পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ট্যান্স সম্বন্ধী কোন বিল বা অন্ত ষে কোন রকম বিল গ্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় পাস হইলেই তাহ। আইনে পরিণত হইবে না ; গবর্ণরের, গবর্ণর-জেনার্যালের, বা হংলণ্ডেশ্বরের তাহ মখুর না করিবার আইনসঙ্গত ক্ষমতা আছে। ভূমির রাজস্ব সম্বন্ধে বঙ্গের যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আছে, তাহার রদ বা কোন পরিবর্তন যদি কোন বিলে করা হয়, তাহাতে গবৰ্ণর নিজেষ্ট মত দিতে পারিবেন না, ইহা গবর্ণরদের প্রতি উপদেশের দলিলে ( Instrument of Instructions to Governorsa } *è sful cris আছে । চাষীদের ও কারখানার শ্রমিকদের দুঃখ ও অসুবিধার প্রতিকার করিতে হইলে যে-সকল আইন করিতে হুইবে, তাহাতে জমিদার ও:ধনিকদের স্বার্থের সহিত সংঘর্ষ ঘটিবে। ব্রিটিশ গরন্মেটি নিজ শক্তি ও প্রভাব রক্ষার নিমিত্ত এই দুষ্ঠ শ্রেণীর লোকদের আমুগত্য ও সমর্থনের উপর কতকটা নির্ভ করেন। জমিদারদের মধ্যে ইংরেজ একেবারেই মাহ এ - নয়, এবং ধনিকদের মধ্যে ইংরেজ অনেক । ভারতবর্ষের সাধারণ স্বার্থ এবং সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের স্বার্থের বৈপরীত্যও আছে। এই সব বিবেচ্য বিষয়ের উপর দৃষ্টি রাখিলে বুঝা যাইবে, যে, চাষী ও শ্রমিকদের সুবিধার জন্ত আইন করিবার ইচ্ছা যদি কোন মন্ত্রিমণ্ডলের থাকে, তাহ ইহলেও আইন করা খুব সহজ হইবে না। ভাঙিবার নিমিত্ত গড় নূতন ভারতশাসন আহন শু তাহাতে বিধিবদ্ধ নূতন SBBBS DazK KDBBBSS BBBS L BBBtt BBS fবনাশেরই ধোগ্য মনে করেন এবং সেই জন্তু তাহ বিনাশ করিবার চেষ্টাছ করিবেন, ইহা কংগ্রেস সভাপতির মুখ দিয়৷ শু অষ্টান্ত প্রকারে বহুবার বলিয়াছেন । সুতরাং এখন সেই আহিন ও শাসনতন্ত্র মন্ত্রিভগ্নহণ দ্বারা কতকটা সচল করিতে ধা ওঁয়ায় কংগ্রেসের কথায় ও কাজে কতকটা গরমিল হইতেছে, তাহা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তথাপি কংগ্রেস বলিতেছেন, মন্ত্রিত্বগ্রহণ শাসনতন্ত্রটাকে চালু করিবার জন্ত নহে, উহার ধ্বংসসাধনেরক্ট নিমিত্ত । তাহার অর্থের কিছু আভাসও সভাপতি এবং অন্য কোন কোন কংগ্রেসনেতা দিয়াছেন। আভাস এইরূপ । কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল এমন সব গঠনমূলক আইন করিবেন, এমন সব গঠনমূলক কাজ করিবেন, যাহার দ্বারা জনগণ বলিষ্ঠ হইবে, উদ্বুদ্ধ হইবে, সচেতন হইবে । মুতরাং জনগণ এখন যতটা কংগ্রেসের অ8ধাগী আছে, ভবিষ্যতে তদপেক্ষা আরও অমুরাগী হইবে। এই উদ্ধ ও বলিষ্ঠ জনগণের সাহায্যে কংগ্রেস স্বরাজপ্রচেষ্টা পূতন উদ্যম ও উৎসাহের সহিত চালাইবেন । কংগ্রেসের বিবিধ প্রসঙ্গ –ব্যবস্থাপক সভার ংগ্রেসী কাৰ্ষ্য নিয়ন্ত্রণ ds' সভাপতি নেহরু মহাশয় ইহাও