পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ সেকালের ছাত্রসমাজ خلاقة |! গোন্দলপাড়া প্রভৃতি পল্লীর ছাত্রগণের দ্বার কয়েকটি ভেলম্বিগ দিগ, সমিতি গঠিত হয়। আজকাল কলিকাও, বালী, কোন্নগর, রামপুর, হাওড়, হুগলী, চুচুড়া প্রভৃতি স্থানে বহু কপাট বা ভেলম্বিগ দিগ, সমিতি গঠিত হইয়াছে এবং বেশ সমারোহের সহিত ঐ খেলার প্রতিযোগিতা হয়। মতিবাৰু আমাদের এই জাতীয় ক্রীড়াকে “ফুটবল” “ক্রিকেট" “টেনিস প্রভৃতি বৈদেশিক ক্রীড়ার সমান মধ্যায় প্রদান করিয়া দেশবাসীর ধন্যবাদড়াজন হইয়াছেন, সন্দেহ নাই । জাতীয় খেলাধূলার প্রতি অনুরাগ আত্মমর্যাদাজ্ঞানেরই পরিচায়ক। আমার মনে হয় যে, সেকাল অপেক্ষা একালের ছাত্রসমাজে আত্মমৰ্য্যাদাজ্ঞান প্রবল হুইয়াছে । সেকালে ছাত্রসমাজে দেশাত্মবোধ ছিল না বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হয় না। আমাদের সমসাময়িক ছাত্রসমাজে স্বদেশপ্রেম বা স্বদেশাচুরাগের স্বত্রপাত হইয়াছিল কবিবর হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের ভারতসঙ্গীত হইতে । তাহার সেই – বাঞ্জত্বে বীণা বাজ এই রবে সবাই স্বাধীন এ বিপুল ভৰে, সবাই জাগ্ৰত মানের গৌরবে ভারত শুধুই ধুমারে বৃয় । আবৃত্তি করিতে করিতে সেকালের যুবকদের হৃদয় উৎসাহে স্ফীত হইয়া উঠিত। কিন্তু সেই উৎসাহ ঐ কবিতার আবৃত্তিতেই শেষ হইত। সেকালে কোন বাঙালী কোন খেতাঙ্গের সহিত যে মারামারি করিতে পারে, তাহা আমরা ধারণাই করিতে পারিতাম না। কোন শ্বেতাঙ্গ কোন অস্কায় কার্ষ্য বা অত্যাচার করিলে তাহার প্রতিকার আমরা অসম্ভব বলিয়াই মনে করিতাম । সেকালের বাঙালীর এই ভীরুতা দর্শনে স্বৰ্গীয় কবি রাজকুষ্ণ রায় লিখিয়াছিলেন– একটা সাহেব যদি রেগে ওঠে শতটা বাঙ্গালী প্রাণভয়ে ছোটে ”দে রে ভুল বলি ভূমিতলে লোটে ঘুষির প্রচারে কাতর হয় । সত্যই এখনকার পঞ্চাশ-যাট বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙালীর ভীরুতা ও কাপুরুষতা এইরূপই ছিল। সেই জঙ্ক আমরা বাল্যকালে যখন গল্প গুনিতাম যে, সত্ব স্বরেন্দ্রনাথ यहम्मTांनाधTारग्रग्न कfनॐ बांड जिरठश्वनाथ cश्वकार्यौ काव्रপাচটা গোরাকে মল্লযুদ্ধে হঠাই দিয়াছেন, বিলাতে গিৰী সেখানে সাহেবের সঙ্গে মারামারি করিয়া নাম কিনিয়াছেন, ठथन भांभब्रा छिरटअनाथरक अडिधांनब यजिब्रा बान করিতাম। আমরা বাল্যকালে দেখিয়াছি, যে, এক জন ফিরিদী, কি একটা কাবুলী রেলের গাড়ীর একটা কক্ষ একাকী অধিকার করিয়া বসিয়া আছে, অঙ্গস্থ কক্ষে ধাত্রীর খুব ভিড় হইয়াছে অথচ কোন যাত্রী সাহস করিয়া সেই ফিরিঙ্গী বা কাবুলীর অধিকৃত কক্ষে প্রবেশ করিতেছে মা, কি জানি পাছে সে অপমান করে। এই অপমানের ভয়ে স্বাধ্য অধিকার পরিত্যাগ দ্ধে কত বড় অপমান, সেকালের অতি অল্প বাঙালী তাহা হৃদয়ৰম করিতে পারিত। একালের ছাত্রসমাজের তুলনায় যে সেকালের ছাত্রসমাজ অত্যন্ত ভীক ও কাপুরুষ ছিল তাহাতে কণামাজ সন্দেহ নাই । মনে পড়ে ১৮৮৭ বা "8৮ খ্ৰীষ্টাব্দে একবার ফরাসী গবর্ণমেন্ট ফরাসী ভারতে conscription বা বাধ্যতামূলক যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা প্রবর্তনের চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহাতে চনাননগরে জনসাধারণের মধো বিষম আতঙ্কের সঞ্চার হইয়াছিল। কন্‌স্ক্রিপশন আইন অনুসারে বাহারা যুদ্ধবিধা শিক্ষা করে, তাহাদিগকে বিদেশে গিয়া যুদ্ধ করিতে হয় না, যদি কখনও শত্রুপক্ষ তাহাজের দেশ আক্রমণ করে, তবেই তাহাদিগকে দেশরক্ষার জন্ম যুদ্ধ করিতে হয়। ফরাসী ভারতে ঐ আইন প্রবর্ত্তি হইলে কোন ভারতীয় ফরাসী প্রজাৰে ভারতের বাহিরে গিয়া যুদ্ধ করিতে হইত না, যদি কোন শত্রুপক্ষ ভারতে ফরাসী অধিকার আক্রমণ করিত তাহা হুইলেই সেই শত্রুপক্ষের সহিত যুদ্ধ করিতে হইত। ফরাসী ভারতে সেন্ধপ যুদ্ধের কোন সম্ভাবনা ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকিবে না, সুতরাং চন্দননগরের কোন খুবক কন্‌স্ক্রিপশন তালিকাভুক্ত হইলেও তাঁহাকে কখনই কোন রণক্ষেত্রে পদার্পণ করিতে হইবে না, ইহা জানিয়াও লোকে ভদ্ধে অস্থির হইয়াছিল এবং যাহাতে ফরাসী ভারতে বাধ্যতামূলক সমরশিক্ষা প্রবর্তিত ন-হুই, সেজন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হইয়াছিল। ঐ আবেদনের ফলেই হউক বা শগু ৰে