পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وي বর্ষায় ঐবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় সন্ধ্যার পূৰ্ব্ব হইতেই বৃষ্টি নামিয়াছে, আডিডা জমিল না। তিন জনে ছাড়া-ছাড়া ভাবে সময় কাটাহঁতেছিল—তারাপদ তাস ঘাটিতেছে, রাধানাথ সিনেমার বিজ্ঞাপন দেখিতেছে, শৈলেন হাত দুইটাকে বালিস করিয়া চিৎ হইয় গুইয়া গুনগুনু করিতেছে। তারাপদ বলিল, “তোমার মাথার কাছের জানাল দিয়ে বৃষ্টির ছাট আসছে শৈলেন " শৈলেন বলিল, “আমুকু, বেশ লাগছে ; মুবিধে-আরাম যখন সম্পূর্ণ ভাবে নিজের আয়ত্তাধীন, তখন ইচ্ছে ক’রেই একটু একটু অস্থবিধে ভোগ করায় বেশ একটা তৃপ্তি আছে,— রাজারাঞ্জড়ার সখ ক'রে হেঁটে চলার মত।” রাধানাথ একটি সংক্ষিপ্ত টিপ্পনী কfরল—“কবি ।” তারাপদ বলিল, “তাহলে আর একটু অস্থবিধার তৃপ্তি ভোগ করতে করতে তুমি না-হয় শুভেনকে ডেকে নিয়ে এস, চার গুন হ’লে দিব্যি আরাম ক'বে তাসট খেলা पृम्नि ” রাধানাথ বলিল, “আমি গিয়েছিলাম তার কাছে ; সে আসবে না ।” “কেন ?” *তার দাদার শালী বেড়াতে আসবে ।” “আমুক না ?” “বললে, এ অবস্থায় আমার বাড়ী ছেড়ে যাওয়াটা নেহাৎ অভদ্রতা হবে না ?” তারাপদ ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া বলিল, “ও--অভদ্রতা !” আবার চুপচাপ , শৈলেন গুনগুনানিটুকুও থামাইয় দিয়াছে। একটু পরে তারাপদই আবার মৌন ভঙ্গ কfরল ; প্রশ্ন করিল, "তোমরা ভালবাসা জিনিষটায় বিশ্বাস কয় ?” রাধানাথ বলিল, “যখন ভৃতে করি তথন ভালবাসা ** क् ि८झाम कtद्भtछ्,-कूर्शाझे एशन घाफ़ 5ांश्रवाह জিনিষ। তবে সব সময় করি না বিশ্বাস । ঘোর অন্ধকার রাহি, পোড়ো বাড়ী কিংবা একটানা মাঠের মাঝখানে একটা পুরনো গাছ—একলা পড়ে গেছি—এ-অবস্থায় ভূত বিশ্বাস করি ; আর ভালবাসার কথা-কবির ভাষায় এ-রকম অঝোর-ঝরা শাওন রাতি –তোমার চা-টি দিব্যি হয়েছিল, আর ওদিকে বাড়িতে খিচুড়ী আর মাসের খবর পেয়ে এসেছি, ভবিষ্যতের একটা আশ্বাস রয়েছে, এ-রকম অবস্থায় মনে হচ্ছে যেন প্রেম বলে একটা জিনিব থাকা বিচিত্র নয়.এমন কি দাদার নেই-শালীর জন্তে একটা বিরহের ভাবও মনে জেগে উঠছে যেন।" তারাপদ প্রশ্ন করিল, “কবি কি বল ?" শৈলেন বলিল, “আমি যে রয়েছি, আরও প্রমাণ দিয়ে স্পষ্ট ক'রে বসতে গেলে—এখন, এ-ঘরে হাতে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি—এটা বিশ্বাস কর ?” “করি বইকি—না করে উপায় কি ? বিশেষ ক'রে বৃষ্টির ছাটের সঙ্গে সঙ্গে তোমার শৈলেনত্বের প্রমাণ ষখন•••* “তাহ’লে ভালবাসাকেও বিশ্বাস করতে হবে ডোমাদের, কেন-না, আমি আর ভালবাসা সম-স্থিত, ইংরেজীতে তোমরা যাকে বলবে co-existent !” তারাপদ তাস ঠুকিতে কিতে বলিল, “বটে ! ত৷ তোমার জীবনে যে একট রহস্ত আছে সে-সন্দেহ বরাবরই হয় বটে, তবে অ্যান্টি-শুকদেবের মত—আমি অ্যাটি-ক্রাইষ্ট্রের নজীরে কথাটা ব্যবহার করলাম—অ্যান্টিশুকদেবের মত তুমি যে রমণী-প্রেম নিয়েই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছ এতটা জানা ছিল না। ব্যাপারটা ভেঙে বল একটু।” “বয়স যখন সাত-আটের মাঝামাঝি সেই সময় আমার ভালবাসার স্বত্রপাত। ঠিক কোন লগুটিতে আরম্ভ হয়েছিল বলতে পারি না । অনভিঞ্জেরা কাব্য-কাহিনীতে ষা বলেন ত থেকে মনে হয় ভালবাসা জীবনের একটা নির্দিষ্ট রেখ থেকে আরম্ভ হয়, যেমন মাঠের ওপর একটা চুণের রেখ কিংবা কোদালের দাগ থেকে আরম্ভ হয় বাঞ্জির দৌড়। ঐ যে শোন প্রথম দর্শন থেকেই প্রেম, কিংবা হাতের লেখ! দেখেই ভালবেসে ফেলা, ও-সব কথা নিতান্তই বাজে । প্রেমকে একটি ফুল বলা চলে—ওর আরম্ভট পাঞ্জির এলাকাভুক্ত নয়। কবে যে কেন্দ্রগত মধুৰণাটুকু জমে উঠেছে, আর তাকে ঘিরে কচি দলগুলি কুঞ্চিত হয়ে উঠবে তার হিসেব হয় না ; আমরা যখন টের পাই তখন যাত্রপথে অনেক দূর এগিয়েছে--সেটা বিকশিত দলের ব্যাকুল গন্ধের যুগ--- “এক দিন ঠাকুরমার কাছে গল্প শুনতে শুনতে আমি