পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেণবণ দিয়ে নৰ্ম্মদ নামী তার কোন কৰ্ম্মচারিণীর গৃহে, সে নিক্তের ব্যবস্থা ক'রে নিয়েছিল ; এবং কমলা বা মালত পাছে কোন কারণে নূতন পরিবেষ্টনের আড়ষ্টত কিছুমা এ অনুভব করে, সৰ্ব্বদাই সেজন্যে সে তার সতর্ক আত্মীয়ভার স্বচ্ছন্দ ভাবকে সজাগ রেখেছিল । একদা ভার নিরবচ্ছিন্ন কৰ্ম্মের মধ্যে একটু অবকাশ পেয়ে শচীন্দ্রের অন্বেষণে সে তার বাড়ী গেল । শচীন্দ্র অন্যমনে একটা খবরের কাগজ হাতে বাইরের বারানাথ বসেছিল । পাৰ্ব্বতী গিয়ে বললে, “বেশ ত, আমরা থেটে খেটে হয়রান হয়ে যাব আর আপনি আড়ালে বসে আরাম ক’রে মজা দেখবেন ! সেটি হচ্ছে মা ! একে আপনি হিরোইনের স্বামী, তাতে কমলাপুরীর প্রতিষ্ঠাত ; আপনি লুকিয়ে থাকলে, আপনাকে ছাড়ব না কি ? তা কিছুতেই হবে না। তার পর ধভ বদনামের ভাগী হব আমি, না ?” শচীন্দ্র অবগু এই সহজ সরল কৌতুকের সঙ্গে যোগ রক্ষা করবার প্রাণপণ চেষ্টা করলে । একটু অবাক হওয়ার ভাল ক'রে দুঃ, হেসে সে বললে, “কেল ! তোমার নাইট-এ এ্যাণ্ট ভাগীদার ভোলাদ৷ কি তোমায়— " কথ! শেষ হ’তে না দিয়ে পাৰ্ব্বভী কুঞ্জিম ক্রোধে ভঞ্জন করে বললে, “শার্ট মাপ । ডোন্ট বি সিলি । উঠন ও মশাই । বায়ুন ক’রে ফাকি দেবার মংলব, না ? শচীন্দ্র আবার একটু হেসে বললে, “জারে বুঝতে পারই ন যে, সাড়ম্বরে যার শ্রান্ধের আয়োজন করছিলাম fতfন স্বয়ং শ্রাপ্তবাসরে এসে হাক্তির । তাই লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি নে ৷” এই কৌতুক হাসোর চেষ্টার অন্তরালেও সে সত্যিই তার লজ্জাকে চাপ দিতে পারছিল ল এবং পাৰ্ব্বতীর কাছে তা অগোচরও ছিল না, তবু পাৰ্ব্বতী নিজের দিক থেকে তার কোন আভাস দিলে না । সে বললে, "না না, সত্যি একটু দরকার আছে । আঞ্জ রায়ে একটা সভার আয়োজন করেছি । আঞ্জ শুক্ল চতুৰ্দ্দশী fदभl । श्राख-* “তুমি কি ক’রে জানলে ?” “এ ত কলকাতায় শহর না, যে ইলেটিক লাইটের পদ্ধা 으e ত্ৰিবেণী ৫২৯ টাঙিয়ে আমরা অমাবস্ত পুণিমা সব আড়াল ক'রে বসে আfছ । তা ছাড়া হিন্দু বিধবাদের একাদশী পূর্ণিমা হিসেব ক'রে চলতে হয় মশাই, নইলে আপনারাই নিজেদের বেলা আঁস্তাকুঁড়ে-ফেলে-দেওয়া মঙ্গর শাস্ত্র কুড়িয়ে এনে মার মার তেড়ে আসবেন’খন । আপনার আশ্রমটা যে বিধবাদের, ত! কি ভুলে গেছেন নাকি ৷” “আশ্রমটা ধে আমার তা আর ভূলতে দিচ্ছ কই ? নহলে—” “মঙ্গলে কি ? নইলে ফাকি দিয়ে গায়ে ফু দিয়ে ş'ră বেড়াতাম। না ? তা হচ্ছে না। গুমুন, একটা মতভেদ ঘটেছে । সভার জায়গাটা কেউ বলছে ফুল দিয়ে আটচালাটাকে সাজিয়ে তার মধ্যে করতে ; আবার কেউ বলছে, চাদনী রাত, নদীর ধারে খোলা মাঠে করতে । আপনি কি বলেন ?” “আমি বলি, একটা মতভেদ ঘটেছে তাই ভাল, ওর মধ্যে আবার ছুটে ঘটিয়ে বিশেষ লাভ নেই।”

  • কথার জাহাজ ! মতভেদ যে বাড়াতেই হবে, তারই বা মানে কি ?”

“বেশ, ওর মধ্যে কোন মতট দিলে মতভেদ বাড়বে না অর্থাৎ কেনট তোমার তাই বলে দাও । বাস চুকে যাক ” “অ’হ, কি আমার বাধ্য ছেলে ! আমি বলে দিলেই উনি আমার মতে--- “ম না, ত’ বলছি না। তোমারটা জানলে অন্যটাতে মত দিতে আর ভুল হবে না । মতভেদ তাহলে একটাই থেকে যাবে, আর বাড়বে না । তাই বলছি।” “থাক, তাই আর বলতে হবে না। এখন চলুন দেখি !" পাৰ্ব্বতী এমনি ক’বে সহঞ্জ স্বাভাবিকতার আবহাওয়! স্বজন করবার চেষ্টা করেছে । কিন্তু পাৰ্ব্বতী ধে অক্ষু৪ এমন fক আনন্দিত চিত্তে শচীশ্রের বিচ্ছেদকে গ্রহণ করেছে এ-কথা মনে মনে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করলেও, কল্পনা ক’রে একদিকে শচীন্দ্রের অভিমান আহত হয়েছিল ; আবার অকৰ্ম্মং পাৰ্ব্বতীকে শূন্ততার মধ্যে বিসজ্জন দিয়ে তারই সামনে কমলাকে নিয়ে “ৰূখে স্বচ্ছন্দে ঘরকল্পা"র উল্লাসে মত্ত হওয়ার চিত্রটাও তাকে লজ্জিত করছিল । স্বতরাং পাৰ্ব্বতীর চেষ্টা সত্বেও সে কিছুতেই নিজেকে বিস্তুত হতে পারছিল