পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J2Sసి2 প্রষণসী ১৩৪৪ (isotope ) "tol, ( গ্রীক ভাষায় isos অর্থে সমান ; topos অর্থে জায়গা, স্থান—অর্থাৎ যে সমস্ত মূল উপাদান পুনরাবৃত্তিক তালিকায় সমান স্থান অধিকার করে)। কোনও রাসায়নিক পরীক্ষার দ্বারা ইহাদের বিভিন্নতা লক্ষ্য করিবার উপায় নাই। সৰ্ব জে. জে টমসন এবং অ্যাস্টনের বিশেষ পরীক্ষার ফলে ইহাদের ভরের বিভিন্নতা সুন্দর ভাবে প্রমাণিত হইয়াছে । দুইটি আইসোটোপের সংমিশ্রণে ঐরূপ খণ্ড পরমাণবিক ওজন অসম্ভব নহে । হিসাবের ফলে দেখা গিয়াছে যে, যে-শক্তিদ্বারা পরমাণুকোষ এইরূপে রহিয়াছে তাহা প্রচণ্ড । কিরূপ বলের স্বষ্টিতে এইরূপ সম্ভব হইয়াছে ? এবং এই বলের প্রভাবে কিরূপে এতগুলি কণা এইটুকু জায়গার মধ্যে ভীড় করিয়া রহিয়াছে ? পরমাণু-কোষের মধ্যে প্রোটনের সংখ্যা অধিক পরিমাণে থাকিয়া কেনই বা কোষকে ধনাত্মক করিয়াছে ? ঋণাত্মক পরমাণু-কোষ কি সম্ভব নহে ? অন্ততঃপক্ষে এমন পরমাণু-কোষ বাহার মধ্যে প্রোটন এবং বিদ্যুতিন সমান সংখ্যায় অবস্থিত ? বিজ্ঞান-জগতে কোনও কিছু মাপিতে কিংবা হিসাব করিতে গেলে একটি একক ( unit ) প্রয়োজন । এত দিন পৰ্য্যস্ত অম্লজান এবং জলজান পরমাণু-কোষ ( প্রোটন ) যথাক্রমে পরমাণবিক ওজন এবং পরমাণবিক গঠনের একক রূপে স্বীকৃত হইত। কারণ ধারণা ছিল যে জলজান এবং অম্লজান বুঝি খাটি পদার্থ। কিন্তু এই বিশ্বাসে আঘাত পড়িল যেদিন প্রমাণিত হইল যে জলজান এবং অম্লজান আইসোটোপসের সংমিশ্রণ । অন্যান্য মূল উপাদানের আইসোটোপসের ভরের মধ্যে যে বিভিন্নতা থাকে তাহ সামান্য—কিন্তু জলজানের অতিবিরল আইসোটোপের ভর সাধারণ জ্বলজানের দ্বিগুণ । ইহার নাম দেওয়া হঠল ভারী জলজান অথবা ডস্ট্রন ( গ্ৰীক ভাষায় প্রোটন অর্থে প্রথম— ডয়ষ্ট্রন অর্থে দ্বিতীয় )। ইহার চার্জ এক এবং ভর দুই । ইহাকে সংক্ষেপে D বলা হয়। আমরা জানি যে জলজান এবং আমজানের দ্বারা জল গঠিত। যখন ভারী জলজান পাওয়া যায় তখন ভারী জল ও নিশ্চয়ই পাওয়া সম্ভব । বাস্তবিকই এখন ভারী জলও পাওয়া যায় । ইউরে (Urey) (Deauteron) | বর্ণচ্ছত্র বিশ্লেষণপূর্বক এই ভারী হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব নিখুত ভাবে প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । ১৯১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে রাদারফোর্ড নিউট্রনের ( Neutron ) অস্তিত্ব কল্পনা করিলেন । জগতে কল্পনা প্রথম পথ আঁকিয়া দিয়া যায়, পরে হয় সেই অনুসারে কাজ হয় । একথা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বার বার প্রমাণিত হইয়াছে । বোর-এর হাইড্রাজেন-পরমাণুর চিত্র-অনুসারে ধনাত্মক ভরের চতুদিকে একটি বিদ্যুতিন অবিশ্রাম ঘুরিতেছে। যদি কোনও উপায়ে ইহা কোষের মধ্যে আসিয়া পড়ে তবে উহার চার্জ শূন্যে পরিণত হইবে, কিন্তু ভর সমানই থাকিবে— কারণ বিদ্যুতিনের ভর নগণ্য । ১৯৩১ সালে জাৰ্ম্মানীর বোঠে এবং বেকার তেজোবিকীরণকারী পদার্থ পোলোনিয়ম একটি বেরিলিয়াম পাতের সংস্পর্শে রাথিয়া দেখাইলেন

  • } {

令 奖 o -* কুরি-জোলিওর পরীক্ষা-প্যারাফিন হইতে প্রোটন নির্গত হইতেছে । যে খুব বেগবান ক-রশ্মি বেরিলিয়ম-কোষের মধ্যে প্রবেশ পূর্বক উহাকে চূর্ণ করে এবং একেবারে নূতন রশ্মি নিৰ্গত করে। গাইগার পরীক্ষা করিলেন যে ঐ রশ্মি খুব পুক