পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8公8 তাহার বাহন তাঁহারই স্কন্ধে আরোহণ করে। তবু মোটের উপর জিনিষটার সাহায্যে তাহার পথ একটু সংক্ষিপ্ত इष्ट्र ! তপন পথে চলিয়াছে, গ্রামের মেয়ের স্বান সারিয়া জলের কলসী লইয়া বাড়ী চলিয়াছে, মেছুনীর টুকরীতে রূপার মত ঝকৃঝকে ছোট ছোট মাছগুলি শালপাতার তলায় ঢাকা দিয়া বেচিতে চলিয়াছে, চাষীরা প্রথম বৃষ্টির পরেই মাঠে লাঙ্গল চৰিতে স্বরু করিয়াছে, প্রচণ্ড গ্রীষ্মের পর প্রথম ধারাহ্মানে প্রকৃতির খামঐ ফুটিয়া উঠিয়াছে। তপনের চোখে এই মাটির পৃথিবীকে আজ যেন অনন্ত ঐশ্বধ্যশালিনী মনে হইতেছে। তাহার চোথে সে বুঝি মায়ার অঞ্জন পরিয়া আসিয়াছে । সে বিস্মিত হইয়া ভাবে এই কলসীর ছলছল, এই মলিন অঞ্চলের তলে সিক্ত কেশপাশ, এই লাঙ্গলের ফলার দুপাশে ভাঙিয়-পড়া মাটির ডেল, এই পুকুরঘাটের খাওলা-পড়া পাথর সে ত জন্মাবধি দেখিতেছে, কিন্তু তাহ অনবদ্য হইয়া উঠিল আজ এতকাল পরে ! একজনের চোখে একদিন এগুলি সুন্দর লাগিয়াছিল সে প্রষণসী S\తి88 তাহাতেই বুঝি আপনার দৃষ্টির অমৃত বুলাইয়া দিয় গিয়াছে ! কাল মিলির গায়েহলুদ, পরশু বিবাহ । তার পর এই জমাট উৎসব-আয়োজন ছিন্নভিন্ন ছত্রভঙ্গ হইয়। যাইবে । কেহ কাহারও দেখা আর সহজে পাইবে কি না কে জানে । কি ছল করিলে কাহার সন্ধান পাওয়া যায় তাহা নিত্য নূতন করিয়া ভাবিতে হইবে । তবুও হয় ত নিত্য দেখা করিবার সাহস সঞ্চিত হইয়া উঠিতে লাগিবে বহু দীর্ঘ কাল । তাহার ভিডর পৃথিবীতে ত কতই অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটিয়া যাইতে পারে । পৃথিবীতে শুধু প্ৰলয়, মহামারী, আকস্মিক দুর্ঘটনাই যে ঘটে তাহা নয়, তপনের অপেক্ষ দুঃসাহসিক মাতুষ, যোগ্য মানুষও পৃথিবীতে অনেক আছে। তাহারা যে ইতিমধ্যে তপনের অন্তরলক্ষ্মীকে জয় করিবার চেষ্ট না করিতে পারে এমন নয়। বাঙালীর মেয়ের পিতামাতাও তাহার ভবিষ্যৎ ভাবেন, তাহারাও হয়ত কত কল্পনাঞ্জল্পনায় ব্যস্ত আছেন, যাহা দুষ্ট দিন পরে প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার মতই তপনের চিত্তাকাশ অন্ধকার করিয়া মূৰ্ত্ত হঠয় DBBBS BB TD DBB BBBg DDBB BBB BB BBBS BBB BBB BBBB BB BBB BBB চিনিতে পারিয়াছে। সেই চোখ দুটি যাহা দেখিয়াছে উঠিল । ক্রমশ: অন্ধ্র দেশ শ্ৰীবীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় মাদ্রাজ মেল বেজওয়াডায় পৌছায় নটা ত্রিশ মিনিটে। মাইল খানেক দূর হইতেই অসংখ্য আলোয় উজ্জল ষ্টেশন দেখিতে পাওয়া গেল। গাড়ী প্ল্যাটফমে ঢুকিতেই দূরে বাবাকে দেখিতে পাইলাম। কিন্তু তাহার পাশে এক অতিশয় স্থূলকায়া মাদ্রাজী মহিলাকে দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইলাম। ভুল ভাঙিল তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া। ট্রেন হইতে নামিয়া বাবাকে প্রণাম করিতেছি,—শুনিলাম, উদ্বিগ্ন বিঘ্নিত কণ্ঠে মা বলিতেছেন, “ও মা, এ কি চেহারা হয়ে গেছে, বাবা ?" চেহারা যে বাস্তবিক বেশী কিছু খারাপ হইয়াছিল তাই নয়। আত্মীয়স্বজনের কাছ হইতে দূরে থাকিয়া বাঙালীর ছেলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতে থাকিলে শরীর যতটুকু খারাপ হওয়া উচিত তাহার বেশী নয় । যাহা হউক, মা আশ্বাস দিলেন, এখানকার কৃষ্ণার জল খুব ভাল ; অতি শীঘ্রই আমাকে নূতন মানুষ তৈয়ার করিয়া দিবেন। তাহার পানে চাহিয়া সে কথা আমার অবিশ্বাস হইল না। বস্তুতঃ আমি বেজওয়াডায় প্রথম দুই মাসেই পচিশ পাউণ্ড ওজনে বাড়িয়াছিলাম, এবং পরে কলিকাতায়