পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ৰিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেসের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ (ఫ్రెడ్డ পক্ষে কংগ্রেসের নীতির অনুসরণ করা চলিবে—তাহা করিতে গিয়া গবর্ণরদের সহিত র্তাহাদের বিরোধ, ও ফলে মস্ত্রিত্বের অবসান ঘটিবে কি না তাহা স্বতন্ত্ৰ কথা । কিন্তু যে-সব প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী সদস্যেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নহে, সেখানকার মন্ত্রিমওলে এক বা একাধিক মন্ত্রী কংগ্রেসী গুইলেও, অন্যের অকংগ্রেসী থাকিবেন । তাহাদের সকল বিষয়ে কংগ্রেসের দ্বিমুখ নীতির অনুসরণ করিবার সম্ভাবনা কম–নাই বলিলেও চলে । সুতরাং এই সকল প্রেদেশে কংগ্রেসের সভ্যদের মন্ত্রী হওয়া চলিবে না। তা ছাড়া আরও এই একটি বাধা রহিয়াছে, ধে, ইতিপূৰ্ব্বে কংগ্রেসের সভাপতি পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরু নিয়ম জারি করিয়া দিয়াছেন, ষে, ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী দল অন্য কোন দলের সঙ্গে কো-য়ালিশন বা সম্মিলন স্থাপন করিতে পারিবেন না । এ-অবস্থায়, কংগ্রেসী সদস্তদের মন্বিত্ব গ্রহণ হইতে যদি কোন স্বফল ফলে, তাহার দ্বারা কেবল ছয়টি প্রদেশ উপকৃত হইবে, অঙ্ক পাচটি প্রদেশ উপকৃত হইবে না। পরোক্ষভাবে তাহদের উপকৃত হইবার সম্ভাবনা যে কিছুই নাই, এমন নয়। কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল এবং অ-কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডলসমূহের মধ্যে যদি দেশহিতকর কার্ষ্যসম্পাদনে প্রতিযোগিতা হয়, তাহা হইলে কিছু স্বফল হইতে পারে। কিন্তু এরূপ প্রতিযোগিতা যে হুইবেই, ভাঙ্গ কে বলিতে পারে ? বৰ্ত্তমান শাসনবিধি প্রদেশগুলিতে প্রচলিত হইবার পূৰ্ব্বেগু সৰ্ব্বত্র প্রাদেশিক মন্ত্রিম গুল ছিল। তাহীদের ও বর্তমান মন্ত্রিমণ্ডলসকলের ক্ষমতা ও অধিকারে অবশ্ব প্রভেদ আছে । তাহী হইলেণ্ড ইহা সভ্য, যে, ইতিপূৰ্ব্বে কোন কোন প্রদেশের মন্ত্রীদের ভাল চেষ্ট অক্ষান্ত প্রদেশের মন্ত্রীদিগকে সচেতন ও প্রতিযোগিতোমুখ করে নাই । সুতরাং এখন যে করিবেই এমন অtশা করা যায় না । বস্তুতঃ নিখিল-ভারত কংগ্রেস কমিটি ও ওয়ার্কিং কমিটি ছয়টি প্রদেশের কথাষ্ট ভাবিয়াছেন, বাকী পাচটি প্রদেশের কথা তেমন করিয় ভাবেন নাই। সাধারণ মানবচরিত্র বিবেচনা করিলে ইহাই স্বাভাবিক । কংগ্রেসে, নিখিল-ভারত কংগ্রেস কমিটি:ত এবং ওয়ার্কিং কমিটিতে সেই সকল প্রদেশের কংগ্রেসীদেরই প্রভাব ও প্রাধান্ত বেশ যে-সব প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী দল সংখ্যাভূশ্লিষ্ট । সুতরাং তাহারা ঐ প্রদেশগুলির ইষ্টানিষ্টই বিশেষ করিয়া চিন্তু করেন, অন্তগুলির কথা তেমন করিয়া ভাবেন না । তাহাদিগকে দোষ দিবার জন্তু ইহা বলিতেছি না । তাহারা সকলেই অসাধারণ মানুষ হইলে, নিথিলভারতপ্রেমিক হইলে, অষ্টের কথাও ভাবিতেন । কেবল ছয়টি প্রদেশেই কংগ্রেস দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ হইবার কারণ এই, যে, ঐ প্রদেশগুলি হিন্দুপ্রধান, এবং হিন্দুরাই প্রধানতঃ উৎসাহী ও আত্মোৎসর্গপরায়ণ কংগ্রেস-সভ্য । তাহা হইলেও, যুগপৎ কৌতুকাবহ ও দুঃখকর একটি ব্যাপার এই, যে, হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলির হিন্দুরা অন্ত পাচটি প্রদেশের হিন্দুদের অসুবিধায় এবং উৎপীড়িত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় যথেষ্ট সমবেদনা অনুভব ও প্রকাশ করেন না । কিন্তু যেসকল প্রদেশে মুসলমানের সংখ্যাভূমিষ্ঠ ও অস্কত্র যেখানে তাহারা সংখ্যায় কম, সব জায়গার মুসলমানদেরই পরস্পরের সহিত যোগ ও সহানুভূতি হিন্দুদের চেয়ে বেশী । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বলিয়াছেন, গবর্ণরদের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করা সহজ হইবে না । এরূপ বিশ্বাসের কারণ র্তাহারা খুলিয়া বলেন নাই। অনুমান হয়, ভারতসচিব, সহকারী ভারতসচিব ও বড়লাটের বক্তৃত ও মন্তব্যগুলিতে র্তাহার। ঐ মৰ্ম্মের আশ্বাস দেওয়ায় কমিটির ঐক্ষপ ধারণ হইয়াছে । কিন্তু কংগ্রেসী সদস্তের একবার মাকড়সার বৈঠকখানায়ু অর্থাৎ শাসনকলের মধ্যে আসিয়া পড়িলে, তৎক্ষণাৎ না হউক, কিছু পরে গবর্ণরের যে বিশেষ ক্ষমতাগুলিকে আইনের পৃষ্ঠার মধ্যেই থাকিতে দিবেন, তাহা না হইতেও পারে। তাহারা তখন আইনে পরিকল্পিত উহাদের নিজমূৰ্ত্তি ধরিতেও পারেন । গবর্ণরের গত তিন মাস কোথাও মন্ত্রিমণ্ডলকে অগ্রাহ না করায় কমিটির ঐ প্রকার ধারণা হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না। কারণ, কমিটির সঙ্যের রাজনীতির অভিজ্ঞতাবিশিষ্ট ও বুদ্ধিমান । তাহারা বুঝেন, যে, এই তিন মাস কোথাও গবর্ণরে ও মন্ত্রিমণ্ডলে ঠোকাঠুকি না হওয়ার কারণ, হয় মন্ত্রীরা প্রধান প্রধান বিষয়ে গবর্ণরের পরামর্শ অনুসারে চলিয়াছেন, নয় সাবধানে সব বিষয়ে গবর্ণরের ও আমলাতন্ত্রের মন জোগাইয়া চলিয়াছেন । পঞ্চাবে ত এ-পর্যন্ত মন্ত্রিমগুলের প্রত্যেক সভায় গবর্ণর সভাপতিত্ব করিয়াছেন । বঙ্গের কথা ঠিক জানি মা ! কংগ্রেসের দাবী অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি না পাওয়া সত্ত্বেও, কমিটি যে ময়িত্ব গ্রহণের অনুমতি দিয়াছেন, তাহার আর একটি কারণ এই দেখান হইয়াছে, যে, ব্যবস্থাপক সভার সদস্য কংগ্রেসীরা এবং অন্য কংগ্রেসীরাও মস্ত্রিাগ্রহণের পক্ষপাতী। যাহারা জনপ্রতিনিধি, জনগণ সম্বন্ধে তাহাদিগকে দুটি কাজ করিতে হয় ;—সময়বিশেষে জনগণের মত গঠন ও মতকে স্বপথে চালিত করিতে হয়, এবং কখনও ব। জনগণের মত অনুসারে চলিতে হয় । ওয়ার্কিং কমিটি জনপ্রতিনিধি। কমিটি যtহাঙ্গের প্রতিনিধি, মন্ত্ৰিজগ্রহণ বিষয়ে সেই জনগণের মতের অনুবর্তন করিয়াছেন বলিয়াছেন। কংগ্রেস যখন নূতন আইন অনুসারে গঠিত ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে সদস্যরূপে কংগ্রেসীদের প্রবেশ বাঞ্ছনীয় মনে করেন, তখনই কোন কোন প্রদেশে মঞ্জিত্ব গ্রহণ বলিতে গেলে