পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(సెల్ অনিবার্ধ্য হইয় উঠে। কারণ, সদস্য নির্বাচিত হইতে হইলে আগে হইতে নিৰ্ব্বাচক ভোটদাতাদিগকে বলিতে হইবে নির্বাচনপ্রার্থী নিৰ্ব্বাচিত হইলে কি করিবেন। এই বলার কাজটি, এই অঙ্গীকার করার কাজটি, করিতে হয় বক্তৃত। স্বারা ও মুদ্রিত ম্যানিফেষ্টো বা মতজ্ঞাপনী দ্বারা । কংগ্রেসী নিৰ্ব্বাচনপ্রার্থীদের পক্ষের বক্তৃতা ও ম্যানিফেষ্টোতে বল হয়, যে, তাহারা নির্বাচিত হইলে কৃষকদের ও শ্রমিকদের দুঃখ দূর কfরবেন, ও অন্ত কোন কোন শ্রেণীর লোকদেরও অভাব অভিযোগে মন দিবেন, রাজনৈতিক বন্দীদিগকে মুক্তি দিবেন, ইত্যাদি। কংগ্রেসের সভাপতির বক্তৃতায় এবং কংগ্রেসের নির্বাচন-ম্যানিফেষ্টোতে নূতন ভারতশাসন আইন বিনষ্ট বা রদ করিয়া গণতান্ত্রিক ও স্বাঞ্জাতিক ধরণের শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার, স্বরাজ্যস্থাপনের ও স্বাধীনতা লাভের অঙ্গীকারও ছিল । এই শেষোক্ত অঙ্গীকারগুলি পালন ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ না করিয়াও করা সম্পূর্ণ অসম্ভব নহে, এবং জাতিকে স্বরাট ও স্বাধীন করিতে পারিলে সকল শ্রেণীর লোকেরই অভাব অভিযোগ ও দুঃখে মন দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হয়। কিন্তু যে-সকল কৃষক মজুর ও অন্ত লোক দুঃখদূরীকরণের আশায় কংগ্ৰেণীদিগকে ভোট দিয়াছে, তাহারা ভবিষ্যতে স্বরাজ্য ও স্বাধীনতা লব্ধ হইলে তবে মুখস্বাচ্ছন্দ্য পাইবে, এ আশায় বসিয়া থাকিতে পারে না । তাহাদিগকে সদ্য সদ্য দেখান আবশ্বক, যে, তাহাদের দুঃখ দূরীকরণের চেষ্ট হইতেছে। ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেসী সদস্তদের পক্ষে এরূপ চেষ্টা করা যতটা সম্ভবপর, মঞ্জিত্বগ্রহণ না করিলে তাহ করা যায় না। এই জন্যই বলিতেছিলাম, কংগ্রেসের ম্যানিফেষ্টোই মন্ত্রিত্বগ্রহণ প্রকারাস্তরে অনিবার্ধ্য করিয়াছিল। এখন কথা হইতেছে, কংগ্রেসী মস্ত্রিমণ্ডল ম্যানিফেষ্টোর অঙ্গীকার রক্ষা করিতে পারিবেন কি ? দেশহিতসাধনে মন্ত্রিমণ্ডলের সামর্থ্য কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল ও অন্য মন্ত্রিমণ্ডলসমূহের দেশহিতসাধন করিবার সামর্থ্য নির্ভর করিলে তাহাদের দেশহিতৈষণার উপর, দেশহিত করিবার মত জ্ঞান ও বুদ্ধির উপর, প্রাদেশিক ধনভাণ্ডারে যথেষ্ট টাকা থাকার উপর, সেই টাকা ব্যয় করিবার তাহীদের ক্ষমতার উপর, এবং দেশহিতসাধনার্থ কোন কোন প্রকার আইন প্রণয়ন করিবার তাহাদের সামর্থ্যের উপর । দেশের হিত করিবার ইচ্ছা এবং তাহার নিমিত্ত পন্থা নির্দেশ ও উপায় নির্বাচনের মত জ্ঞান ও বুদ্ধি তাহাদের আছে, মানিয়া লওয়া হউক । অঙ্ক যাহা কিছু আবগুক, তাহা আছে কি না বিবেচনা করা যাউক । প্রবণসী ఏNBg দেশহিতসাধনের নিমিত্ত আবশ্বক যথেষ্ট টাকা কোম প্রদেশের ধনভাণ্ডারেই নাই, যদিও যাহা আছে তদ্বার: কিছু দেশহিত অবশুই হইতে পারে। বঙ্গের প্রাদেশিক সরকারী কোষে ত যথেষ্ট টাকা নাই-ই । ভারতশাসন আইনের ৭৮ ধারা অনুসারে গবর্ণর প্রতিবৎসর প্রাদেশিক আয়ুবায়ের একটি বিস্তুতি ব্যবস্থাপক সভায় পেশ করাইবেন । ব্যয় দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হুইবে । একটি ভাগ সেই সকল খরচের স্বাহার ‘চঞ্জ প্রাদেশিক রাজস্বের উপর স্থাপিত ( "expenditure charged upon the revenues of the Province” ) ইহার দফাগুলি উক্ত ধারার ও উপধারায় দেওয়া হইয়াছে । প্রাদেশিক রাজস্বের ব্যয়ের এই ভাগটি ব্যবস্থাপক সভায় ভোটের দ্বারা বাড়াইতে বা মাইতে পারা যাইবে না । ইহা রাজস্বের বেশ একটি মোট অংশ। এই ভাগটির কোন কোন ব্যয় গবর্ণরের একার বিবেচনার উপর নির্ভর করিবে তাহার বিশেষ দায়িত্বগুলি অনুসারে কাজ করিবার জন্ম কত টাকা আবগুক, তাহাও তিনি স্থির করিয়া দিবেন । তাহার পর দ্বিতীয় ভাগটিতে আসিবে সেই সব থুষ্ট যাহার হ্রাসবুদ্ধি ব্যবস্থাপক সভার সদস্যদের ভোটের উপ - নির্ভর করিবে, কিন্তু তাহাও চূড়ান্ত ভাবে মহে । প্রথমত: E CIfa FRtCWA MtTNS í demand for a grant ) গবর্ণরের স্বপারিশ ব্যতীত ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করা যাইবে না । দ্বিতীয়তঃ, কোন কোন স্থলে তিনি ব্যবস্থাপক সভার দ্বারা কমান বা নামঞ্জুর বরাদ্ধ আবার বজেটে পুনঃস্থাপিত করিতে পাfরবেন । আইনের এই প্রকার সব ব্যবস্থ হইতে বুঝা যাইবে, যে, অযথেষ্ট প্রাদেশিক রাজস্ব হইতে মন্ত্রিমণ্ডল দেশহিতসাধনার্থ নিজ বিবেচনা অনুসারে আবশ্বক টাকা খরচ কfরতে পাইবেন না ও পরিবেন না, তাহাদিগকে গবর্ণরের মরমিব উপর নির্ভর করিডে হুইবে । নূতন ট্যাক্স বসাইম্বা বা বর্তমান কোন ট্যাক্সের হাং বাড়াইয়া রাজস্ব বুদ্ধির পথেও বাধা আছে । দেশের লোকদের আরও বেশী ট্যাক্স দিবার সামর্থ কত আছে, বিবেচ্য। বাংলা দেশে প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারকল্পে ট্যাক্স বসাইবার ক্ষমতা কয়েক বৎসর আগে প্রণীত একটি আইনে গবন্মে টিকে দেওয়া আছে । কিন্তু সেই আইন অনুসারে ট্যাক্স কার্যত: বসাইবার চেষ্টার প্রতিবাদ হইতেছে। নূতন ট্যাক্স বসান বা বর্তমান কোন ট্যাক্সের হার বাড়ান আর এক কারণে সহজ নয়। ইহা করিতে হইলে যেরূপ আইনের প্রয়োজন হইবে, তাহার খসড়া গবর্ণরের সুপারিশ ভিন্ন ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত পর্ধান্ত করা চলিবে ন, পাস করা ত দূরের কথা ।