পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰণৰণ আমাদের জনশক্তি ও কৰ্ম্মশক্তি 833 তাহার সম্মিলিত জনসংখ্য ভারতের জনসংখ্যার সামান্ত ভগ্নাংশ মাত্র ছিল। এ সকল নজির এবং যুক্তি সম্পর্কে এ কথা বলা যায় ধে সংঘবদ্ধত পূৰ্ব্বোক্তদের শক্তি ও সাফল্যের অন্ততম প্রধান কারণ হইলেও এবং আমরা অধিকতর সংঘবদ্ধ হইতে পারিলে সৰ্ব্বদিকে আমাদের অনেকট সাফল্য স্থনিশ্চিত হঠলে তি, সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও সত্য যে সংঘবদ্ধ হইলেও এবং অন্যান্য ফুট সংশোধিত হইলে ও আমাদের দেশের একটা নিদিষ্টসংখ্যক লোক যত সময়ে যতটা কাজ করিতে পাfরবেন, অন্ত দেশের ঠিক তত লোক ততটা সময়ে তদপেক্ষা অনেক লেশ কাজ করিতে পাfরবেন, শ্রান্ত না হইয়া অন্যান্য দেশের লোকের পক্ষে যত ক্ষণ কাজ করা সম্ভব, আমাদের দেশের লোকের পক্ষে তাহ সম্ভব নহে, এবং অন্যান্ত দেশে জনসংখ্যার অতুপাতে কৰ্ম্মক্ষম লোকের সংখ্যা আমাদের দেশের অনুরূপ সংখ্যা অপেক্ষ অধিক হইবে । এ ভারতের অন্যান্ত প্রদেশ অপেক্ষ বাংলা সম্পর্কে অধিক সভ্য । পাশ্চাত্য দেশ অপেক্ষ যে আমাদের দেশের লোকের কৰ্ম্মক্ষমতা কম, ইহা শুধু অম্লমানের কথা মহে । ১৯২৬-২৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেকস্টাইল ইউনিয়নের ষে-সকল প্রতিনিধি ভারতবর্ষ পরিদর্শন করেন, তাহার বোম্বাই প্রদেশের কাপড়ের কলসমূহে নিযুক্ত ভারতীয়ের ৩৪ জুনের কাজকে ল্যাঙ্কাশায়ারের ১২ জন লোকের কাজের সমান বলিয়া ধরিয়াছেন । অম্লান্ত প্রামাণ্য লোকে অবগু ভারতীয় মোগ্যতার মাপ ইহা অপেক্ষ কিছু বেশী ধরিয়াছেন । টাটা ষ্টীল ওয়ার্কসের কর্তৃপক্ষ এক জন ভারতীয় শ্রমিককে এক জন ইউরোপীয় শ্রমিকের দুই-তৃতীয়াংশ বলিয়া ধরিয়া থাকেন, অর্থাৎ ৩ জন ভারতীয় শ্রমিক ২ জন ইউরোপীয়ের সমান কাজ করে বলিয়া ধরা হয় । শুধু বাঙালী শ্রমিকের হিসাব লইলে তাহাজের কৰ্ম্মক্ষমত আরও মূন বলিয়া দেখা যাইত। প্রায়ই রোগভোগের ফলে ক্ষীণ এবং অনাহারে অপুষ্ট শরীর ষে আমাদের ক্ষীণ কৰ্ম্মশক্তির কারণ তাহাতে সন্দেহ নাই। পাশ্চাত্য দেশের লোক অপেক্ষ আমাদের দেশের লোকের শরীর যে অপটু ও দুৰ্ব্বল তাহা আমরা জানি। কিন্তু চারি পাশে ক্ষীণ শরীর দেখিতে দেখিতে আমাদের চোখ অভ্যস্ত হইয়৷ কথা গিয়াছে বলিয়া অপুষ্ট ক্ষীণ শরীরকেই আমরা সাধারণ স্বস্থ শরীর বলিয়া মনে করিয়া থাকি। কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য ৪ শারীরিক গঠনের প্রকৃত অবস্থাটী বিদেশীর দৃষ্টির কাছে এবং তাহাদের তুলনামূলক বিচারের কাছেই সভ্যসত্য ধরা পড়িতে পারে। কোন বিখ্যাত পুস্তকের ইংরেজ লেখক এদেশবাসীর স্বাস্থ্য দেখিয়া বলিয়াছেন,— এক পঞ্জাব ব্যতীত কুষকদিগের ও আমাদের দেশের সর্বব.শ্রণীর লকের মধ্যে ইহারাষ্ট সৰ্ব্বাপেক্ষ স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ – BBB S BBBB BB BBBBBB L BBB KBB BBB S ...শহরের কুলার এবং দরিদ্রতর জেলাগুলির গ্রামবাসীর আকারে DBS BBBB BBBB BB BBBB BBBB BB SB BBBS সকল নিতান্তু অপুষ্ট—এক কথায় ইহাব মানুষের ভগ্নাংশ মাত্র । প্রকৃতি এমন এক ক্ষীণবষুব জাতির স্বাক্ট করিয়াছেন, ষাং ৰু সব্বনিম্ন পরিমাণে প্রটেড ও ভিটামিন খাইয়া স্বল্প কালের জুলু তাঙ্গরের দুঃখময় ধারণে সমর্থ হয় । ভারতীয়দের আয়ুষ্কলে গড়পড়ত। ২৩.৪ বৎসর পিলতের অধিবালনের পক্ষে এই অঙ্ক ৫৪ বৎসর।' জীবন মনে রাখিতে ইষ্টবে ধে, ক্ষীণ শরীরের এই বৰ্ণনা বাঙালীদের সম্পর্কে নহে, ভারতের যে-সকল স্থানের স্বাস্থ্য ও অধিবাসীদের শরীর আমরা ভাল বলিয় জানি, এ উক্তি তাহাধের সম্পর্কে । ইহা গেল এ দেশের কৰ্ম্মরত স্বস্থ লোকদের কাজ করিবার কম ক্ষমতার কথা । কিন্তু আমাদের রোগপ্রবণতার কথা ও শক্তিক্ষয়কারী নানা ব্যাধির উৎপাতের কথা হিসাব করিলে দেখা যাইবে যে, পাশ্চাত্য দেশের এক জন পূৰ্ণবয়স্ক কর্মক্ষম ব্যক্তি বৎসরের যতটা সময় মুস্থ থাকিতে পারেন আমাদের দেশে স্বস্থ থাকিবার সময় তদপেক্ষা অনেক কম এবং শহর অপেক্ষ পল্লীতে, অল্পাঙ্ক প্রদেশ অপেক্ষ বাংলায়, ও সমাজের অন্যান্ত শ্রেণীর তুলনায় কুম্বকদের পক্ষে এই কথা অধিক সত্য । অম্লান্ত সভ্য দেশের লোকেরা যেসকল ব্যাধির হাত হইতে অনেক দিন পূৰ্ব্বে মুক্তি পাইয়াছেন, সেই সকল ব্যাধি আমাদের যত লোককে বংসরের যতটা সময় অকৰ্ম্মণ্য করিয়া রাখে এবং তাহার ফলে আমাদের কৰ্ম্মশক্তির যে মোট অপচয় ঘটে তাহার পরিমাণ বিপুল। অনেক ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী ভাবে বা অনেক দিনের জন্ত যে ইহা আমাদের কৰ্ম্মশক্তিকে পছু করিয়া রাখে, উৎসাহ-উদ্যম হরণ করে, তাহার প্রত্যক্ষ