পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ বাংলার কুটারশিল্পে ঘি-উৎপাদন (• లిసె উৎপাদনে কুশলতা, জাল দেওয়া এবং পাত্রাদির পরিচ্ছন্নতা ও বায়ুশূন্ততার উপর । গাওয়া ঘি বাংলায় উৎপন্ন না-হওয়ার আর একটা বহুজ্ঞাত কারণ এই যে বাংলায় গাইয়ের দুধই দুষ্প্রাপ্য । দুধ পাইতে হইলে বাংলার গো-বংশ উন্নত করা দরকার । এ জন্য পশ্চিমা বাড় আমদানী করার চেষ্টাও চলিতেছে । পশ্চিমা ধাড় আমদামী করিয়া যে সঙ্কর জাতের স্মৃষ্টি হইবে তাহা কয়েক পুরুষ ধরিয়া পরীক্ষা করিতে হইবে। পশ্চিমের ভাল ধাড় আনিলেই যে বাংলার গরু ভাগ হইবে, ইহা ধ্রুব সত্য নাও হইতে পারে। কাজেই ঘাড় আমদানী করা একট পরীক্ষণীয় পথ মাত্র । সেই পরীক্ষ নিষ্ফল হইঙ্গে কথাই নাই । সফল হইলে বাংলার সমস্ত গরুকে ঐ নূতন সঞ্চর জাতিতে পরিণত করা যে বিরাট ব্যাপার তাহার উপযুক্ত ব্যবস্থ। ব৷ হাতিয়ার আমাদের হাতে নাই । বাংলায় গো- পালন ও -বৃদ্ধির প্রশ্নের সহিত একটা বিষম উদ্বেগের বিষয় রহিয়াছে, বাংলায় গো-থাদোর অভাব । এক কালে বাংলায় গোচারণের মাঠ ছিল, যাহা সেটলমেণ্টের হিসাবপক্সে সাধারণের সম্পত্তি বলিয়ু উল্লিখিত ছিল, মাকুব ও গে৷ সাধারণকে বঞ্চিত করিয়া তাহাও বিলি হইয়া গিয়াছে বা হইতেছে । গোচারণের মাঠ নাই বলিলেই হয় । গে পালনের ইহা এক বিষম অন্তরায় । যে সকল গরু অাছে, খাদ্যাভাবে তাহারা শীর্ণ এবং দুধ ও নামমাত্র দেয়। ঐ সকল মাঠ বা ইহার বিকল্পে অনুরূপ জমি দিতে জমিদারদিগকে বাধা করিয়া গোচারণের মাঠ স্মৃষ্টি এবং তাহার পর গাইয়ের দুধ পাওয়ার উপায় করিতে হইলে আমাদিগকে অনিদিষ্ট কাল অপেক্ষা করিতে DDDS BBt KBB KBB BBSK gD DDBB BSBY কম--এই সকল অস্তুরায় মানিম্ন লইয়াহ আমাদিগকে অগ্রসর হইতে হইবে । কি করিলে বাংলার গে-জাতি রক্ষ করা যায় এবং বাংলার গরুর দুধ বাড়ান যায় এই বিষয় চিস্ত করিয়া ও কিছু fকছু পরীক্ষা করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইয়াছি যে, গোজাডির সর্বপ্রকার উন্নতির জঙ্ক প্রাথমিক অবিগুক হইতেছে দুধ বা গব্যের চাহিদা বাড়ান। যে স্থানে চাহিদা বাড়িয়াছে সে স্থানেই ধীরে ধীরে উহা মিটাইবার মত দুধের উৎপাদন বাড়িয়াছে । ইহার প্রমাণ দই-সন্দেশ, রসগোল্লা প্রভৃতির থ্যাতনাম কেন্দ্রগুলি । ঢাকার কোনও অঞ্চলের পাতক্ষীর প্রসিদ্ধ। অতুসন্ধান করিলে দেখিবেন যে সেই অঞ্চলের গাই অধিক দুধ দেয় এবং পুষ্ট। সেখানকার লোকের অসচ্ছলতাও কিছু কম। উহার কাছাকাছি স্থানে, যেখানে গরুর জাত একই প্রকার এবং গো-খাদ্য সমান দুষ্প্রাপ্য সেখানে দেখিবেন চাহিদা নাই বলিয়া গাই কম দুধ দেয় । নাটোরের গব্য প্রসিদ্ধ। নাটোরের কাচাগোল্লার খ্যাতি সমস্ত উত্তর-বঙ্গকে আকৃষ্ট করে । নাটোরের আট-দশ মাইলের ভিতর স্থানগুলি অনুসন্ধান করিয়া জানিবেন ষে উহার প্রাকৃতিক অবস্থা কিঞ্চিৎ দূরবর্তী অন্তান্ত স্থানের সমান হইলেও তুলনায় নাটােরের গাই পুষ্ট ও অধিক দুগ্ধবতী । এইরূপে দেখা যাইবে যে, যেখানেই গব্যের চাহিদ আছে সেই স্থানেই দুধ ও উৎপন্ন হইতেছে । আমার অভিজ্ঞতা এই যে, গরুর দুধ দেওয়ার পরিমাণ সাধারণতঃ চাহিদার অনুবর্ষন করে । সকল গব্যের চাহিদার মধ্যে ঘির চাহিদাই অধিক ফলপ্রদ, কেননা উহার সাময়িক উঠা-পড়া কম। ছানা বা দইয়ের চাহিদা বিবাহ বা পৰ্ব্বাদি উপলক্ষ্যে বাড়ে কমে ; সেই জন্ত যাহার গে পালন করে তাহার! সকল BBB BB DDD KBS BS BBBBSB BB BBBS BB গোয়ালা গৃহস্থের সহিত দুধের বন্দোবস্ত করিয় লয় সেখানে চাহিদার কম-বেশী অষ্টমান করিয়ু একটা একটানা সস্তী দরে চুক্তি করিয়া লয় । উহাতে দুধের উত্তেজন পুরা পাওয়া যায় না। গব্যের ভিতর ঘি সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী দিন টিকে ; সেই জন্য যেখানে ধির ব্যবসা প্রধান, ছান ব; ইয়ের ব্যবসা গৌণ, সেখানে দুধের দাম একটানা চড় থাকে, গৃহস্থের আয় বেশী হয়, গরুর যত্ন বেশ হয়, গরু অধিক দুগ্ধবতী झध्र । এমন স্থান কল্পনা করা যাইতে পারে ধেখনে গো-খাদ্য কিছুই পাওয়া যায় না, যেখানে গরু রাখাই বিড়ম্বনী । এমন কল্পিত স্থানে গব্যের চাহিদ স্মৃষ্টি করিলেও কোনও সাড় না পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু সাধারণতঃ যেখানে লোকে চাষ-আবাদ করিয়া থাকে সেই স্থানে গরু৪ অবশুই থাfকতে পারে, নচেং চাষ-আবাদ সম্ভব হইত না, এবং এইরূপ স্থানে একটানা নির্ভরযোগ্য গব্যের চাহিদা উপস্থিত হওয়ার