পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓo8 হইয়া উঠিতে হইয়াছে। মহেন্দ্র সত্যসত্যই দুই বৎসরের জন্য জাৰ্ম্মাণী চলিয়া যাইবে । মিলিদের বিবাহে যে কয়জন প্রাণপাত করিয়া পরিশ্রম করিয়াছিল, মহেন্দ্র তাহাদের মধ্যে এক জন। মহেন্দ্রকে বিদায়-বেলা একটু আদর অভ্যর্থনা করিয়া বাড়ীতে না ডাকিলে ভদ্রতা হয় না। আঞ্জ মহেন্দ্রের বিদায় উপলক্ষ্যে মুরেশ তাহাদের ছোট দলটিকে নিজেদের বাড়ীতে ডাকিয়াছে। বাড়ীতে আসবাব খুব বেশী নাই, কাজেই ঘরের মেঝেতে ফরাস পাতিয়া বসিবার জায়গা করা হইয়াছে। হেলান দিয়া বসিবার জন্ত যথেষ্ট তাকিয়া নাই,মিলি আজ বিছানা হইতে মাথার বালিশগুলি তুলিয়া আনিয়া ফরাসের উপর সাজাইয়াছে। বাড়ীতে ট্রে মাত্র একটা, কিন্তু দানসামগ্রীতে বড় বড় থালা গোট। দুই পাওয়া গিয়াছে। সেই থালার উপরেই খাবারের রেকাবীগুলি সাজাইয়া থাবার পরিবেশন করা হুইবে ঠিক হইল। মিলির হাতে একটা থালা স্বরেশের হাতে আর একটি। রেকারীগুলি কিন্তু র্কাসার পাওয়া যায় নাই, সেগুলি কাচেরই। তাহাদের জলখাবারের দুইখানা মাত্র কাসার রেকারী আছে, তাহাতে পান মশলা সাজাইয় টি-সেটের কাচের প্লেটগুলিই র্কাসার থালার উপর সাজান হইয়াছে। নিখিল বলিল, “তোমাদের ঘরের সাজসজ্জা সবই বেশ দেশী রকম হয়েছে, কেবল এই টি-সেটটা ছাড়া । এটা থাটি সাহেবের দোকান থেকে আমদানি।” মিলি বলিল, “আমার পাথরবাটি জামবাটি সবই আছে, দিশ মতে তাতে চা দিতে পারতাম, কিন্তু খাবারগুলো ত হাতে হাতে তুলে দিতে পারি না ; তাই দায়ে পড়ে বিলিতী সেটটাই বার করতে হল ।” নিখিল বলিল, “ফুলকাটা মাটির সরা পাওয়া যায়, তাইতে খাবার দিয়ে আর ক্টেশনের হিন্দু চায়ের মত মাটির ভীড়ে চা দিলে কিছু মন্দ হ’ত না।” মহেন্দ্র বলিল, “মাতৃযের স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে দেখতে হ’লে ওইটাই সব চেয়ে ভাল প্রথা বলতে হবে। একবার উচ্ছিষ্ট বাসন আর না ব্যবহার করা এক মাটির জিনিব ব্যবহার করলেই হয় ।” স্বধা বলিল, “পাতার বাসন আরও ভাল। আমাদের দেশে পাতার থালা বাটি সবই লোকে ব্যবহার করে । প্রবাসী 令\°8愈 এখানে শহরের মাঝখানে গাছই নেই ত পাতা কোথা থেকে আসবে ?” তপন বলিল, “গাছ নেই ক’লে পাতার অভাব আছে মনে করবেন না । বাজারে গেলেই যত পাতা চান কিনতে পাবেন । তবে আপনাদের দেশের মত শালপাত নয়, কলার পাতা।” হৈমন্তী বলিল, “পাতার বাসন, পাতার আসন দিয়ে একদিন পিকনিক করলে মন্দ হয় না ।” তপন বলিল, “দল যে রকম ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল, এখন কি আর চটু করে পিকনিক হবে ?” নিখিল হাসিয়া বলিল, “তা না হয় হৈমন্তী দেবীর গৃহ-প্রবেশের সময় আমরা সবাই পাতার বাসন গাখতে বসে যাব ।” হৈমন্তী বলিল, “অত স্বমূর ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সম্প্রতি একটা কিছু করবার ব্যবস্থা করলেই ত ভাল হয় ।” নিখিল বলিল, “যে রকম দিনকাল পড়েছে তাতে আপনাদের ভবিষ্যৎকে স্বদূরপরাহত মনে করবার কোন কারণ দেখছি না।” হৈমন্তী বলিল, “আচ্ছ, আপনি মস্ত ভবিষ্যদ্বক্তা হয়েছেন, আপনাকে আর বেশী ভবিষ্যদ্বাণী করতে হবে না ।” নিখিল তবুও হাসিয়া বলিল, “ডবল-ব্যারেলড়, গানের সামনে পড়লে মাতুষের প্রাণ আর কতক্ষণ টেকে ? আপনি কি এতই বজ্রকঠিন ?” তপন ও মহেশ্র দুই জমেই নিখিলের দিকে কটুমট করিয়া তাকাইল হৈমন্তী মুখ লাল করিয়া একবার তপনের দিকে চাহিয়া দেখিল । তপন তখন চোখ নামাইয়া মাটির দিকে চাহিয়া আছে । মহেক্স গম্ভীর স্বরে বলিল, “সুরেশ-f", তোমাদের প্রোগ্রামে এর চেয়ে ভাল জালোচ্য বিষয় কি किडू cन्हे ? श्वनि निउॉख्झे किडू न शक, न!-झ्छ গ্রামোফোনটা বাজাও, যাবার আগে গোট কয়েক ভাল গান গুনে যাই ।” মিলি বলিল, “গ্রামোফোনের গান শোনবার জাগে কিছু আনারসের সরবৎ খেয়ে দেখুন, প্রোগ্রামে একটু বৈচিত্র্য অতুভব করতে পারেন।”