পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

متن سوم ها ব্যাপারটিকে গানের পালায় বাধিয়া সাধারণে প্রকাশ করে । সমাজে আদালতে এত টানাটানি সত্বেও শো-গঙ অমান বদনে সকল কষ্ট সহ করিয়াছিল, কিন্তু পথে-ঘাটে ঐ গানের গররায় তাহার পক্ষে বাড়ীর বাহির হওয়া পধ্যস্ত কিছু দিনের জন্ত বন্ধ হইয়া গেল । 锋 事 專 লাসার ডাক-ঘর ও তার-ঘর একই ভবনে অবস্থিত । যেখানে এই বাড়ীটি আছে সেখানে পূৰ্ব্বে গুন-গে-মিং নামে প্রসিদ্ধ মঠ ছিল । উক্ত মঠের এবং বর্তমান অন্য তিনটির ( কুন-লদে-গ্লিং, ছে-মে-মিং, ছে-মূছোগ-মিং) মোহস্তগণ দলাই লামার নাবালক অবস্থায় ভোটলেশ-শাসনের অধিকার পায়। বিগত চীন-ভোট যুদ্ধের সময় এই মঠের মোহস্ত চৈনিকদের সাহায্য করে, ফলে মোহস্তের প্রাণদণ্ড এবং প্রত্যেকটি ইট খুলিয়া মঠের অস্তিত্ব লোপ করা হয়। একদিন তার-ঘরে গিয়া খবর পাইলাম তাহার পাশে লাসার রাজবৈষ্ঠ ( এবং লাসার বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের অধ্যক্ষ ) থাকেন। দেখা করিয়া বুঝিলাম তিনি জ্যোতিষী ও সারস্বতে অধিকারী। ইনি তখন বাৎসরিক পঞ্জিকার কাঠফলক খোদাই করাইতেছিলেন। কথাবাৰ্ত্তায় বুঝিলাম, যদিও সংস্কৃত ভাষার এক অক্ষরওইহার জানা নাই তবুও সারস্বতের সমস্ত স্বত্র এখনও ইহার কণ্ঠস্থ। এইরূপ আর এক বিদ্বানের সহিত আলাপ হইয়াছিল র্যাহার সমস্ত চান্দ্র ব্যাকরণ কণ্ঠস্থ। ডে-পুঙ মঠ আগেই দেখা হইয়াছিল, ১২ই অক্টোবর সে-রা মঠ দেখা স্থির করিলাম। ১৫ই সেপ্টেম্বর হইতে এক মাস এদেশে ঘুড়ি উড়াইবার সময়। এ-ব্যাপারে নেপালীরা বিশেষ পটু, বোধ হয় তাহারাই এ-থেল। এদেশে আনিয়াছে (কিংব চীনদেশ হইতে এই দুই দেশই শিথিয়াছে)। এদেশে আমাদের দেশের মত প্রত্যেক থেলার বিভিন্ন মরশুম আছে। ঘুড়ি কাটা গেলে তাহ ধরিতে সকলে ছুটাছুটি করে । এক দিন শুনিলাম ঐরূপ ঘুড়ি ধরায় এক ঢাব (সাধু) ও এক সিপাহীতে ঝগড়া হওয়ায় সিপাহীপ্রবর ঢাবাকে এক পাথরের আঘাতে চিরদিনের জগু ক্ষাস্ত করিয়াছে। সে-রা মঠ লাসা হইতে তিন মাইল উত্তরে । ফসল কাটা শেষ হইয়াছে, শূন্ত মঠের পাশ দিয়া চলিলাম । স্থানে স্থানে চমরী ও বলদ দিয়া মাড়াইয় শস্যের তুষ প্রবাসী SN988 ছাড়ানো হইতেছে । ভোটবাসী সাধারণতঃ প্রসঙ্গ-মন, স্বতরাং ফসল ঝাড়, ঘুড়ি ওড়ানো, চা প্রস্তুত করা প্রভক্তি সকল ব্যাপারেই গানের ঢেউ উঠতেছে । শস্যের ক্ষেতের সারি পার হইবার পূৰ্ব্বেই বিস্তু - হাতী-যুক্ত এক বিরাট অট্টালিকা দেখা দিল । চ. শাসনের আমলে ইহা চৈনিক ভিক্ষুদিগের বাসস্থান চিল । তখন লোকজনে ইহা গমৃগমৃ কfরত, এখন নির্জন পুখী । বালুময় প্রাস্তর পার হইয় পাহাড়ের মূলে পৌছিলাম, সামনে বিখ্যাত সে-র বিহার । ডে-পুঙ-এর স্তায় ইহাকেও পাঁচ ছয় হাজার লোকের আবাসযোগ্য ছোট শহর বলা চলে জমৃ-যঙ নামে মহান চোঙ-থ-পার এক শিষ্য ১৪১৫ খ্ৰীষ্টাকে ডে-পুঙ বিহার নির্মাণ করেন । ১৪১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে অন্ত এক শিষ্য শাক্য-যে-শে সে-র বিষ্কার স্থাপন করেন । র্তাহার তৃতীয় শিষ্য এবং প্রথম দলাই লামা গেং-ডুন-গ্যং-ছে। ১৪৪৩ খ্ৰীষ্টা+ে টশী-পুনি-পে মঠ স্থাপিত করেন। সে-র মঠে সাড়ে পাচ হাজার ভিক্ষুর বাস, তবে ছাত্রসংখ্যার হিসাবে ইহার স্থান ডে-পুঙের নীচে। এখানে পাচ জন অধ্যক্ষ (মূখন্‌-পো । আছেন কিন্তু ড-ছঙ (গ্রব-ছঙ অর্থাৎ বিদ্যালয়খও ) তিনটি মাত্র, ‘গে’ ( গো-বোস্-মৃথমৃ-মঙ, ), 'মে' (স্মা-থোসবসম্মিং ) ও "ঙগ-প'। সে-রা মঠে ৩৪টি খমৃ-সন আছে । এই থমূ-সনগুলি জক্সফোর্ড বা কেন্থি-জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির মত। উপরিউক্ত বিদ্যালয়-বিভাগগুলির মধ্যে ‘গে’তে ২২টি থমৃ-সন ও ‘মে'তে ১২টি খম-সন আছে । ঙগ-প-তে বিশাল পাঠশালা আছে, সেখানে বিশেষ তত্ব পড়ানো হয়, কিন্তু থমূ-সন একটিও নাই। ডে-পুড় মঠে ঐরূপ ৩৯টি খমৃ-সন আছে, উহা দুইটি বিদ্যালয়খণ্ডে বিভক্ত । কেন্থি,জ বা অক্সফোর্ডের কলেজগুলির মতই খম্সনে ছাত্রদের পড়িবার ও থাকিবার স্থান আছে । নিম্নপদস্থ অধ্যাপকদিগের নাম গে-গর্থেণ ( লেকচারার ) ও উচ্চ শ্রেণীগুদিগের নাম গে-শে ( প্রোফেসর ) । বিশ্ববিদ্যালধেং এলাকায় স্থানে স্থানে চারি দিকে দেওয়ালে-ঘের ফলেং বাগান আছে, সেখানে বসিয়া ছাত্রেরা পাঠ কণ্ঠস্থ করে কথনও বা ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির প্রমাণবাঞ্জিক' ইত্যাদির শাস্ত্রার্থ বিচাখ করে । স্মরণ রাখা উচিত, যদিও এই বিহার নালন্দা ৪