পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক যে ছিল নারী, ও নগরী শ্রীরজত সেন ক্ষণের পোলা জানলা দিয়ে ঘরে এসে পড়ল স্বর্ষ্যের লো আর এক ঝলক ভোরের বাতাস । কল্যাণকুমারের প্রাভঙ্গ হ’ল । রাত্রির ঘুম-সমুদ্র অতিক্রম ক’রে জাগরণের রে অবতরণ করবার তার সময় হ’ল । পাশে শ্বেতIংরের টেবিল থেকে আয়ন তুলে নিয়ে সে মুখ দেখল। মস্ত রাত্রি কার কাছে ছিল সে । জাগরিত ইঞ্জিয় কে সেই রাজকম্বার সঙ্গ থেকে বঞ্চিত করেছে । দরজায় কে টোক মারছে । শয্যায় বসে সে স ।" ভাকল, ঘরে যে প্রবেশ করল সে-ই হ’তে পারত কল্যাণমারের রাজকুমারী। কল্যাণকুমার এক বর্ষার অপরাহ্লে ঘদূত পড়ে শুনিয়েছিল কাকে ? ‘এসে বেছি। তুমিই জামার প্রথম চিন্তা!’ ‘তুমি ষে মিথ্যা কথায় অভ্যন্ত এ-কথা আমার জ্ঞান গছে ।" “কি সংৰাজ ? হাতে পত্রিকা কেন ?" ‘সংবাদ অাছে।’ তরুণীর হাসিতে প্ন ! “দেখ, আমি তোমার মেঘদূত ? নির্দিষ্ট স্থানে চোখ রেখে কল্যাণকুমার মুখের ওপর ত্রিকা তুলে ধরলো। শেষ স্তঙের গোড়ার দিকে এক গু ক্ষুদ্র বার্তা প্রকাশিত হয়েছে ঃ মাননীয় বিচারপতি সর ক. সি. গাঙ্গুলীর স্বন্দরী এবং বিদুষী কগু কুমারী অশোকা জুিলীনগর-জীবনে ক্লান্ত হয়ে নির্জন পল্লীগ্রামের ছায়াশীতল Iাবেষ্টনে দিন কাটাবেন ব'লে কলকাতা ত্যাগ করছেন। সংখ্য নিমন্ত্রণ, উৎসব, প্রমোদ-পার্টি ইত্যাদিতে তিনি তিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, অতএব ইত্যাদি ইত্যাদি ! সংবাদ পাঠ শেষ ক'রে কল্যাণকুমার লাফিয়ে উঠে ললে, “বোঁদি ধগুবাদ তোমাকে ! আমারও ক'দিন ধরে -কথাই মনে হচ্ছিল।’ ‘कि ?' কত যুগান্তরের ‘শহর আর ভাল লাগছে না ।” ‘অতএব ? যাচ্ছি গ্রামে, তার সঙ্গে !’ তরুণ অধ্যাপক আদিত্যনাথের প্ল্যাটিনাম ফ্রেমের চশণায় কোথা থেকে এক ঝলক ধুলো এসে লাগল। পকেট থেকে সিস্কের রুমাল বার ক'রে তিনি চশমা পরিষ্কার করতে লাগলেন । টেবিলের ওপর নানা আকারের রাশীকৃত পুস্তকের পাতা খোলা। কোন বইয়ে দ্বাগ দিচ্ছেন, কোনটা খেকে নোট লিখছেন । সমস্ত সকালটা তিনি এই কাজ ক'রে আপাতত: ক্লাস্ত হয়ে পড়েছেন । সময়ের অভাবে পত্রিকাখানা এখনও অপঠিত । দু-হাতে বই ঠেলে রেখে তিনি পত্রিকাখানা টেনে নিলেন। এক স্থানে खडेन्। ८क्. लि. भाद्झौब्र श्नौ क्ञ्चात्र गश्रक गरयाक्क्ने। উার চোখে পড়ল। গত শনিবারেও অশোক গাজুলীর জন্মতিথি উপলক্ষে জষ্টিস্ গাজুলীর স্বরম্য অট্টালিকাতে তার নিমন্ত্রণ ছিল। বিচারপতি মশার আদিত্যনাথকে যে শুধু স্নেহ করেন তা নয়, সে যে এক জন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং তার স্বচিস্তিত প্রবন্ধগুলো যে বিলিতি কাগজওয়ালার রীতিমত পয়সা দিয়ে তাদের কাগজে ছাপে এ-বাৰ্ত্তাও জক্টিস গাঙ্গুলীর অবিজিত নেই। কাগজটা এক পাশে রেখে আদিভ্যনাথ মনে মনে ৰ'লে উঠল, 'মা, আর পারা যায় না, শহরের এই একঘেয়ে জীবনে ক্লাপ্তি এসে গেছে ! নগরের এ কোলাহলের অনেক দূরে কত মহৎ জিনিষের প্রেরণা পেতে পারি ? অাদিতানাখ হঠাৎ শিস দিয়ে উঠল। সেক্রেটারিয়েট টেবিলে ভবেশচন্দ্র হঠাৎ একটা প্রচও কিল মেরে ডাল, "বেয়ারা ? পাশের ঘরে দু-জন কেরাণী, এক জন টাইপিষ্ট সবাই