পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র অলখ-বেণরণ

  • ήοία

নিখিল ভরসা পাইয়া বলিল, “এমন ভাল জিনিষের কথা আগে বলেন নি কেন ? তাহলে ব্রহ্মতেজে ভস্ম হবার সম্ভাবনাটা আমার একটু কমত।" মিলি থালার উপর কতকগুলি কাল পাথরের উচু উচু বাটি বসাইয়া সরবৎ আনিস্থ হাজির করিল। স্বরেশ সেই সঙ্গেই তাহার পোটেবল, গ্রামোফোনে রেকর্ড লাগাইয়া দিল, “এ ভরা বাঙ্গর মাহ ভাদর, শূন্ত মন্দির মোর—” নিখিল চীৎকার করিয়া উঠিল, “হরেশ-দা, কর fক, কর কি ! এখুনি আদালতে তোমার নামে নালিশ রুজু হয়ে যাবে।” - স্বরেশ বলিল, “এটা ত আমার ‘অনারে’ হচ্ছে না, তোমাদের জন্তেই হচ্ছে । তোমাদের তিন তিন জনের ভাবনার কাছে আমার একলার মুখদুঃখ অতি তুচ্ছ ঞ্জিনিষ ।” মিলি বলিল, তার চেয়ে ওই গানটা দাও ন— “এমন দিনে তারে বলা যায় এমন ঘন ঘোর বরিযায়—" স্বরেশ বলিল, “আচ্ছা, একে একে সবই হবে । যতগুলো বর্ষার গান আছে সব ক’টাই পরে পরে লাগিয়ে দেব।" সরবৎ চা ও নিউমার্কেটের ডালমুটের সঙ্গে বহুক্ষণ গ্রামোফোন ও কণ্ঠসঙ্গীত চলিল। বহুদিন পরে ধেন তাহাঁদের ছাদের সভা আবার স্বরেশের ঘরে জাকিয়া উঠিল । মহেন্দ্র ইউরোপীয় স্ত্রী লইম্বা দেশে ফিরিলে তাহাদের সভাকে কি রকম অবজ্ঞার চক্ষে দেখিবে তাহা লইয়া রেশ রসিকতার স্বচনাও একবার করিয়াছিল, কিন্তু কাহারও নিকট উৎসাহ পাইল না। তখন রাজি হইয়াছে। বাহিরে টপ টপ করিয়া একটানা বৃষ্টি হইয়া চলিয়াছে, কিন্তু ধারাবর্ষণ নাই। হৈমন্ত্ৰী বলিল তাহার গাড়ীতে সে তাহদের দলের সকলকে পৌছাইরা দিতে পারে। মহেন্দ্র ও তপন দুই জনেই সমস্বরে বলিল, “এইটুকু টিপটিপে বৃষ্টিতে গাড়ী চড়বার কিছু দরকার নেই। আমরা এমনই বেশ পাড়ি দিতে পারব। প্রায় সবটাই ত ট্রামে যাব, দুই-চার পা খালি ইটা।" স্বরেশ বলিল, “ণ্ডহে নিখিল, তুমি ত চিরকালের শিভালরাস জেণ্টলম্যান, এত রাত্রে বর্ধার দিনে ভদ্র মহিলাদের একলা ফেলে পালান তোমার উচিত নয় । তুমি না হয় যাও ওঁদের পৌছে দিয়ে এস।” নিখিল বলিল, “আমায় হুকুম করলেই যাব । আমার ওতে মান্ত বৃদ্ধিই হয়, হানি কিছু হয় না ।” মহেন্দ্র বলিল, “ধাকৃ, এই স্বযোগে নিজের দর কিছু বাড়িয়ে নিলে । তোমারই স্বনাম থাক । সবাই মিলে গাড়ীতে ভিড় করলেও এখন ত আর আমাদের যশ হবে না ।" মহেন্দ্র ও তপন ছাতা মাথায়ু দিয়া বাহির হইয়া পড়িল । নিখিল মুধ ও হৈমস্তীর সঙ্গে গাড়ীতে উঠিল। ঙ্গৈমঞ্জীর গাড়ী, কাজেই স্বধাকে আগে নামাইয়া দেওয়া ভদ্রতা। স্বধাকে বাড়ীর দরজায় ছাতা ধরিয়া পৌছাইয়া দিয়া আসিয়া নিখিল বলিল, “এবার আপনাদের বাড়ী চলুন।" হৈমন্তী বলিল, “আর আপনি ?” নিখিল বলিল,"আমি ত মস্ত লোক, আমার জন্তে আবার ভাবনা ? আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আমি সোজা দৌড় দিয়ে বাড়ী গিয়ে উঠব।” হৈমন্তী তাহাতে রাজী হইল না। তখন ঠিক হইল হৈমন্তী নামিবার পর ঐ গাড়ীতেই নিখিল বাড়ী যাইবে । গাড়ীতে নিখিল ও হৈমন্তী ছাড়া আর কেহ ছিল না। বর্ষার বিষণ্ণ রাত্রি। মামুষের মনে বাহিরের চেয়ে ভিতরের कथाझे ८दने वफ़ श्ब्रां ॐtॐ ७भन नभt१ । ऐश्धखेौ ভাবিতেছি? আপনার অদৃষ্টচক্রের কথা। মন তাহাৰুে টানিতেছে এক দিকে, কিন্তু তাহার জগু উদৃত্তাস্ত হইয়া উঠিল আর এক জন । এই সমস্তার মাঝখানে আজ আবার নিখিল অকস্মাৎ নূতন কি একটা ঠাট্টা করিয়া বলিল । মহেন্দ্রও ত সেদিন এই ধরণেরই কথা বলিয়াছিল । হৈমন্তীকে একলা না থাকিতে দিবার লোকের নাকি অভাব নাই। তপন ও নিখিলেরও নাকি ওই একই চিন্তা । নিখিলের বিষয়ে কথাটা সম্পূর্ণই আন্দাজ বলিয়া মনে হয়। না হইলে সে নিজেই আবার হৈমন্ত্রীকে ঠাট্টা করিবে কেন ? কিন্তু মহেঞ্জ ও নিখিল ছুই জনেই ও বলিতে চাহে ৰে