পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( v9గి মৃদুসমীরণে কিসের যেন ইঙ্গিত । সমস্ত চরাচর প্রসন্ন, মুখ, রোমাঞ্চিত যেন। পুলকিত স্বপ্নবিষ্ট নয়নে রেলিং ধরে দাড়িয়ে মধুক্ষরিত ধরণীর এই সৌন্দর্ষ্যমুধ পানে সে আবিষ্ট ছিল অনেকক্ষণ। “কই পাৰ্ব্বতী ত এল না এখনও ! পাৰ্ব্বতী, পাৰ্ব্বতী, আকাশের নীলিমার মত রহস্যময়ী পাৰ্ব্বতী।” পাৰ্ব্বতী ষে দেহাত্মবাদিনী নন, শচীন্দ্র এখনও তা বুঝতে পারে নি । আবার সে গেল ঘরে ফিরে । বিছানার দিকে একবার চেয়ে সে চোখ ফিরিয়ে নিলে । কেন কি জানি, আয়নায় নিজেকে দেখবার বাসনায় সে দেরাজের কাছে এসে চেয়ে দেখলে আয়নার ভিতরে। অযত্নবিন্যস্ত কেশবেশ, ক্লাস্ত আবেশ নয়নে । অল্প একটু সলজ্জ হাসি ফুটে উঠল তার মুখে । সমস্ত স্থানটা জুড়ে যেন পাৰ্ব্বতীর সত্তার একটি মৃদু সৌরভ । ছোট ছোট প্রসাধনের জিনিষ, এলোমেলো ক'রে দেরাজের উপর রাখী । চন্দনকাঠের একটা বাণবিদ্ধ রাজষ্টাস, যন্ত্রণায় স্থললিত গ্রীবা মুয়ে পড়েছে । বোধ হয় কাগজ-চাপা। একটা চিঠি । একি ! তারই নাম লেখা যে ! পাৰ্ব্বতীর লেখা পত্র। খুলে পড়তে পড়তে তার মুখের সেই উদ্ভাসিত তৃপ্ত প্রসস্লোজ্জল কাস্তি কোথায় মিলিয়ে গেল যেন । চিঠিতে লেখা— প্রবাসী ১৩৪৪ “প্রিয়তম, এত দিন তোমাকে নিজের গভীর অন্তরে ঐ সম্বোধনে ডেকেছি। আজ শেষবার প্রকাণ্ডে ডাকছি তোমায় ঐ প্রিয় নামে—তোমারই মূহূৰ্ত্তেকের পরিপূর্ণ আত্মদানের অধিকারে । “এখানে অবসান হয়েছে আমার কাজের । আমার উপস্থিতিতে অকারণ জটিলতার স্মৃষ্টি ক'রে লাভ নেই । তোমাকে পাওয়া আজ আমার পূর্ণ হয়েছে। কমলার মধ্যে আমাকে পাওয়া তোমার আজ থেকে স্বরু হোক । আমাকে তুমি অনেক দিয়েছ—ত-ই আমার প্রাণ পূর্ণ ক’রে রইল । তোমাকে যা দিতে পারি নি, আপন আত্মার ঐশ্বর্ষে তুমি আপনার মধ্যে তা পূর্ণ ক’রে পাও। অন্যের মধ্যে পাওয়ার অপেক্ষায় তার থেকে বঞ্চিত ক'র না নিজেকে। তুমি শাম্ভ হও, নিজের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত হও, তোমার অস্তরের প্রাণসম্পদে দূর হয়ে যাক তোমার সকল জৈন্তু, এই আমার প্রার্থনা । “আকারণ অতুসন্ধানে সময় ও অর্থ নষ্ট ক'র না । আমাকে খুজে পেলেও, আমাকে ফিরে পাবে না। তুমি আমার পরিপূর্ণ প্রাণের চিরসঞ্চিত প্রেম গ্রহণ কর । পাৰ্ব্ব ভh * সমাপ্ত


সংশয় ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তোমারে বেসেছি ভাল, এ কি শুধু তোমারি সম্মান ? নিত্য নব ছন্দে তব উদ্দেশেতে গাহিলাম গান, নানা কল্পনার বর্ণে চিত্তপটে আঁকিয়াছি ছবি, কিছু কি তাহার মোর স্মৃষ্টি নহে? আমিও যে কবি । প্রস্ফুট জীবন তব, সে অামারি প্রেমের গৌরব ; তোমারে করিতে রাণী শূন্ত মোর প্রাণের বৈভব ! দুর, বহুদূর হতে দেখিয়াছি, আজও দেখি তোম। তখনো বলেছি আজও বলি ‘তব নাহিক উপম । জানি ন তবুও কেন মাঝে মাঝে মনে ভয় পাঠ নিকট ঘেদিন যাব হয়ত দেখিব তুমি নাই !