পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○ a. প্রবণসী — | SNごBB কোন অহিন্দু হিন্দুদিগকে আক্রমণ করিলে, অহিন্দুকে উন্ট তদ্রুপ আক্রমণ সমূচিত উত্তরও নহে। প্রত্যেক ধর্মের বিচার হওয়া উচিত তাহার শ্রেষ্ঠ শাস্ত্রের দ্বারা। রামমোহন রায় এক শতাব্দীরও পূৰ্ব্বে ইংরেজীতে “A Defence of Hindu Theism" at* fss লিথিয়া এবং বাংলাতেও তদ্রুপ পুস্তিকা লিথিয়া অহিন্দুদিগকে দেখাইয়াছিলেন যে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ উপদেশ পৌত্তলিকতার উপদেশ নহে। যাহারা হিন্দুধৰ্ম্মকে পৌত্তলিক ধৰ্ম্ম মনে করেন তাহারা এই পুস্তিকাগুলি এবং রাজনারায়ণ বস্থর ‘হিন্দুধৰ্ম্মেব শ্রেষ্ঠতা’ নামক পুস্তিকাটি পড়িয়া দেখিবেন । এই শেষোক্ত বক্তৃতাটিতে খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের মধ্যে এরূপ সাড়া পড়িয়া গিয়াছিল, যে, উহার সংক্ষিপ্তসার ইংরেজীতে লণ্ডনের বিখ্যাত দৈনিক টাইমসে প্রেরিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। বাংলা ভাষা যদি “হিন্দু ভাষা ও পৌত্তলিক” ভাষাই হয়, তাহা হইলে "অপৌত্তলিক” বাঙালী মুসলমানের ও “অপৌত্তলিক” বাঙালী খ্ৰীষ্টিয়ানের কেন এই ভাষায় কথা বলিতেন ও বলেন, অনেক বহি ও প্রবন্ধও কেন ঐ ভাষাতে লিখিতেন ও লেখেন, হাণ্টার সাহেব পরলোকে এই প্রশ্নের উত্তর নিজের মনকে দিবেন ; আমরা উত্তর চাই না। কোন ভাষার ছোয়াচ শুধু স্কুলে সেই ভাষার বহি পড়িলেই লাগে না, তাহাতে কথা বলিলেও ত ছোয়াচ লাগে ! পদ্মফুলের ছবি ও “শ্ৰী” মৌলানা আকরম খাঁর বক্তৃতা হইতে আমরা আর কয়েকটি বাক্য উদ্ধৃত করিতেছি । এতদিন পৌত্তলিকতার মহিমাপ্রচার করা হইয়াছিল শুধু পুথিপুস্তকের মধ্য দিয় । প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ সঙ্কল্প করিলেন এই শিক্ষাকে বাস্তব রূপ দিতে। এই উদ্দেশ্বে হার বে পতাকা-অভিবাদনের অক্সষ্ঠান করিলেন, তাহার একমাত্র বৈশিষ্ট্য ছিল—কমলদলবিহারিণী কমলার প্রতীক পদ্ম ও ঐ ; আদেশ তষ্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র এই কমল ও কমলা শোভিত পতাকাকে অভিবাদন করিবেন । ইহা সত্য নহে, যে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কখনও পৌত্তলিকতার মহিমা প্রচার করিতেছিল বা এখন করে। পদ্ম কমলদলবিহারিণী কমলার আসন বটে, “প্রতীক” নহে ; কিন্তু যেখানে পদ্মের ছবি থাকিবে সেখানেই লক্ষ্মী বা সরস্বতীর চিত্র উহ আছে, এরূপ কল্পনা করা উচিত নহে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকায় কোনও দেবীর ছবি নাই, ছিল না । ললিতকলা সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ শ্রযুক্ত