার বউম মশলা বঁটা, কাপড় কাচা হইতে আরম্ভ করিয়া সৰ্ব্বপ্রকার গৃহকৰ্ম্ম নিয়মিত ভাবে করিয়া 241-1 í s- *41c :ifi tfS থাকে। সম্প্রতি সে উল-বোনা ও জরির কার্য্য করিতেও শিখিয়াছে । সেদিন সে একটি রেশমের কাপড়ে রঙীন মৃতা দিয় এমন সুন্দর একটি হংস আঁকিয়াছে যে দেখিলে সত্যই অবাক হইতে হয়—” ইহার উত্তরে পোদার মহাশয় জবাব দিতেন-- উল-বোনা ও জরির কার্য্য সাধারণ গৃহস্থালীর কোন প্রয়োজনে আসে না । রেশম বলে অঙ্কিত রঙীন হংসই ব৷ fক এমন উপকারে আসিবে বুঝি না। তুমি বুদ্ধিমান ব্যক্তি, লেখাপড় শিথিয়াছ, তোমাকে উপদেশ দেওয়! আমার সাজে না । কিন্তু তোমাকে পুন: পুনঃ অঃfম এই অনুরোধ জানাইতেছি, বউমাটিকে ফেশিয়ান-দু:স্ত করিও না। কালের গতিক সুবিধার নহে। মাধব কুধু BBBB BKK BBB BBBBBBB BBBB BBBK 00 সমস্ত মন্তব্য করে তাহাতে আমাদের মত মুখ লেit rর আঞ্চেল গুডুম্ হইয়া যায়—” ফেরত ডাকেই বিশ্বনাথের জবাব আসিত— “উল-বোন ও জরিম কাৰ্য্য বন্ধ করিলাম । বস্ত্রে কোন প্রকার চিত্রাদি ও আর আঁকা হইবে । —” এই ভাবে চারি বৎসর চলিতেছিল । ছ’কড়ি বিন্দুবিসর্গ জানে না। সে কলিকাতায় মেসে থাকিয়া পড়াশোনা করে বিবাহের কথা উঠিলে বলে যে পড়াশোনা শেষ কfরয়; তবে সে বিবাহ করিবে—-তৎপুৰ্ব্বে নয়। কিন্তু মাধব কুণ্ডুর পরামর্শ অনুযায়ী পোদার মহাশয় ঠিক করিলেন যে জোর করিয়া বিবাহ না দিলে স্বেচ্ছায় ছ’কড়ি বিবাহ করিবে না । আজকালকার ছেলেছোকরীদের কাণ্ডকারখানাহ আলাদা রকমের । এই প্রসঙ্গে মাধব কুণ্ডু বৰ্ত্তমান পাশ্চাত্য শিক্ষার দোষগুলি লইয়া সবিশেষ আলোচনা করিলেন । পরদিনই পোদ্দার মহাশয় মাধব কুণ্ডুর নির্দেশমত ছ’কড়িকে পত্র দিলেন যে আগামী মাসের ১৭ই তারিখে বিবাহের দিনস্থির হইয়া গিয়াছে, সে যেন অবিলম্বে বাড়ী চলিয়া আসে। ( 직 v) ইহার উত্তরে ছ’কড়ি যাহ! লিখিল তাহাতে পাচকড়ি