পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位。8 ঘটনাচক্রের বিবর্তনে এবং অবস্থার পরিবর্তনে বর্তমানে যে অবস্থায় আসিয়া পৌঁছান গিয়াছে, তাহাতে এরূপ বিশ্বাস করা যাইতে পাৱে ষে, গবর্ণরদের পক্ষে উহাদের বিশেষ ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ করা সহজসাধ্য হইবে না । অধিকন্তু, মন্ত্রিত্বগ্রহণ প্রশ্ন সম্বন্ধে কমিটি বিভিন্ন ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্যদের এবং সাধারণভাবে কংগ্রেসীদের মত বিবেচনা করিয়াছেন । অতএব, কমিটি এই সিন্ধাম্ভে পৌঁছিয়াছেন ও এই প্রস্তাব করিতেছেন, যে, মন্ত্রিত্বগ্রহণের জষ্ঠ কংগ্রেসীগণকে কোখাও আমন্ত্রণ করা হইলে কংগ্রেসীগণ তথায় মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্তু কমিটি ইহা স্পষ্ট করিয়াই জানাইয়া দিতেছেন যে, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে বর্ণিত পন্থ। অম্বষার কার্ষ্য করিবার জন্ত এবং এক দিকে নূতন শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালনার ও অন্য দিকে গঠনমূলক কাৰ্য্যতালিকা অমুসরণের কংগ্রেসী নীতি যত প্রকারে সম্ভব অনুসরণের জন্যই মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিতে হইবে এবং মন্ত্রীর পদের সুব্যবহার করিতে হইবে । ওয়ার্কিং কমিটির অর্থাৎ কার্যকরী সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস এই, ষে, ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্তে নিখিল-ভারত কংগ্রেস কমিটির সমর্থন আছে এবং এই প্রস্তাব কংগ্রেসের এবং নিখিল-ভারত কংগ্রেস কমিটির নির্দিষ্ট সাধারণ নীতির পরিপোষক । এ-বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটি যদি নিখিল-ভারত কংগ্রেস কমিটির নির্দেশ গ্রহণের সুযোগ পাইতেন, তাহ হইলে ভালই হইত, কিন্তু কমিটির মত এই, যে, বর্তমান অবস্থায় মন্ত্রিত্বগ্রহণ সম্বন্ধে সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে বিলম্ব করিলে, তাহ দেশের স্বার্থহানিকর হইবে এবং ষে সময়ে ক্ষিপ্রতার সহিত সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন, সেই সময় জনসাধারণের মনে একটা বিভ্রমের স্বষ্টি কৱিবে ।"—ইউনাইটেড প্রেস। বধায় ষে-সকল কংগ্রেসনেতা সমবেত হইয়াছিলেন, কাগজে বাহির হইয়াছে, যে, তাহারা বলিয়াছেন, কংগ্রেসের পতাকা উচু করিয়া রাখিতে হইবে। তাহা আমাদিগকে সেই হিন্দী গানটি মনে পড়াইয়া দিয়াছে যাহার গোড়ায় বলা হইয়াছে, “ঝও উচা রহে হুমার।” । কিন্তু ইহাও ভুলিতে পারা যায় না, যে, কংগ্রেস বলিয়াছিলেন, নূতন ভারতশাসন আইন গ্রহণযোগ্য নহে, উহা কাজে লাগাষ্টয়া যা-কিছু লাভ হয় তাহার আশায় উহা কাজে লাগান উচিত নয়, উহা ধ্বংস করিবারই যোগ্য । সেই জন্য, এক দিকে যেমন “ঝও উচা রহে ইমারা” মনে পড়িয়াছে, তেমনি অন্ত দিকে মনে এই প্রশ্ন উঠিয়াছে কংগ্রেস কি ( গোল্ডস্মিথের নাটকটির নামে স্থচিত) “শী ষ্টপস টু কষ্কার” নীতির অঙ্কুসরণ করিতেছেন ? কংগ্রেসের মাথার নতি কি বিজয়গৌরবে মাথা উচু করিবার অগ্রগামী ভঙ্গী ? কংগ্রেস কোন পথে যাইবেন, তাহা স্থির করা যে অত্যস্ত কঠিন, ঘরে পাখার নীচে আরামে