泉9 প্রবাসী $888 ঘনশুমে আষাঢ়ের মেঘের মত থমথমে চোখে দেওয়ালের পানে চাহিল ; খানিক আগাইয়া আসিয়া টাজিথানি হাতে তুলিয়া আঙুল দিয়া তাহার ধার পরীক্ষা করিল, অতঃপর যেন কিছু হয় নাই এমন ভাবে সেখানা যথাস্থানে রাখিয়া বলিল—যাও, উঠে রায় করগে। আজি সকাল-সকাল থেয়ে একটু ঘুমুবো। কাল ভোরবেলায় ডিউটি আছে। রায় ধা করিল সে কুশীলাই জানে। কোনটায় মুন পড়িল না, কোনটায় ঝাল দিল বেণী ; ডাল ধরিয়া একটু গন্ধও বাহির হইয়াছিল বইকি ! কিন্তু খাইতে বসিয়া ঘনখাম অণুমাত্র অম্বুযোগ করিল না। অন্য নিখুঁত ধরিয়া অনেক জিনিষ পাতে ফেলিয়া রাখে, আজ পরিতোষ সহকারে ভাল, তরকারি, ভাত চাহিয়া চাহিয়া খাইল । খাওয়া শেষ হইলে মুণীলাকে উদেশ করিয়া বলিল—শ্বরে এসে আলো জেল না যেন, আমি যুমুব । - ইতিমধ্যে কাছুর সঙ্গে মুণীলার কয়েক বার চোখাচোখি হুইয়াছে, কিন্তু স্বশীল ভয়ে কি লজ্জায় কথা কহিতে পারে নাই। তাহাকে মুহূৰ্ত্তের জঙ্কও সাবধান করিয়া দিতে পারে নাই যে আজ আবার ঘনগুাম টাদিতে হাত দিয়া তাহার ধার পরীক্ষা করিয়াছে। ভাবিল, একই বাড়ীতে এত কাণ্ড হইয় গেল-কাছ কি কিছুই শোনে নাই ? কিছুই বোঝে নাই ? পরদিন প্রাতঃকালে স্বশীল বুঝিতে পারিল, কাছ সবই গুনিয়াছে ও বুধিয়াছে। না বুঝিলে এতক্ষণ সে হাশিতে হাসিতে আসিয়া হয়ত বলিত, কি লে। স্বপ্নে, কাল রাত্তিরে মানের পালা জমল কেমন ? বলি, দ্বম্বোরাণীর কি হেঁটেকাটা ওপরে কাটা ? যাক, বাচ গিয়েছে কান্ধু পলাইয়াছে। না পলাইলে... হঠাৎ হশীলার বুকখন গুর গুর করিয়া কঁপি উঠিল। মনে পড়িল কাছুর কথা, সকালে উঠে দেখি ও কলে কাজ করতে গেছে, দিদি মেই ।--আর টাদিতে "ফোট রক্ত ! ছুটি স্বশীল শোবার ঘরে গেল ও হুিড় হিড় করিয়া টুলপান টানিয়া যে-দেওয়ালে টাদি টাঙ্গান ছিল—সেইখানে আনিল। তার পর টুলের উপর উঠিয়া সে তীক্ষ দৃষ্টিতে টাঙ্গির পানে চাহিল। না, চকুচকে অন্ত্রখানির কোথাও শোণিতচিহ্ন নাই। প্রভাতের আলোয় সে যেন পূৰ্ব্বাপেক্ষ मिशबढ़ cणांख्य शैौश्रामांन । তৰু বুকের স্পন্ন থামিতে চাহে ন, মনের সন্দেহ ধোচে না। কম্পিত হাতে অস্ত্রখানি তুলিতে গিয়াই স্বশীলার নজর পড়িল তার বাটের দিকে। প্রভাতের উজ্জ্বল আলোয় দৃষ্টি তাহার প্রতারিত হইল না। অদৃপ্ত জীবাণু যেমন অণু বীক্ষণের সাহাধ্যে স্পষ্টতর হইয় উঠে তেমনই ওই দুফোট ফ্যাকাসে রক্ত পরশুর কাঠের বঁাটে লাগিয়া আছে । কাছুর রক্ত ? হতভাগিনী কাদুর রক্ত ! চীংকার করিয়া স্বশীলা টুল হইতে পড়িয়া গেল । o 尊 犧 কতক্ষণ পরে জানে না, জ্ঞান হইতেই সে চোখ মেলিয়া দেখিল সারা ঘরখানি লালে লাল হুইয়া গিয়াছে। পবগুর গ৷ বহিয়া রক্ত ঝরিতেছে, টুল রক্তে মাখা। স্বশীলার কাপড়, কেশ, হাত ও গহনা সবই লাল। আকাশের কোলে আরক্ত স্বর্য গাছের মাথা ও বাড়ীর ভাঙা প্রাচীর রাঙাইগ্! আকাশেও যেন আগুন ধরাইয়া দিয়াছে। কাছুর দিদি গিয়াছে, কান্ধু নাই—এবার পালা স্বশীলার । ওই নারী-শোণিত-লোলুপ পরশু অত্যুগ্র ক্ষুধায় শাণিত দৃষ্টিতে যেন স্বশীলার পানে চাহিয়া আছে! যুগ-যুগান্তরের তৃষ্ণ উহার নিষ্ঠুর ইস্পাত-পিচ্ছিল ঝকঝকে দেহে দ্বাদশ সুধের জ্যোডিতে জুলিতেছে। মুশীলা আর অপেক্ষা করিল না। দুই বাহু বাড়াইয়া সুপ্ত শিশুকে কোলে টানিয়া লইল ও তাহার অকালনিদ্রাভঙ্গজনিত চীংকারে কর্ণপাত না করিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতে লাগিল। -
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।