পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবc জলমিশ্রিত গণটি দুগ্ধ ٹگ س8b যে-ভদ্রলোক অফিসের চার্জে ছিলেন তিনি রুগ্ন বলিয়াই ঘরখানিতে বিশৃঙ্খল বর্ধমান। পূৰ্ব্ব কোণে শুপাকৃতি ফৰ্ম্ম এবং ভার গায়েই অনেকগুলি ব্যাগ। এখানে-ওখানে গাল ও বাতির টুকরা ছড়ানো, সিলমোহর মেঝেয় গড়াগড়ি থাইতেছে । টেবিলটার উপর কালির দোয়াতটা উল্টানো এবং একমাত্র ব্লটিংপানির কোথাও সাদা রং না । ঘরের ঘড়িটা দম দেওয়ার আলন্ত হেতু বন্ধ হইয়া গিয়াছে । মেঝেয় পোস্তা লোহার সিন্ধকট: যে আছে উহাই যথেষ্ট । বাড়ার মধ্যে না গিয়া শুঙ্খলাবিধানে মনোনিবেশ করিলাম। টান-ভুষ্ঠুর গোলাই ছিল, টানিয়া পোষ্টকার্ড ও টিকিটগুলির উচ্চারই মধ্যে থানকতক মনি অর্ডারের এষ্টগুলির দেধিলাম--থাম, মধ্যে ও যথেষ্ট গোলমাল । ফৰ্ম্ম ৪ ীেrঙ্গ রঠিয়াড়ে ! একখানি ফৰ্ম্মে চক্ষু বুলক্টিতেই চক্ষু আমার কপালে উঠিল । আমাড়ী গাঙ্গুলী করিয়াছেন fক ? তিন দিন আগেকার ফৰ্ম্মগুলি ডেস্পাচ করেন আর মনিঅৰ্ডfরের মাশুল যা লইয়াছেন তা পোষ্ট আfপসের কোন আইনেই লিপিবদ্ধ নাই । ত্রিশ টাকার মাশুল লষ্টয়াছেন চার অনা-দশ টাকায় এক আনা ! থাম, পোষ্টকার্ড ও টিকিট বোধ হয় শাক-বেগুনের মতই লেচিয়াছেন । ছোট খাতায় কোন হিসাব মাই । কিন্তু সেঞ্জস্ব ভঙ্গলোককে দোষ দেওয়া চলে না । পরের হইয়া থাটিয়া চাকরিটুকু যে বজায় বাধিয়াছেন এই ষথেষ্ট । যথাসমধুে ডাক চালান দিয়াছেন ৪ বিলির ব্যবস্থা করিয়াছেন, জিনিষ কিনিভে আসিয়া কেহ থালি হাতে ফেরে নাই বা মনি অর্ডারে ব্যখমনোরথ হয় নাই । ধেমন করিয়া হউক, অভিযোগ তাহীদের মিটাইয়াছেন । জমার থাৎ ৪ মজুত মালে মিলাইয়া এক টাকা সাডে চৌদ্দ আন কম হইল, মনিঅৰ্ডার কমিশনেও এক টাকা শর্ট । এই ত গেল মোটামুটি হিসাব । লোহার সিন্দুক না খুলিলে ক্যাসের ভাগ্যে কি আছে কে বলিবে । অল্প মাহিল, কাজেই চিস্তিত হইয়ু পড়িলাম । এমন সময় ছেলে জাসিয়ু ডাকিল, এসেছে।” નfટ ! পৰ্য্যস্ত “বাব, গধুলা سس - ۹ ها ঘরের দুয়ার বন্ধ করিয়া বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলাম । 鬱 事 豪 আমাকে দেখিয়া গমূল ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল। লোকটির বয়স হইয়াছে । গলায় ত্রিকষ্ঠ তুলসীর মাল, কপালে ও কানে ছোট কয়েকটি ফোট, বেশ ভক্তিমান । বলিল, “দুধ ঘু দেব বাবু এ তল্লাটে কোথাও এমনটি পাবেন না । থেডে গাইয়ের দুধ-খেতে যেন মধু যতটুকু থfবেন পোকার, ততটুকু রক্ত বাড়বে । কিন্তু দামের বেলায় বাবু, পাচ সেরের বেশী হবে না।” শহরে টাকায় তিন সের দুধ ও কিনিতে হইয়াতে, পাচ পেরে আপত্তি করিব কেন ? বলিলাম, “দেখি তোমার দুধ ?" গোস্বাল হাসিমুখে ভাড় তুলিয়া ধরিল। কিন্তু ভাড় নাড়নড়িতে দুধে ধে ফেনী জমিয়াছে তাহাতে ভেজাল কিছু বোঝ গেল না, তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে সেদিকে চাহিয়াই রছিলাম । ঘোধের পে খপ করিয়া আমার ডান হাতখানি টানিয়া ভাড়ের মধ্যে চুবাইয় দিল এবং হাসিমুখে কহিল, “ৰেখ বাৰু।” সাদা হাত দেখিয়াও এইটুকু বুঝিলাম, দুধ খাটি হইতে পারে কিন্তু একটু বেশ মা হয় তরল ধেন : সে-কথা বলিলাম। ঘোষের পে বলিল, “শুষ্ট ত বাবু খেড়ে। গাইয়ের আপনার দেবতা, আপনাদের fক ঠকাতে পffর । রাম । রাম ! সে ব্যবসা আমার দ্বার? এতে যদি ভূ-বেলা পেট ভরে না জোটে, নাই জুটল। দুধে জল দিলে কি হয় জানেন ? গাময় দুধের রংই বার হয় । রাম । রাম ! ধৰ্ম্মপথে থাকলে আম্বেক রাত্তিরে ভাতের ভাবনা 7 রাধে কৃষ্ণ ।” স্বতরাং রাধু ঘোষই বাহাল হইল । 豪 專 舉 গ্রামখানি ছোট হইলেও পোষ্ট আপিসে ভিড় নেহাৎ মন্ম জমে না। একমাত্র পিওন বিপিনকে খাম-পোষ্টকার্ডের বাঙ্গ সাক্ষাইয়া দিয়া বলিলাম, “বাইরে বসে বেচ গে।” মজ। দুধ পাতল অথচ শেতে মিষ্ট । হবে না !