বলিয়াছেন, যে, ফেডারেশনকে বাস্তবে পরিণত হইতে বাধা দিবার চেষ্টা কর, এবং তদ্বারা কন্সটিটিউশনটাকে ব্যর্থ ও হাস্তকর করা এবং এই প্রকারে ভবিষ্যৎ, শাসনবিধি প্রণয়নার্থ জনসভার জাহবানের জন্ত ও স্বাধীনতার জন্ত দেশকে প্রস্তুত করা মঞ্জিত্বগ্রহণের উদ্বেগু । গ্রহণের অধোগ্য ও বিনাশেরই যোগ্য শাসনতন্ত্রের অধীনে কংগ্রেসী ব্যবস্থাপক সদস্তের কি কারণে ও উদ্দেশুে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিতেছেন, তাহার ব্যাখ্যা আমরা ঐরূপ বুঝিয়াছি। আমরা যদি ঠিক্‌ বুঝিয়া থাকি, তাহা হইলে সাম্রাজ্যবাদী বেসরকারী ইংরেজরা এবং ভারতশাসনসংশ্লিষ্ট সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ আমলারা তাহ ধরিতে ও বুঝিতে পারিবেন না, মনে করি না। রাষ্ট্রনীতি আমাদের চেয়ে তার কম বুঝেন না । স্বতরাং প্রশ্ন এই, শাসনতন্ত্রকে ভাঙিবর উপায়রূপে ব্যবহারের অভিপ্রায়ে কংগ্রেসী মস্ত্রিমণ্ডল যদি কিছু গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা করেন, সে চেষ্টা ব্যর্থ কfরবার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষ সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করিবেন না, ইহ। কি আশা করা যাইতে পারে ? কংগ্রেস কর্তৃক ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেস কার্ষ্য নিয়ন্ত্রণ প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে কংগ্রেস দল কি ভাবে কাজ করিবেন, কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল কি প্রকারে গঠিত হইবে, এবশুকার বিষয়সমূহের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ভার আছে সাধারণ ভাবে কংগ্রেস পালে মেণ্টারী বোর্ডের উপর । তা ছাড়, কাৰ্য্যসৌকর্ধ্যার্থে বোর্ডের এক এক জন সভ্যের উপর কয়েকটি প্রদেশের ভার আছে । যেমন সরদার বল্লভভাই পটেল চোখ রাখিবেন বোম্বাই, মান্দ্রাজ ও মধ্যপ্রদেশের উপর, বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ বিহার, উড়িষ্য ও আসামের উপর, এবং মৌলানা আবুল কালাম আজাদ আগ্র-অযোধ্য: প্রদেশ, বাংলা, পঞ্জাব, উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও সিন্ধুদেশের উপর । অনেক কংগ্রেস-নেতা মনে করেন এবং কেহ কেহ বলেনও, যে, কংগ্রেসের কোন সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্ব ও ঝোক নাই, অন্তদের আছে বা থাকিতে পারে । ংগ্রেস যে অসাম্প্রদায়িক সমিতি, ইহা তাহার নিয়ম অমুসারে ও সাধারণভাবে সত্য । কিন্তু সাম্প্রদায়িকত। পরিহার করিবার ও সাম্প্রদায়িকতার ছোয়াচ হতে আত্মরক্ষা করিবার গুচিবাই কখন কখন অজ্ঞাতসাথে ও অনভিপ্রেত ভাবে কংগ্রেসকে সাম্প্রদাfমুকতাগ্রস্ত করে। উপরে বণিজ বন্দোবস্তটাতে ইহার গন্ধ পাওয়া ধায় }