বসিয়া তাহা অস্বীকার করা সহজ হইলেও, তাহা করিলে সত্যের অনুসরণ করা ইবে না । কংগ্রেস মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করিলে তাহার ফল প্রবণসী SNS88 হইবে, ছয়টি প্রদেশে ভারতশাসন আইন অনুসারে শাম. স্থগিত করিয়া গবর্ণরদের স্বৈরশাসন প্রবর্তন, এবং কংগ্রেসওয়ালাদের আবার অহিংস অসহযোগ ও আইনলঙ্ঘনে প্রবৃত্ত হওয়া । কিন্তু লক্ষণ দেখিয়া মনে হয়, বিগত সংগ্রামের ক্লাস্তি ও অবসাদ এখনও দূর হয় নাই । তবে, আমাদের মত যাহারা এই সংগ্রামে যোগ দেয় নাই, তাহাদের পক্ষে এ-বিষয়ে কিছু বলা অনধিকারচর্চা । কিন্তু ইহা বলিলে অস্কায় হইবে না, যে, অসহযোগ ও আইনলঙ্ঘনপ্রচেষ্টা স্থগিত করায় অস্তত: এইটুকু বুঝা গিয়াছিল, যে, যোদ্ধার তপন আর যুদ্ধক্ষম ছিলেন না—তাহ ধেকারণেই হউক। কংগ্রেসের কার্য্যকরী সমিতির প্রস্তাবেষ্ট পরোক্ষ প্রমাণ রহিয়াছে, যে, এখন ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্যদের ও অগু কংগ্রেসীদের অধিকাংশ আইনতান্ত্রিক মতে কাজ করিতে চান, অহিংস বিস্ত্রোহের পথে চলিতে চান ন—তাহার কারণ যাহাই হউক । বৰ্ত্তমান ১৯৩৭ সালের ১৮ই মার্চ দিল্লীতে নিখিলভারত কংগ্রেস কমিটি কেবল সেই ছয়টি প্রদেশেই ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্যদিগের মন্বিত্ব গ্রহণ প্রশ্নের আলোচ-; করিয়াছিলেন যেখানে ঐ সদস্তের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং গবর্ণরদের প্রতিশ্রুতি পাইলে তাহাদিগকে মঞ্জিত্ব গ্রহণের অকুমতি দিয়াfছলেন । গবর্ণরদের প্রতিশ্রুতি না-পাওয়ায় র্তাহারা মঞ্জিত্ব গ্রহণ করেন নাই । এখন কংগ্রেসের কার্ধ্যকরী সমিতি ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্যদিগকে যে মঞ্জিত্ব গ্রহণের অতুমতি দিয়াছেন, তাহা কেবল পূৰ্ব্বোক্ত ছয়টি প্রদেশের সদস্তদিগকেই দে. নাই, সাধারণভাবে ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্তমাত্রকেট দিয়াছেন বলিয়া মনে করা যাইতে পারে । কারণ, যে বাক্যটিতে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে অনুমতিটিকে যেমন গবর্ণরের নিকট হইতে প্রতিশ্রুতি-প্রাপ্তিরূপ সৰ্বের অধীন করা হয় নাই, তেমনি ইহাও বলা হয় নাই, যে, অল্পমতিটি উক্ত ছয়টি প্রদেশের সদস্যদেরই জন্য। কেবল বলা হইয়াছে, যে, যেখানে কংগ্রেসওয়াল সদস্যের। মস্থিত। গ্রহণেব জন্য ‘আমন্ত্রিত হইবেন, সেপানে তাঙ্গার। তাহা লইতে পাfরবেন । যে-সকল প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ নহে, সেখানেও কোন-না-কোন কংগ্রেস সদস্যের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত হওয়া অসম্ভব নহে কিন্তু এরূপ আমন্ত্রণের সম্ভাবনা থাকিলেও অন্য একটি বাধ রহিয়াছে। ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাবে স্পষ্ট ভাষায় বল হইয়াছে, কংগ্রেসের নির্বাচন-জ্ঞাপনীতে ( ইলেকশ্বন ম্যানিফেষ্টোতে ) নিদিষ্ট গঠনাথ ও বিনাশার্থ, উভয়বিধ, কাৰ্য্য করিবার নিমিত্তই মঞ্জিত্ব গ্রহণ করিতে হইবে । যে-ধে ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ, তথfকfর সব মন্ত্রীর পদই কংগ্রেসীরা পাইবেন । স্বতরাং তাহাদের