পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রোবণ বলে জানে না। আজকের দিনে কারুর কাপড় সাদা থাকতে নেই।” এমন একটা হুল্লোড়ের ব্যাপার দেখিয়া সতু এবং শিবুও মেয়েদের দলে ভিড়িয় গেল । অন্ত মেয়েদের গায়ে রং দিবার সাহস তাহাদের ততট ছিল না। কি আর করে ? খানিকক্ষণ দুই বন্ধু পরম্পরকেই হলুদ মাথাইল। স্বধ, হৈমন্তী ও জ্যাঠাইমার গায়ে হলুদ মাথাইবার আর স্থান ছিল না, মনীষা ও ইন্দুপ্রভার কল্যাণে তাহাদের গায়ের রং কিংবা কাপড়ের রং চেনাওঁ শত্ৰু । তবু শিৰু ও সতু সেখানে গিয়াও কিছু হটোপাটি করিল। কিন্তু তেল মাখায় তেল দিয়া কি মুখ ? মেয়েদের আশা ছাড়িয়া দিয়া তাহারা বাহিরবাড়ীতে ছুটিল। সকলে ফর্দ মিলাইতে জিনিষ সামলাইতে ব্যস্ত, পিছনে চাহিয়া কেহ দেখে নাই । অকস্মাৎ তপন, নিখিল ও মহেন্দ্রকে সচকিত করিয়া শিবু ও সতু তাহাজের তিন জনের মাথায় এক-এক ঘটি হলুদ-জল ঢালিল্পী ছিল । এমন অতকিতে আক্রান্ত হইয়া যদিও তাহার একটু ৰিস্থিত হইয়াছিল, তবু উপস্থিত-বুদ্ধি যোগাইতে নিখিলের দেরি হইল না। সে দুই হাতে লাল ও কালো কালির দোয়াত দুইটা তুলিয়া দুই জনের মাখায় উপুড় করিয়া দিল । মহেন্দ্র কেবল বলিল, “ছি, ছি, শুভদিনে কালো কালিটা ঢেলে কি বিশ্র কাও করলে !" তপন বলিল, “মূৰ্ত্তিমান অমঙ্গলদের মাথায় কালো কালি ঢাললেই মানুষের কিছু শুভ হবার সম্ভাবনা ६iरक !* শিবু বলিল, “আমি অত ঠাণ্ড ছেলে নই, এক দোয়াত কালি ঢেলেই আমায় জমিয়ে দিতে পারবেন না । যুদ্ধ ঘোষণা আজ আমিই করেছি, আমার প্রতিশোধ নেওয়া সাজে না, না হ’লে জারও অনেক স্বধৃত ও মুগন্ধি জিনিষ চুড়তে আমি পারি।” নিখিল শিবুকে কাছে ডাকিয়া কানে কানে অথচ সজোরে বলিল, “এই কাৰ্ত্তিক গণেশ দুটিকে হলুদ মেখে ত দিব্যি দেখাচ্ছে। আজ অনেক ফুলের মালা এসেছে। দু-জনের হাতে ভূ-ছড়া দিয়ে ভিতরে নিয়ে যাও না। হয়ত ওদেরও অদৃষ্ট প্রসর হতে পারে। মহেক্স আর তপন দু-জনেরই चदश जघौम्र " অলখ-ৰেiণরণ q(^ শিৰু বলিল, “বাপ রে, ওসব বাক্ষরামি করতে গেলে আমায় সবাই মিলে মেরে শেষ ক'রে রাখবে।” মেয়েরা উকি দিয়া বাহিরের ব্যাপার দেখিল, কিছু আন্দাজ করিল, কিন্তু কেহ কাছে আসিল না। দুপুরেই নিমন্ত্রিতাদের আহারের পাট, কাজেই ভোরের পালা বেলা বারোটায়ু শেষ করিয়া এই দিকেই সকলকে মন দিতে হইল। কলিকাতার মেয়েধঞ্জি, সহজে ত নিষ্কৃতি পাওয়া যাইবে না। ধাহার বাড়ীতে যে সময়ে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রীতি, কিংবা যাহার সংসারে যখন ছাড়া বাহিরে যাওয়া চলে না, তিনি সেই সময় আসিবেন । বারোট-একটার পর হইতে রাত্রি নয়ট পৰ্য্যন্ত যাহার যখন খুশী আসিয়া হাজির, কতবার ষে খাবার আসন পড়িল তাহার ঠিক নাই। সেদিনকার মত বাড়ীর লোকেদের মধ্যাহ্নভোজনটা বাদ গেল ; সেই রাত দুপুরে তাহাদের প্রথম ও শেষ আহার । ছেলেরা পাত পাড়িয়া বসিতে না পাইলেণ্ড পরিবেষণ করার ফাকে ফাকে স্থবিধা পাইলেই বেগুনীভাজ, সন্দেশ ও চা দিয়া জঠরাগ্নিকে অনেকখানি সংস্থত রাখিয়াছিল, মেয়েদের অনেকের ভাগ্যে সেটুকুও জোটে নাই । মহিলা-সভায় একদল আসিয়াছিলেন বাড়ী হইতে খাইয়া, নিমন্ত্রণ-বাড়ীতে শুধু গহন-কাপড় দেখিতে ও দেখাইতে । র্তাহারা অলঙ্কারের ছাতি চারিধারে ঠিকরাইম একটু ক্রত গতিতেই বাড়ীতে ফিরিয়া গেলেন। আর একদল বাড়ীর সকল কি-বোঁকে একত্রে জুটাইয়া জানিয়া সাধ্যমত খাইয়া ও সাধ্যমত বাধিয়া লইয়া গেলেন । তৃতীয় জল ক্ষুধার মুখে যতখানি ভাল লাগিল মুখে দিয়া, বহুকাল পরে বন্ধুবান্ধবের সহিত হুদীর্ঘ আলাপে মনটা খুলতে হাৰা করিয়া মম্বর গতিতে বাড়ী ফিরিলেন । এই সকল জলের মেয়েদের ধখাৰোগ্য আদর-অভ্যর্থন মিটাইয়ু যখন বাড়ীর ছেলেমেয়েদের একসজে পাত পড়িল তখন খাইবার ইচ্ছা বিশেষ কাহারও না থাকিলেও একসঙ্গে বসিবার আগ্রহেই সকলে বসিল । মনীষা ও ইন্দুপ্রভা পরের বাড়ীর বো, তাহাঙ্গের সকাল সকাল খাওয়াইয়া বিদায় দেওয়া झहेच्चाएछ । आइन्जिनौ ७ (प्रश्लष्टाच्न था७झ इश्रणइँ 5झै বাড়ীর গাড়ীতেই তাহাজের পৌছাইম্বা দিবে। স্বধাকে কিত হৈমন্ত্ৰী বাইতে দিবে না। দুধ এত বছরের মধ্যে একরাজিও