পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জড়ের রূপ ঐঅশোককুমার বস্তু চিরদিনই মানুষ প্রকৃতির রহস্তাবগুণ্ঠন মোচন করিতে চাহিয়াছে—মানুষের সংস্কার তাহার বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির নিকট বার বার পরাজিত হইয়াছে। পুরাকাল হইতে মানুষ গ্ৰহনক্ষত্রের বিষয় চিন্তা করিতে করিতে ক্রমশঃ ইহার উপাদানের কথা কল্পনা করিতে আরম্ভ করিল। আজ বৈজ্ঞানিকের সাধনার বলে জড়কণার অসামান্য রূপের বিস্ময়কর আভাস পাওয়া গিয়াছে—একটি কণার ভিতর যেন এক বিশাল ব্ৰহ্মাও রহিয়াছে । যুগ যুগ ধরিয়া মানুষ বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছে যে এই পৃথিবীর যাবতীয় পদার্থ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম এই পাচটি মূল উপাদানে গঠিত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান-জগতে এক নূতন যুগ আসিল । কারলাইল ও নিকলসন দেখাইলেন যে, বিদ্যুৎপ্রবাহ দ্বারা জলকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ( জলজান এবং আমজান ) এই দুইটি বায়বীয় পদার্থে পরিণত করা যায়। ইহাতে প্রমাণ হইল যে রাসায়নিক কিংবা জড়-ক্রিয়া (physical process) wix cofie o Batotato ( element ) বিশ্লিষ্ট করা যায় না। তাহার ফলে উনবিংশ শতাব্দীতে পরমাণুবাদ গড়িয়া উঠিল । ক্রমে ক্রমে দেখিতে পাওয়া গেল, সৰ্ব্বসমেত ৯২টি মূল উপাদান আছে। একটি উপাদানের পরমাণু অন্ত উপাদানের পরমাণু হইতে ভিন্ন এবং প্রত্যেক পরমাণুর একটি বিশেষ ওজন, রাসায়নিক বিশেষত্ব এবং বিশিষ্ট বর্ণচ্চত্র ( spectrum ) আছে । কিন্তু বর্ণচ্ছত্রের বিচিত্র জটিলতায় এবং এই আণবিক সম্বন্ধের কোনও সহজ অনুপাত না থাকায় পরমাণুর সরল গঠনের সম্বন্ধে বিজ্ঞান-জগৎ সন্দিহান হইয়া উঠিল । গত শতাব্দীতে মেডেলিফ এবং লোদার মেয়ার সমস্ত মূল পদার্থকে একটি বিশেয তালিকায় বিভিন্ন পর্ধ্যায়ে সাজাইলেন। ইহার মধ্যে আটটি উল্লম্ব ( vertical ) ঘর আছে—যে-সমস্ত পরমাণুর জড় এবং রাসায়নিক চরিত্র এক শ্রেণীর, সেই উপাদানগুলি এক একটি উল্লম্ব ঘরে সাজান হইল । বাম দিক হইতে ডান দিক পৰ্য্যস্ত আহ্বভূমিক (horizontal ) ভাবে এক একটি করিয়া স্থান-সংখ্যা বাড়িয়া যাইতেছে— ềztta sig stefqq Hr II (atomie number ) RTF ! এই সংখ্যা অনুসারে আনুভূমিক ভাবে বাম দিক হইতে ডান দিকে গেলে ক্রমশঃ আণবিক ওজনের সঙ্গে তাঁহাদের রাসায়নিক-এবং জড়-বিশেষত্ব বদলায় যায়–কিন্তু যখন একটি আন্তভূমিক শ্রেণী শেষ হয় তখন আবার উল্লম্ব ঘরে ফিরিয়া আসিলে পূর্বের ন্যায় অণুর বিশেষত্ব লক্ষ্য করিতে পারা যায়। এই জন্য এই তালিকার নাম দেওয়া হইয়াছে পুনরাবৃত্তিক তালিকা (periodic table) | উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে সবু উইলিয়ম ক্রুক একটি নিম্ন চাপের বায়ুতে পূর্ণ নলের ভিতর দিয়া তড়িৎ প্রবাহিত করিয়া অপূৰ্ব্ব রশ্মি লক্ষ্য করিলেন, এবং এই রশ্মি বায়ুচাপের তারতম্যের উপর নির্ভর করে দেখা গেল । সৰ্ব জে. জে. টমসন বিশেষ পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করিলেন ধে বিদ্যুৎ-কণাই হইতেছে এই রশ্মির কারণ—ইহার বৈদ্যুতিক চরিত্র ঋণাত্মক ( negative ) এবং ইহার ওজন জলজান-পরমাণুর ১৮• • ভাগের এক ভাগ মাত্র। ইহার নামকরণ হইল বিদ্যুতিন । এই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানজগতে নব নব আবিষ্কারের প্রেরণা আসিল । রাদারফোর্ড এবং বোর পরমাণুর এক অভিনব চিত্র ক্টাকিলেন । একটি ধনাত্মক ভরকে ( ma৪s ) কে5 করিয়া বিদ্যুতিনগুলি অবিশ্রাম তাহাদের নিদিষ্ট কর্থে ঘূরিয়া বেড়াইতেছে । এদিকে তাপ-রশ্মির সমস্ত সমাধাকরিতে গিয়া মনীষী প্লাঙ্ক পূৰ্ব্বপ্রচলিত মতের বিরোধিত করিয়া বলিলেন যে একটি চলন্ত বিদ্যুতিন অবিশ্রাম রী বিকীরণ করে না—ইহা হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক ঝল শক্তি নিৰ্গত হয়, এবং এই শক্তি নির্গত রশ্মির দ্রুতত ; (frequency) of Q ontootfot (proportional