পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●為8 ই-এক আনা পয়সা পায়, মদ খেয়ে ভুলে থাকবার চেষ্টা করে, কিন্তু তবুও দেশে আসতে চায় না। তার কারণ, প্রথম, তামী জানে তাঁর বাবার অপরাধী সন্তান । কত না আশা ক'রে সেই বিদেশে গিয়েছিল। পিতামাত কত করে তাদের খরচ চালিয়ে চালিয়ে সৰ্ব্বস্বাস্ত হয়ে পড়েছেন। কোন লজ্জায় আবার এই মুখ বাপ-মার কাছে-- স্বদেশবাসীর কাছে দেখাবে। দ্বিতীয়, ঐ স্বাধীনতা, ঐ যৌবনমত্ততা, ঐ রূপোৎসব, ঐ বিরাট মুক্তি ভারতবর্ষে কোথায় পাবে ? কোন মুক্ত বিহঙ্গম আবার স্বেচ্ছা তার পিয়রে ঢুকতে চায় { ভারতীয় ছাত্রের জীবনে এই যে ঘোর ট্রাজেডি, এর জন্ত সে-ই যে একমাত্র দায়ী তা নয়। তার পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন যারা তার শিক্ষাব্যাপারে চিরদিনই অন্ধের মত চালিত হয়েছেন তারাই বেশী। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের দায়িত্বের কথাই আমরা সব সময়ে শুনি, কিন্তু পিতামাতার মূৰ্খতার কথাটা কেউ বলে না। কেননা, সমালোচক সব সময়েই অভিভাবক। বহু ছাত্র কি পড়বে তা ঠিক না করেই বিদেশে যায়। তার পর সেখানে গিয়ে কোন ইউনিভার্সিটিতে স্থান হবে কি না তার খোজও আগে থেকে নেয় না । এখানে যাদের বি-এ পাস করবার যোগ্যতা নেই তারা যায় সেখানে বি-এ পড়তে। এখানকার মাটিক পাস ক’রে সেখানে ব্যারিষ্টার হতে যায়। তার পর লওনম্যাটিক পাস করার চেষ্টায় কয়েক বছর পয়সা নষ্ট করে ফিরে আসে। তেমনি ইনকরপোরেটেড একাউনটেন্সি। বহু ছাত্র যায় একাউনটেন্সি পরীক্ষা দিতে যারা এখানে অনেক কষ্টে পি-এ পাস করেছে । শুধু ধনীর সস্তান বলে fপ্রমিয়াম দিয়ে একাউনটেন্সি ফাৰ্ম্মে ভৰ্ত্তি হতে পেরেছে। ফলে এক্ট হয় যে, যারা নিজ জীবনে এত দূর বেহিসাবী তারা হিসাবের সীমান্তদেশ কোনদিনই অতিক্রম করতে পারে F1 || আই-সি-এস পরীক্ষার জন্তু যে তিন চার- ছেলে প্রতি বছর যায়,তাদের জীবনেরও একই বরুণ কাহিনী। জীবনগুলো কেমন ক’রে যে ব্যর্থ হয়ে যায়, ত দেখলে চোর্থে জল ম{ এসে থাকতে পারে না। পরাজয়ের টীকা ললাটে বহন করে আবার তারা দেশে ফিরে আসে। কিন্তু যেমনটি গিয়েছিল তেমনটি কি আর সে হতে পারে । চিরদিন অপমানিত প্রশ্বাসী v&88 সঙ্কুচিত জীবন নিয়ে সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায় । কোন দিন আর সগৰ্ব্বে উন্নতfশরে সমাজের কাছে তারা মাথা তুলে দাড়াতে পারে না। কিন্তু ধার হাড়ভাঙা পরিশ্রম ক'রে কঠিন কঠিন পরীক্ষাগুলো পাস করে আসে তাদেরই বা কি হয় ? কত আশা, কত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারতীয় ছায় সৰ্ব্বস্ব পণ করে বিদেশের শিক্ষণভাণ্ডার লুঠ করতে যায় । সম্মুগে তার দারুণ বিভীষিক, পশ্চাতে কুর ব্যঙ্গ । তার মনটা যেন সম্রাটু বাবরের মত । সম্রাটু বাবর ষপন পঞ্চাব জয় ক'রে দিল্লী পর্য্যস্ত এলেন, তখন দেখলেন দুৰ্দ্ধৰ্ষ রাজপুতবাহিনী সুসজ্জিত অবস্থায় তার জন্য অপেক্ষা করছে । তাব ৪ fাব সৈন্যদের চিত্ত পরাজয়ের ভয়ে কাতর হয়ে উঠল। লাগল ধে আফগানিস্থানে ফিরে চল । সম্রাট বিক্ষুন্ধচিত্তে নীরলে সকলে বলতে BBB BBC DH DB BBBS JSD DBC MT BBBSBB বাণী । রাজপুতের হাঙ্কে একটিও মোগল যদি ফিরতে হয় তবে জয়ের সদর দুয়াল তিনি বললেন যে, যদি এক-পা পেছনে ফিরি তবে সৈন্তু প্রাণ নিয়ে ফিলে যেতে পারবে না | 'wtয় ফিরতে হবে । যে ভারতীয় ছা র সহস্ৰ দুঃখ, ব্য% ৭ প্রলো ভণের মধ্যে নিজ মস্তক উন্নত ক’রে দেশে ফেরে, সে শুধু সেই বাণীটিকে বরণ করে । সে স্থানে, জীবনে ত সংশ BBB S BBBBS BBSBBS BB BBBBB BB BBB BBS S আরব-সাগরের মধ্য দিয়ে জাহাজ যখন চলে, তখন নৃ"ম কুমীর হাঙ্গর তার পিছনে পিছনে চলে । তারা প্ৰত্যেক্ষ মুহূর্তে এই প্রার্থনা করে, যেন একটি যায়ীওঁ ড়েক খেপে পী পিছলে পড়ে। সৰ্ব্বদা জাগ্রত দৃষ্টি তাদের ঐ ডেঞ্চের দিকে । ভারতীয় ছায় যে বীর, দৃঢ়চিত্ত, সে জ্ঞানে যে তার পিছনে পিছনে ভারতসাগরের উপকুল থেকে সচেতন শার্কের দল সারি বেঁধে চলেছে । তাত সে চিত্ৰকে কঠিন শৃঙ্খলে বাধে । মঞ্জের সাধন কিংবা শরীরপতন । সেট। হৃদয়ে স্থার একটি মস্ত । আমাদের দেশে একটা চিরন্তন মনে ভাব আছে । হচ্ছে “আমরা বেশ আছে" । আমাদের আর কিছু নূতন শেখবার নেই । আমরা সব জানি । গ্রীক, শক, ছন, পাঠান, মোগল, ইংরেজ বান্ধবঙ্গে বা বুদ্ধিবলৈ এই দেশট জয় করে দাসৰবন্ধনে আবদ্ধ করেছে—কঠিন শাপ্তি দিয়েছে, তবুও ভারতীয় আস্থা বলেছে—“আমি বেশ আছি, “আমি