পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র ব্যাগটি পকেট থেকে অন্তৰ্দ্ধান করেছে। আবাৰু, বাড়ী খাব, আবার টাকা আনব, এই অসুস্থ শরীরে সে शंकोश७७ কম নয়, তাই ৰলছিলাম যদি আপনার কাছে থাকে, তাহ’লে— । অবিশুি কালকেই— —ন, না সেজন্ত ভাববেন না—এই মিন । —থ্যাঙ্কস । আচ্ছ। আমি যাই ভাই । বুড়ীট; আবার— ডিগাস্টিং ত্রিদিববাবু দ্রুতপদে চলে গেলেন। মনে কি রকম খটকা লাগল। ত্রিদিববাবুকে এত চঞ্চল হ'তে এর আগে ত দেখি নি । আস্তে আস্তে ওঁর অমুসরণ করলাম • • অন্ধকার নোংরা গলির মধ্যে, ত্রিদিববাবু যে-বাড়ীটায় প্রবেশ করলেন সেটি একটি খোলার বাড়ী ৷ রাস্তার দিকে একটি ছোট্ট জানল-মত আছে, তারই নীচে গিয়ে চুপ করে দাড়ালাম। একটু পরেই শুনতে পেলাম ত্রিবিবাবু কাকে যেন বলছেন— —টীকা পেয়েছি গো ! কি কি আনতে হবে বল ?. অt: ! কাদে না রম ! কেঁদে কি হবে বল ? খোকন ঘুমিয়ে পড়েছে ? —ই্য, একটু আগেও আমার কাছে এসে কাদছিল আর বলছিল মা, ভাত ন দাও, আমায় চাটি মুড়ি দাও ; থিদেয় পেট জলে গেল যে ! ... ওর আর দোষ কি বল ? এই বয়সেই ও উপোস করতে শিখেছে । কিছুক্ষণ আর কোন কখ। শোনা গেল না। —ওকে তুলে দাও, আমি আগে দোকান থেকে ওকে কিছু খাইয়ে আনি। আর কিছু খাবারও নিয়ে আসি, তুমিও খাও, তার পর আস্তে আস্তে রান্ন করলেই হবে। ভেবে কোন লাভ নেই রম, ভেবে কিছু হবে না। এই রকম ভাবে ফুে-কট দিন কাটে । এর উত্তরে রম মেয়েটি আবার ফুfপয়ে কেঁদে કેઠળ প্রায় মাস-তিনেক পরে একটি সন্ধ্য— সেই গ্রে ট্রীটের মোড়ে দাড়িয়ে জরদাকিনছি। আমি শৰত জরদা খাই না, কিন্তু মাসখানেক হ’ল ধিনি আমার ডিসগাসটিং অৰ্দ্ধাঙ্গিনী হয়েছেন, তিনি অত্যস্ত ভালবাসেন বলেই এই যত্ন ক’রে জরদা কেন । হঠাৎ কানে এল— —বল হরি হরিবোল ! পেছনে চেয়ে দেখি চার জন লোকে একটি সধবার মৃতদেহ বয়ে নিয়ে চলেছে। কি অপূৰ্ব্ব সুন্দরীই যে ছিল সে, মৃত্যুপণ্ডির মুখমণ্ডলে এখনও তার স্পষ্ট স্বাক্ষর রয়েছে। বয়স বোধ হয় বছর-বাইশের বেশী হবে না, পায়ে আলতা আর মাথায় জলছে সি দুর ; রোগে রোগে তাঁর শরীরে আর কিছুই নেই, তবু এই শ্মশানযাত্রার কারুণ্যেও সে তার মহিমা হারায় নি। হঠাং লক্ষ্য পড়ল তার পেছনে পেছনে চলেছে ত্রিদিব । বুকটার মধ্যে কি রকম ক’রে উঠল—ওর সেই রমা নয়ত ? •••ছুটে গিয়ে ওর কাছে দাড়ালাম । —fত্রদিববাবু! ত্রিদিববাবু আমাকে দেখেই যেন একটু চমকে উঠলেন, তার পর সামলে নিয়ে বললেন—আর বলেন কেন, পাড়ার একটি মেয়ে, নাম রম, আমাকে বড় ভালবাসত, হঠাৎ মারা গেল, তাই সঙ্গে চলেছি। —আপনার চেহারা এমন হয়ে গেছে কেন ? —সেই জর । কিছুতেই ছাড়ছে না । নীলরতন, বিধান রায় বাদ নেই কেউ । ভাবছি কাশ্মীরটাশ্মীর অঞ্চলে চেঞ্জে যাব। ডিমৃগাস্টং –ও, হ্যা দেখুন, আপনার টাকাটা— —সে জন্যে ভাববেন না। আপনার সঙ্গে এই ছেলেটি কে ? ত্রিদিববাবু একটি বছর পাচ বয়সের ছেলের হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন । আমার কথা শুনে তার দিকে চেয়ে একটু মান হেসে বললেন—এ ? ঐ রমারই ছেলে । আচ্ছ। আসি এখন, নমস্কার ! ত্রিবিবাবু চলে গেলেন। অনেকক্ষণ একদৃষ্টিতে তার পেলাম, তিনি ক্টোচার খুঁট তুলে সেই রমার ছেলেটির চোখটা মুছিয়ে দিলেন। আরও মনে হ’ল, বোধ হয় তিনি নিজের চোখের উপরও ক্টোচার খুটটা একবার ঠেকালেন। কিন্তু,—ন, হয়ত ভুল দেখে থাকব ।