পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6tNరిశ్రీ দূর থেকে একটা গাড়ী আৰ্ত্তনাদ করতে করতে এগিয়ে এল, সেদিকে মনোযোগ ছিল না এ ছুটি তরুণ তরুণীর। হঠাৎ পশ্চাৎ থেকে মোটরখানা এ-গাড়ীখানাকে প্রচণ্ড এক ধাক্কা মারল । পা হড়কে গিয়ে অশোকা পড়ল মাটিতে কাৎ হয়ে ! গাড়ীর মধ্যে উপবিষ্ট যুবক কোন রকমে একটা সাঙ্ঘাতিক আঘাত থেকে সামলে নিলে নিজেকে । মুখের পাইপট তার ছিটকে পড়েছিল ট্রাউজারে, তামাকের অগ্নি-সংস্পর্শে ট্রাউজার চক্ষের নিমেযে কালো হয়ে গেল। গায়ের চামড়াটা কোন রকমে বঁচিয়ে নেমে পড়ল গাড়ী থেকে । পশ্চাতের মোটর থেকেও যে যুবকটির অবতরণ ঘটুল সে আমাদেরই ভবেশচন্দ্র । তার প্রকাও হাডসন গাড়ীর হেডলাইট ছুটে তখনও জলছিল । সেই তীব্র আলোকে অশোকাকে চিনতে তার এক মুহূৰ্ত্তও লাগল না। সে ছুটে গেল অশোকার সাহায্যে। অশোকা তখন উঠে দাড়িয়েছে। গাড়ীটা কি চুরি করে এনেছেন ? পূৰ্ব্ব-কথিত যুবক ভবেশচন্দ্রকে ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বললে । ‘অাঞ্জে না, ভবেশচন্দ্র উত্তর দিলে, "লাইসেন্সটা সঙ্গে রয়েছে, দেখবেন ? ‘রিক্স টানা খুব সোজ, ঝঞ্চাট নেই কোন ! অপরিচিত তেমনি উত্তপ্ত কণ্ঠে বললে । 'fকছু না-টানা আরও সোজা !’ ভবেশচন্দ্র উত্তর দিলে তার সার্টের কলারটা উন্টে দিয়ে !" “আপনাকে আমি পুলিসে দেব, জানেন ? ভবেশচন্দ্র তার পকেট থেকে ভিজিটিং কাড একখানা এগিয়ে দিয়ে বললে, এই নিন, এতে নাম-ঠিকানা পাবেন। তার পর অশোকার দিকে তাকিয়ে, 'তুমি যদি শরীরে আঘাত পেয়ে থাক ত তার জন্তে আমায় দোষ দিও না, কিন্তু চল আপাতত:, তোমার সঙ্গে কথা আছে আমার, এপ * অশোকার হাত ধ’রে ঈষৎ আকর্ষণ করে, g, গাড়ীতে । অশোকা উঠে পড়ল ; সঙ্গে সঙ্গে ভবেশচন্দ্রও। Iাড়ী ব্যাক করতে করতে অপর যুবকের উদেশে সে বললে, আচ্ছা নমস্কার । কাল ত আবার পুলিস কোটে দেখা চ্ছে " ভবেশচক্সের গাড়ীখানা একটা পাক থেকে হস্ ‘রে ছুটে চলল। প্রবাসী $\●移8 ধান-বহুল রাস্তা দিয়ে তবেশচক্সের মোটর উর্দ্ধশ্বাসে ছুটেছে ; রাত্রির অন্ধকার এসেছে ঘন হয়ে । ভান হাতটা হইলের ওপর রেখে বঁ-হাতে অশোকার একখানা হাত তুলে নিয়ে ভবেশচন্দ্র বললে, ‘শোন দুষ্ট মেয়ে, তোমার কোন কথা আমি শুনছি নে, আজ আমায় কথ। দিতেই হবে, না-হ’লে এই ধে ছুটুলাম তোমায় নিয়ে আর ফিরে আসব না ! বল |’ ‘কি ?’ অশোকা তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলে । “আমাকে বিয়ে কর, মানে এস আমরা বিয়ে করি ' “আর একটু আস্তে চালাও না, অশোকা জারও কাছে স'রে এসে বললে, যা স্পীডে ছুটেছ বিয়ে পৰ্য্যস্ত প্ৰাণে বঁচিব ব'লে মনে হচ্ছে না।’ শোন, ঠাট্ট নয়! ভবেশচন্দ্র গম্ভীর কণ্ঠে বললে, ‘আজ আর আমার কথা এড়িয়ে যেতে দিচ্ছি নে তোমায়, আমাকে বিয়ে করতে তোমার আপত্তি কি ? আমি তোমার চাইতে কম বড়লোক নয় ; সমান্ত ঘরের ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৰ্ব্বোচ্চ পরীক্ষায় সৰ্ব্বপ্রথম, চেহারা আমার খারাপ নয় ; তোমাকে বিয়ে করবার যোগ্যতা আমার কিসে কম সে-কথা তুমি আমায় বল। চিরকুমারী থাকবে এমন কঠিন ব্রত যখন তোমার নেই বা কাউকে মন দান ধখন কর নি, তখন কেন আমায় বিয়ে করবে না ? কোন উত্তর নেই। গাড়ী ছুটে চলেছে ঝোড়ো হাওয়ার মত নগরের প্রাপ্ত অতিক্রম করে । ছুটে চলেছে রাত্রির অন্ধকার জার আকাশের অগণিত তারকা। আর ক্ষীণতর হয়ে অfসছে দুরের কোলাহল । ‘উত্তর দাও। ভবেশচক্সের ব্যাকুল কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হ’ল, "চুপ করে থেক না অশোক । নগরের নিত্য প্রয়োজনে তোমার আত্মমৰ্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে প্রতিদিন ; চল আমরা যাই, শান্ত নিজন এক গ্রামের মধ্যে গিয়ে অহম্ভব করি যে আমরা বাস্তবিক বেঁচে অffছ । বল, কথা বল অশোক, অমন চুপ করে থেক না, প্রস্তরমূৰ্ত্তির সঙ্গে তোমার পার্থক্য আছে ? আবার কয়েক মিনিটের বিরতি । *५**** यिनै थाभांश्च खबरड माe, चापाका