পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰেণৰণ ৰানাম-ৰিধি @seగి সাহিত্যে প্রবেশের অধিকার পেয়েছে। এই জঙ্গ তাদের সেই থাটি বাংলার প্রকৃত বানান নির্ণয়ের সময় উপস্থিত হয়েছে। এক কালে প্রাচীন ভারতের কোনো কোনো ধৰ্ম সম্প্রদায় ধখন প্রাকৃত ভাষায় পালি ভাষায় আপন আপন শাস্ত্রগ্রন্থ প্রচার করতে প্রবৃত্ত হয়েছিল তখন ঠিক এই সমস্যাই উঠেছিল। ধারা সমাধান করেছিলেন তারা অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন ; তাদের পাণ্ডিত্য র্তারা বোঝার মতো চাপিয়ে যান নি জনসাধারণের পরে। যে অসংখ্য পাঠক ও লেখক পণ্ডিত নয় তাদের পথ তারা অকৃত্রিম সত্যপস্থায় সরল করেই দিয়েছিলেন । নিজের পাণ্ডিত্য তারা নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিপাক করেছিলেন বলেই এমনটি ঘটা সম্ভব হয়েছিল। আপনার চিঠিতে ইংরেজি ফরাসি প্রভৃতি ভাষার নজির দেখিয়ে আপনি বলেন ঐ সকল ভাষায় উচ্চারণে বানানে সামঞ্জস্য নেই। কিন্তু এই নজিরের সার্থকতা আছে বলে আমি মনে করি নে। ঐ সকল ভাষার লিখিত রূপ অতি দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, এই পরিণতির মুখে কালে কালে যে সকল অসংগতি ঘটেছে হঠাৎ তার সংশোধন দুঃসাধ্য। প্রাকৃত বাংলা ছাপার অক্ষরের এলেকায় এই সম্প্রতি পাসপোর্ট পেয়েছে। এখন ওর বানান নিধারণে একটা কোনো নীতি অবলম্বন করতে হবে তো। কালে কালে পুরোনো বাড়ীর মতো বৃষ্টিতে রেীত্রে তাতে নানা রকম দাগ ধরবে, সেই জাগগুলি সনাতনত্বের কৌলিন্ত দাবী করতেও পারে । কিন্তু রাজমিস্ত্রি কি গোড়াড়েই নানা লোকের নানা অভিমত ও অভিরুচি অনুসরণ করে ইমারতে পুরাতন দাগের নকল করতে থাকবে। য়ুরোপীয় ভাষাগুলি मुर्थन aयं५म लिषिड शछिझल उषन कॉछü कौ ब्रकभ করে আরম্ভ হয়েছিল তার ইতিহাস আমি জানি নে । আন্দাজ করছি কতকগুলি খামখেয়ালি লোকে মিলে এ কাজ করেন নি, যথাসম্ভব কানের সঙ্গে কলমের ৰোগ রক্ষা করেই শুরু করেছিলেন । তাও খুব সহজ নয়, এর মধ্যেও কারে কারে স্বেচ্ছাচার যে চলে নি তা বলতে পারি নে। কিন্তু স্বেচ্ছাচারকে তো আদর্শ বলে ধরে নেওয়া যায় না—অতএব ব্যক্তিগত অভিরুচির অতীত কোনো নীতিকে যদি স্বীকার করা কতব্য মনে করি তবে ج ج حس به من উচ্চারণকেই সামনে রেখে বানানকে গড়ে তোলা ভালো । প্রাচীন ব্যাকরণকতারা সেই কাজ করেছেন, তারা জঙ্গ কোনো ভাষার নজির মিলিয়ে কতব্য সহজ করেন নি । এ প্রশ্ন করতে পারেন বানানবিধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারকে মেনে নেওয়াকেই যদি আমি শ্রেয় মনে করি তাহলে মাঝে প্রতিবাদ করি কেন ? প্রতিবাদ করি বিচারকদের সহায়তা করবার জঙ্গেই, বিদ্রোহ করবার জঙ্গে নয়। এখনো সংস্কার কাজের গাথুনি কাচা রয়েছে, এখনো পরিবতন চলবে, কিন্তু পরিবতন তারাই করবেন আমি করব না। র্তারা আমার কথা যদি কিছু মেনে নেবার যোগ্য মনে করেন সে ভালোই, যদি না মনে করেন তবে তাদের বিচারই আমি মেনে নেব । আমি সাধারণ ভাবে তাদের কাছে কেবল এই কথাটি জানিয়ে রাখব যে প্রাকৃত ভাষার স্বভাবকে পীড়িত করে তার উপরে সংস্কৃত ব্যাকরণের মোচড় দেওয়াকে যথার্থ পাণ্ডিত্য বলে না। একটা তুচ্ছ দৃষ্টান্ত দেব। প্রচলিত উচ্চারণে আমরা বলি কোলকাতা, কলিকাতাও যদি কেউ বলতে ইচ্ছা করেন বলতে পারেন, যদিও তাতে কিঞ্চিৎ হাসির উদ্রেক করবে। কিন্তু ইংরেজ এই শহরটাকে উচ্চারণ করে ক্যালকাটা এবং লেখেও সেই অনুসারে । আপনিও বোধ হয় ইংরেজিতে এই শহরের ঠিকানা লেখবার সময় ক্যালকাটাই লেখেন, অথবা ক্যালকাটা লিখে কলিকাতা উচ্চারণ করেন ন!— অর্থাৎ ষে জোরে প্রাকৃত বাংলায় আপনার যত্ব শখ মেণীনগান চালাতে চেষ্টা করেন, সে জোর এখানে প্রয়োগ করেন না। আপনি বোধ করি ইংরেজিতে চিটাগংকে চট্টগ্রাম সিলোনকে সিংহল বানান করে বানান ও উচ্চারণে গজ+ জলের ছিটে জেন না। ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করবামাত্রই যশোরকে আপনারা জেলোর বলেন, এমন কি, মিত্রকে মিটার লেখার মধ্যে জগুচিভা অনুভব করেন না । অতএব চোখে অঞ্জন দিলে কেউ নিক্ষে করবে না, মুখে দিলে করবে। প্রাকৃত বাংলায় বা গুচি, সংস্কৃত ভাষায় তাই আগুচি । আপনি আমার একটি কৰা নিয়ে কিছু হাস্ত করেছেন ৰিভ হাসি তো যুক্তি নয়। আমি বলেছিলেম বর্তমান সাধু বাংলা গদ্য ভাষাৰ ক্রিাপাগুলি গড় উইলিমের