পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IærfTe ংলার কুটিরশিল্পে ঘি-উৎপাদন ○ B> হিসাবে নিম্ন সংখ্যাগুলি পাওয়া যায়। ঐ হিসাবে গবাদি পশু, এবং ভিন্ন করিয়া গাভী ষাড় বলদ বাছুর এবং মহিষের ষাড় বলদ স্ত্রী-মহিষ ও বাছুরের সংখ্যা দেথান আছে। উহা হইতে আমি কেবল গাভী ও স্ত্রী-মহিষের সংখ্যা লইয়ু তুলনা করিতেছি । বাংলা ৰিহার যুক্তপ্রদেশ পাঞ্জাৰ উড়িষ্ঠা খত লক্ষ একর জমি চাষ হয়---২৩৩ ২৪১ ৩se श्ड लक श्रृंोो आँप्झ् -•• ४२ ¢ ግ tు ఆ ఇt }. } 1ు } 3 * : } 纜竇 যত লক্ষ স্ত্রী-মহিষ আছে--৯২ ఉు 있 象感 প্রতি একশত কর্মিত ৰিষ্কার গাষ্ঠী ও স্ত্রী-মহিষের সংখ্য... ৩৪ ○8 \) s এই হিসাব হইতে দেখা যাইবে যে শত বিঘা কর্ষিত জমির অনুপাতে গাভী ও স্ত্রী-মহিষ আছে বাংলায় ৩৬, fবহারে ৩৪, যুক্তপ্রদেশে ৩•, ও পাঞ্জাবে ২১ । বাংলার অস্ত্রপাত সব চেয়ে বেশী অথচ বাংলা সব চেয়ে কম দুধ পায়ু । বাংলার পরেই, বিহার ও উড়িষ্যার অবস্থা খারাপ । বিহারের সহিত উড়িষ্যা যুক্ত হওয়ায় এই অবস্থা দেখা ধাইতেছে, নচেৎ বিহারের অবস্থ: বাংলা হইতে ভাল এবং উড়িষ্যার অবস্থা বাংলা অপেক্ষা খারাপ। বিহারেও গরুমহিষের যত্ন কম । বিহারে স্ত্রী-মহিষের দুধ লওয়া হয় বটে, কিন্তু মাত্র তিন-চার সের দুধ পাওয়া যায়। তবুও বিহার বাংলায় ঘি পাঠায় । বিহারে মহিষের দুধ হইতে দষ্ট প্রস্তুত কfরয়া উপরের মাখনটা গালাইয়া ঘি তৈরি করে । পাঞ্জাবে অল্প গাভী-মহিষে যত বেশ দুধ পাওয়া যায় তত আর কোথাও পাওয়া যায় না। পাঞ্জাবে গরুর জাত ও যত্ন দুই-ই ভাল । বাড়ীতে কোনও কিছু ভাল খাদ্য হইলে লোকে যেমন ছেলেপিলেকে তাহা খাওয়াইতে আগ্রহ করে ও থাইলে আনন্দ পায়, পাঞ্জাবের গৃহস্থের গরুর জন্তু সেই ধরণের একটা আগ্রহ আছে । কিন্তু বাংলা এক পাল দুধপৃষ্ণ শীর্ণ দুৰ্ব্বল গাহ অধত্বে রাখিয়া আমরা নিজেরাও দুঃখ পাইতেছি গরুকেও দুঃখ দিতেfছ । বাংলায় গরুর সংথ্য যথেষ্ট আছে । বাংলার জমি অন্ত কোনও দেশ অপেক্ষা কম উর্বর নয় । বাংলার চাষাও অলস নয়। কিন্তু গোঁ-সেবা যে কি বস্তু তাহ বাংলার চাধা ন জানায় বাংলার দুঃখ চলিতেছে । ఇéd বাংলার গরুকে স্বত্ব করিলে দিনে দুইবার দোহন করা যায় এবং দুই বারের বিয়ানের পর চার সের ও শেষ দিকে এক সের এবং গড়ে দুই সের করিয়া দুধ পাওয়া যায়। গড়ে এক বিয়ানে দিনে দুই সের হিসাবে ছয় মাস দুধ পাওয়া ধাইবে ধরা যায়। বাকী ছয় মাস গরু দুধ দিবে না । তাহা হইলে একটা গাই এক বৎসরে বা এক বিয়ানে ১৮০ দিন দুই সের হিসাবে ৩৬° সের বা নয়ু মণ দুধ দিবে। বাংলার মোট গরুর মধ্যে বিরাণী লক্ষ গাই । ইহাদের মধ্যে যদি তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র নিয়মিত দুধ দেয় তবে দাড়ায় সাতাশ লক্ষেরও বেশী দুগ্ধবতী গাই। উহার প্রত্যেকে নয়ু মণ করিম দুধ দিলে বংদরে ২৪৩ লক্ষ মণ দুধ দিবে। ইহার অৰ্দ্ধেকটায় বৰ্ত্তমান দুধের অবিশুষ্কতা মিটাইলে বাকী অৰ্দ্ধেক অর্থাৎ ১২০ লক্ষ মণ দুধ উদ্ধৰ্ব হয়। কুড়ি মণ দুধে এক মণ দ্বি হইতে পারে, সে হিসাবে ১২০ লক্ষ মণ দুধে ছয় লক্ষ মণ দি হইবে। রেল ও ষ্টীমার পথে আমদানী ১৯৩৪-৩৫ সালের গবর্ণমেন্টের দেওয়া হিসাবে পাওয়া যায় যে বাংলায় ঐ বৎসর ঘি আসিয়াছে ৩৪৪ হাজার মণ । উহা হইতে রপ্তানী ৭২ হাজার ম৭ বাদে বাংলায় ব্যবহৃত আমদানী fঘর পরিমাণ দাড়ায় ৩৩০ হাজার মণ। কিন্তু রেল ও ষ্টীমার ব্যতীত মোটর যোগে অনেক ঘি আমদানী হয় । উহার হিসাব নাই। উহ! কুড়ি হাজার মণ ধরিলে, ঘির আমদানী সাড়ে তিন লক্ষ মণ হয় । আর এক বৎসরে আমরা বাংলার গাই হইতে সমস্ত প্রয়োজন মিটাহয় ছয় লক্ষ মণ উদ্বর্ত ঘি পাইতে পারি । কাজেই বাংলার আমদানী সাড়ে তিন লক্ষ মণ ঘি ঘরেই তৈয়ার করিয়া লণ্ডয়ার অস্তুরায় কিছু নাই। বাংলার গে-সম্পদ হইতে বাঙালী স্বার্থসিদ্ধি করিতে শিখিলে বর্তমান আমদানী পৌনে দুই কোটি টাকার ঘি ত নিজে উৎপাদন করিতে পারিবেই, বরঞ্চ অন্ত আরও অনেক ঘি রপ্তানী করিতে পাfরবে। বাংলার তিন ভাগের এক ভাগ গাই গড়ে দিনে দুই সের ক্ষুধ দিবে বলিয়। আমি ধরিয়াছি । কিন্তু যত্ন করিলে অধিকাংশ গাই ইহা অপেক্ষা অধিক দুধ দিবে ইহাই আমার ধারণা। ষত্ব করিলে যে দুধ বাড়ে ইহার পরীক্ষা আfম নানা ক্ষেত্রে নানা ভাবে করিয়া দেখিয়াছি । একটা দৃষ্টাত্ত