অৰ্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয়ের প্রমুখাং অবগত হইয়াছি ইসলামিক স্থাপত্যে পদ্ম প্রাসাদ সমাধি মসজিদ আদিতে কোথাও কোথাও আছে। প্রয়োজন হইলে তিনি তাহার দৃষ্টাস্তের উল্লেখ করিতে পারেন। শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র সরকার গত জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে ब्रिशिग्रारश्न (श्रृं. २u०-२es ) : “মুসলমান স্থাপত্যরীতিতে মসজিদগাত্র পত্রপুষ্পাদিতে শোভিত কর। দোষাবহ বলিয়া বিবেচিত হইত না । তাই তথনকার ও তৎপরবর্তী অনেক মসজিদের বহির্গাত্রে ও স্বারদেশে পদ্ম টংকীর্ণ দেখিতে পাওয়া যায়। মসজিদের বহির্গাত্রেই ষে এই রূপ পদু উৎকীর্ণ হইত তাহী নহে--মসজিদের অভ্যস্তরভাগেও মিহরালের উপরিদেশ উৎকীর্ণ পদ্মে সুশোভিত করা হইত। খ্ৰীষ্টীয় চতুৰ্দশ শতাব্দীতে গৌড়েশ্বর স্বলতান সিকদর শাহ নিৰ্ম্মিত স প্রসিদ্ধ আদিনা মসজিদের মিহরাবেও এইরূপ পদু টং কীর্ণ আছে। পদুচিহ্নের সহিত ইসলাম ধৰ্ম্মে পৌত্তলিকত। প্রবেশের আশঙ্কা থাকিলে স্বাধীন মুসলমান সুলতানগণ কখনই তাহার প্রচলন অনুমোদন করিতেন না । অথচ বাংলার ইতিহাসে এই স্বাধীন সুলতানগণের যুগই সকল দিক হইতেই বাঙালীর স্মরণের যোগ্য সমগ্র মুসলমান অধিকারের ভিতর এই সময়েষ্ট বাঙালীর প্রতিভা অপূৰ্ব্ব প্রেরণায় উদ্ধ স্ক হইয়। শিল্প, স্থাপত্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অভিনব বেশে আত্মপ্রকাশ করে। আজ ইসলাম ধর্থের ক্ষুণ্ণতা আশঙ্কায় যাহারা অস্থির হক্টয়া পড়িয়াছেন, "াহার। কি এই স্বাধীন সুলতানগণের গৌরবময় কাহিনী জাতির তরুণ শিক্ষার্থিগণকে বিস্মৃত হইতে বলেন ? এই প্রসঙ্গে আমরা অম্লান্য বহু মসজিদে পদ্ম উৎকীর্ণ থাকার বিবরণ উল্লেখ করিতে বিরত থাকিয় জনৈক ইসলামধৰ্ম্মপ্রচারকের প্রতিষ্ঠিত ( পদূচিহ্নশোভিত ) মসজিদের বিবরণ পাঠকগণের নিকট বিবৃত করিতেছি। বিগত ফাল্গুন মাসে এই মসজিদ আমি স্বচক্ষে দর্শন করিয়াছি । ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ উপবিভাগের অন্তর্গত অষ্টগ্রাম একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ গ্রাম এবং হিন্দু মুসলমান বহু শিক্ষিত ও সন্ত্রাস্ত লোকের বাসস্থান। পূৰ্ব্বোল্লিখিত গৌড়ীয় স্বাধীন সুলতানগণেরও পূৰ্ব্বে কুতুবনামধেয় জনৈক ইসলামধৰ্ম্ম প্রচারক সিদ্ধ মহাপুরুষ এই স্থানে উপস্থিত হইয়। এতদঞ্চলে ইসলামধৰ্ম্মের প্রচারকার্য্য আরম্ভ করেন । র্তাহার প্রতিষ্ঠিত মসজিদ অদ্যাপি অষ্টগ্রামে বর্তমান আছে। উত্ত মসজিদের গাত্র ও দ্বারদেশের ইষ্টকশ্রেণী প্রস্ফুটিত পদ্মে সুশোভিত করা হইয়াছে। অদ্যাপি এই মসজিদে নিয়মিত জুম্মার নমাজ