পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80io পারিবে, তখন সেই অবস্থা সন্তোষকর হইবে। আমাদের কাপড়ের জন্য যত তুলা আবশ্বক তার চেয়ে বেশী তুলা তখন ভারতবর্ষে জন্মিলে বিদেশী লোকেরা তাহাদের আবশ্বক হইলে কিনিতে পারিবে। “আমরা তোমাদের যত তুলা যত দামে কিনি, তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক দামে তাহা হইতে উৎপন্ন স্বতা ও কাপড় তোমাদিগকে বিক্ৰী করি, অতএব আমরা তোমাদের বন্ধু, এবং সেই বন্ধুত্বের খাতিরে তোমরা আরও বেশী করিয়া আমাদের তৈরি স্থতা ও কাপড় ক্রয় কর,” ইহা বড় চমৎকার যুক্তি। এই প্রকার বন্ধুত্বের এই প্রকার প্রতিদান করিতে বলার মানে, “তোমরা চিরকাল কাপড়ের জন্য আমাদের মুখাপেক্ষী হইয়া থাক।” ভারতবর্ষ কাপড় সম্বন্ধে আগে কোন কালেই পরমুখাপেক্ষী ছিল না ; ইংরেজ রাজত্বের প্রারম্ভকাল পৰ্য্যস্ত নিজের কাপড় নিজেই উৎপন্ন করিত, অধিকন্তু অনেক কাপড় বিদেশে রপ্তানী করিত। ম্যাঞ্চেষ্টারের বণিকগণ জানিয়া রাখুন, ভারতবর্ষের স্বরাজ্য লাভে সাহায্য করিলে, অন্ততঃ তাহাতে সম্মতি দিলে, তাহার দ্বারাই ইংরেজরা ভারতীয়দের প্রতি সদ্ভাব দেখাইতে ও তাহাদের সদ্ভাব লাভ করিতে পারিবেন, নতুবা নহে । “হিন্দু” ও “পৌত্তলিক” ভাষা রংপুরের টাউনহলে কিছু দিন পূৰ্ব্বে মৌলানা মোহম্মদ আকরম খাঁ যে বক্তৃত করেন, তাহাতে তিনি হাণ্টার সাহেবের নিম্নমুদ্রিত কথাগুলি উদ্ধৃত করিয়াছিলেন ও তাহার বাংলা অতুবাদ দিয়াছিলেন বলিয়া “সঞ্জীবনীতে দেখিলাম । “The language of our Government schools in Lower Bengal is Hindu, and the masters are Hindus. The higher sort of Musalmans spurned the instructions of idolators through the medium of the language of idolatry.” Woss, “xtoll (WCo. আমাদের সরকারী স্কুলগুলির ভাষা হিন্দু এবং সে ভাষার শিক্ষকেরাও হিন্দু । পৌত্তলিক শিক্ষকদিগের দ্বারা পৌত্তলিক ভাষার মধ্যবৰ্ত্তিতায় প্রদত্ত এই শিক্ষাকে উচ্চশ্রেণীর মুসলমানের ঘৃণার সঠিত বর্জন করিয়াছেল !” ( অনুবাদ বক্তার ) । ইংরেজী বাক্যগুলি হাণ্টারের কোন বহির কোন পৃষ্ঠা হইতে উদ্ধৃত, তাহা লেখা নাই। হাণ্টার সাহেব ইহলোকে নাই । তিনি জীবিত প্রবাসী S\రి8g থাকিলে তাহাকে কয়েকটা প্রশ্ন করা চলিত। বাংল ভাষাটা “হিন্দু" ভাষা ও "পৌত্তলিক” ভাষা এবং সব নি “পৌত্তলিক" ইহা সম্পূর্ণ সত্য ন হইলেও যদি সত্য বলিয়া মানিয়া লণ্ডয়া যায়, এবং মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষা বর্জনের যে কারণ হাণ্টার দেখাইয়াছেন, তাহা যদি মৃত্যু বলিয়া মানিয়া লণ্ডয়া যায়, তাহা হইলেও মুসলমানরা অহিন্দু ও অপৌত্তলিক ইংরেজী ও উর্দু ভাষার সাহায্যে কেন আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করিতে সেরূপ ব্যগ্র হয় নাই, “পৌত্তলিক” হিন্দুরা "পৌত্তলিক হিন্দু" বাংলা ভাষার ও অপৌত্তলিক ইংরেজী ভাষার সাহায্যে আধুনিক শিক্ষ গ্রহণ করিতে যেরূপ বাগ হইয়াছে, তাহা হাণ্টারের উক্তি দ্বারা অব্যাখ্যাত ধরিয়া লওয়া যাক্, হিন্দু শিক্ষকরা সবাই *ে* লিক ছিলেন ( যদিও ঠহ সত্য নহে ), কিন্তু মিশনর স্কুলকলেজসমূহের দেশ ৪ বিলাতী খ্ৰীষ্টিয়ান শিক্ষক ও অধ্যাপকেরা ত অনেসে ই “অপৌত্তলিক” ছিলেন, এবং প্রথম প্রথম সরকার সব কলেজেও অধিকাংশ অধ্যাপক ছিলেন “অপৌত্তলিক" খ্ৰীষ্টিয়ান ইংরেজ । এই সকল শিক্ষ-প্রতিষ্ঠানেও মুসলমান ছাত্র কেন কম ছিল এবং অধিকাংশ ছাত্রই কেন হিন্দু ছিল, তাহার কারণ হাণ্টারের উক্তিতে পাওয়া যায় না। যদি বলেন, ইংরেজ রাজত্বে মুসলমানদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হইয়া যায়, বা মুসলমানরা ধৰ্ম্মশিক্ষাশুন্ত পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণে ধৰ্ম্মহানির ভয়ে তাহা অপৌত্তলিক উচ্চু ও ইংরেজীর সাহায্যে অপৌত্তলিক শিক্ষকদের সাহায্যে প্রদত্ত হইলেও তাঁহ গ্রহণ করে নাই, তাহা হইলে বাংলা ভাষার সাহায্যে হিন্দুশিক্ষকদের দ্বারা প্রদত্ত শিক্ষা গ্রহণ নী করিবার কারণও ত তাহাই ছিল মনে করা যুক্তিসঙ্গত ; “হিন্দু” ও “পৌত্তলিক” ভাষা এবং “পৌত্তলিক” শিক্ষকদিগকে অকারণ এই কারণব্যাখ্যার মধ্যে টানিয়া আন অনাবশ্যক এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ জন্মাইবার উদ্দেশ্যে তাহী করা হইয়াছে । কলেজগুলির শিক্ষার বাহন এখনও "পৌত্তলিক” “হিন্দু" ভাষা বাংলা নহে, আগে ত কলেজে বাংলা পড়ানই হইত না। কলেজী শিক্ষার বাহন অপৌত্তলিক ইংরেজী ভাষা । কলেজগুলিতে দলে দলে মুসলমান ছেলেরা কেন যায় নাই 叱”诗