পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(SలSE প্রবাসী ১৩৪৪ BBBBBB B BBBB BBBDBBBB BBB BB BBS BB BBB BBB BB BBB BB BB S BBBBB Bg সবিনয়ে আমিও স্বীকার করে নেব । বানানে আপনার বিধানকত আপনি নিজেই । দ্বিতীয়ত কিন্তু যে-প্রস্তাবটি ছিল বানান-সমিতি স্থাপনের মূলে, সেটা প্রধানত তৎসম শবসম্পৰ্কীয় নয়। প্রাকৃত বাংল। যখন থেকেই সাহিত্যে প্রবেশ ও বিস্তার লাভ করল তখন থেকেই তার বানানসাম্য নিদি ষ্ট করে দেবার সমস্ত প্রবল হয়ে উঠেছে। প্রাকৃত বাংলার সংস্কৃত অংশের বানান সম্বন্ধে বেশি দুশ্চিস্তার কারণ নেই—যারা সতর্ক হতে চান হাতের কাছে একটা নির্ভরযোগ্য অভিধান রাখলেই তার বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন । কিন্তু প্রাকৃত বাংলার প্রামাণ্য অভিধান এখনও হয় নি, কেননা, আজও তার প্রামাণিকতার প্রতিষ্ঠাই হতে পারে নি। কিন্তু এই বানানের করার কাজ শুরু করবার সময় এসেছে । এত দিন এই নিয়ে আমি দ্বিধাগ্রস্ত ভাবেই কাটিয়েছি । তখনও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা প্রাধান্ত লাভ করে নি। এই কারণে স্বনীতিকেই এই ভার নেবার জন্যে অতুরোধ করেছিলেম। তিনি মোটামুটি একটা আইনের খসড়া তৈরি করে দিয়েছিলেন । কিন্তু আইনের জোর কেবল যুক্তির জোর নয় পুলিসেরও জোর । সেই জন্তে তিনি দ্বিধা ঘোচাতে পারলেন না। এমন কি আমার নিজের ব্যবহারে শৈথিল পূর্বের মতোই চলল। আমার সংস্কার, প্রফশোধকের সংস্কার, কাপিকারকের সংস্কার, কম্পোজিটরের সংস্কার, এবং যে সব পত্রিকায় লেখা পাঠানো যেত তার সম্পাদকদের সংস্কার এই সব মিলে পাচ ভূতের কৗতম চলত। উপরওয়ালা মুদি কেউ থাকেন এবং তিনিই যদি নিয়ামক হন, এবং দগুপুরস্কারের দ্বারা তার নিয়ন্ত,ত্ব যদি বল পায় তাহলেই বানানের রাজ্যে একটা শৃঙ্খলা হতে পারে। নইলে ব্যক্তিগত ভাবে আপনাদের মতো বিচক্ষণ লোকের দ্বারে স্বারে মত সংগ্রহ করে বেড়ানো শিক্ষার পক্ষে যতই উপযোগী হোক কাজের পক্ষে হয় না । কেন যে মুশকিল হয় তার একটা দৃষ্ঠাস্ত দিই। বর্ণন শব্দে আপনি যখন মূর্ধন্ত ৭ লাগান তখন সেটাকে যে মেনে নিই সে আপনার খাতিরে নয়, সংস্কৃত শব্দের বানান প্রতিষ্ঠিত স্বে মহিfম—নিজের মহিমায়। কিন্তু আপনি যখন বানান শব্দের মাঝখানটাতে মূধর্ষ ৭ চড়িয়ে ভত পাকা আপনি কখনো বলেন প্রচলিত বানান মেনে নেওয়াই ভালো আবার যখন দেখি মূধর্ষ ৭-লোলুপ ‘নয়া বাংলা বানান-বিধিতে আপনার ব্যক্তিগত আসক্তিকে সমর্থনের বেলায় আপনি দীর্ঘকাল-প্রচলিত বানানকে উপেক্ষা করে উক্ত শব্যের বুকের উপর নবাগত মুধৰ্ম্ম ণয়ের জয়ধ্বজা তুলে দিয়েছেন তখন বুঝতে পারি নে আপনি কোন মতে চলেন । জানি নে কানপুর শব্দের কালের উপর আপনার ব্যবহার নব্য মতে বা পুরাতন মতে । আমি এই সহঞ্জ কথাটা বুঝি যে প্রাকৃত বাংলায় মুধৰ্ম্ম"য়ের স্থান কোথাও নেই, নিজীব ও নিরর্থক অক্ষরের সাহায্যে ঐ অক্ষরের বহুল আমদানি করে আপনাদের পাণ্ডিত কাকে সস্তুষ্ট করছে, বোপদেবকে না কাত্যায়নকে । দুর্ভাগ্যক্রমে বানান-সমিতিরও যদি ণ-এর প্রতি অহৈতুক অতুরাগ থাকত তাহলে দণ্ডবিধির জোরে সেই বানানবিধি আমিও মেনে নিতুম। কেনন, আমি জানি আমি চিরকাল বঁচিব না কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের ভিতর দিয়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানে শিক্ষালাভ করবে তাদের আয়ু আমার জীবনের মেয়াদকে ছাড়িয়ে যাবে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের সঙ্গে প্রাকৃত বাংলা ভাষা সম্বন্ধে আমার আলোচনা হয়েছিল । তিনি প্রাকৃত বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র রূপ স্বীকার করবার পক্ষপাতী ছিলেন এ কথা বোধ হয় সকলের জানা আছে । সেকালকার যে সকল ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের সংস্কৃত ভাষায় বিশুদ্ধ পাণ্ডিত্য ছিল, তাদের কারে কারে হাতের লেখা বাংলা বানান আমার দেখা আছে। বানান-সমিতির কাজ সহজ হোতো র্তারা যদি উপস্থিত থাকতেন। সংস্কৃত ভাষা ভালো করে জানা না থাকলে বাংলা ভাষা ব্যবহারের ধোগ্যতা থাকবেই না, ভাষাকে এই অস্বাভাবিক অত্যাচারে বাধ্য করু। পাণ্ডিত্যাভিমানী বাঙালির এক নূতন কতি। যত শীঘ্র পারা যায় এই কঠোর বন্ধন শিখিল করে দেওয়া উচিত। বস্তুত একেই বলে ভূতের বোঝা বওয়া। এত কাল ধরে সংস্কৃত ব্যাকরণের সাহায্য না নিয়ে যে বহুকোটি বাঙালি প্রতিদিন মাতৃভাষা ব্যবহার করে এসেছে এতকাল পরে আজ তাদের সেই ভাষাই বাংলা