পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

thoశ్రీ তপনেরও মন এই দিকে । নিখিলকে এ-বিষয়ে প্রশ্ন করা কি হৈমন্ত্রীর উচিত? যদি নিখিল তাহাকে কিছু মনে করে ? স্ত্রীলোকের পক্ষে এই জাতীয় প্রশ্ন করা ঠিক শালীনতার পর্ধ্যায়ে পড়ে কি না হৈমন্তী ঠিক করিতে পারিতেছিল না, অথচ তাহার মন অত্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিল নিখিলের ঠাট্টার কারণটা জানিবার জন্ত । এ-কথাটা জানা তাহার নিতান্তই দরকার । যদি ইহা সত্য হয় তাহা হইলে শুধু যে হৈমষ্ঠীর মনটা ঠাও হইবে তাহা নয়, মহেন্দ্রকেও একখা স্পষ্ট করিস্থা বলা হয়ত যাইবে । বেচারী মহেন্দ্র কেন দীর্ঘকাল ধরিয়া ওই ভাবনার পিছনে ঘুরিয়া মরিবে ? হৈমন্তীও পথ খুজিয়া হায়রান হইয় গেল কি করিয়া মহেন্দ্রর নিকট হইতে সে লুকাইতে পারে । দূর দেশে মহেন্দ্র যাইবে বটে, কিন্তু তাহাতেও সে হুৈমষ্ঠীকে নিষ্কৃতি দিবে না নিশ্চয়ই । হৈমন্ত্ৰী বলিয়া বসিল, “আপনি মিলিদির বাড়ীতে আমায় সকলের সামনে ওরকম ঠাট্ট কেন করছিলেন ? বাইরের লোকও ত ছিল ।” নিখিল বলিল, “আমি ত কারুর নাম করি নি। জার মিখ্যে কথাও যে বলেছি তা মনে হয় না। তা থাকগে, আর ওসব কথা কখনও তুলব না, এবারকার মত জামায় মাপ করবেন । মহেন্দ্রর কথা আমি ধ্রুব সত্য ব’লে অবশু বলতে পারি না, কিন্তু তপনের বাড়ীতে আমি এ-কথা তাকে বলেছিলাম, সে ত অস্বীকার করে নি।” হৈমন্ত্রী একটু যেন বিরক্ত হইয়া বলিল, “এটা কি আপনাদের একটা আলোচনার বিষয় ”ি নিখিল লজ্জিত হইয়া দুই হাত জোড় করিয়া বলিল, “না, না, সে কি কথা ? সে কি কখনও হতে পারে ? তপন আমার বিশেষ বন্ধু, আমি তার মন জানবার জন্তে একবার মাত্র এ-কথা বলেছিলাম । না হ’লে সে কখনও নিজে থেকে এ-কথা উচ্চারণ করে নি। তার বরং প্রতিজ্ঞাই আছে এ বিষয়ে কথায় কি ব্যবহারে কিছুকাল কোন মানুষের কাছেই সে কিছু প্রকাশ করবে না।” হৈমন্তী জার কৌতুহল দেখাইতে পারিল না। যে প্রবাসী 令°8息 আলোচনার জঙ্ক নিখিলের প্রতি সে বিরক্ত হুইতেছিল নিজেই তাহার সম্বন্ধে নানা প্রশ্ন করা তাহার অভ্যস্তুষ্ট্র षरतांख्न भtन श्झेल । fक्रू उबू उiझांब्र मरन ७ a; জাগিতেছিল, নিখিলের মনে যদি এই কথাই আছে, তবে সে কাহারও কাছে কিছু প্রকাশ করিবে না কেন ? যাহার কাছে প্রকাশ করাট সকলের আগে স্বাভাবিক বলিয়া মনে হয়, সেও কেন বাদ যাইবে ? নিখিলের কথা সত্য ত ? মিথ্য কথাই বা অকারণ কেন নিখিল বলিবে ? হয়ত তপনের সকল কাজেই নিজস্ব এই রকম একটা ধরণ আছে । সে ত ঠিক সাধারণ আর পাচ জলের মত ব্যবহার কোন কাজেই করে না । নিথিলের কথাকে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে হৈমন্ত্রীর মন আকুল হইয়া উঠিয়াছিল ; সংশয়কে সে মনে স্থান দিতে পারিতেছিল না । পৃথিবীতে যাহা এত দেশে এত কালে সত্য হইয়া আসিয়াছে, তাহ তাহার বেলাই কেন সত্য হইবে না ? একজনও স্পষ্ট করিয়া বলিবার আগে উভয়ে পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছে মানবপ্রেমের ইতিহাসে ইহা কি এমনই অভূতপূৰ্ব্ব ঘটনা ? ইহাই ভ স্বাভাবিক, ইহাকেই সত্য বলিয়া হৈমন্তী বিশ্বাস কfরবে। সে ছেলেবেলায় বিলাতী আবহাওয়ায় মানুষ হইয়াছিল বলিয়া পুরুষজাতিকে যে রকম বিলাতী উপন্যাসের নায়কের মত মনে করে, বাঙালীর ঘরের স্বল্পবাক যুবক তপন সে রকম ন হইতেই ত পারে। মনের কথা হৈমন্তীর কাছে প্রকাশ করিতে হয়ত তাহার অনেক দিন লাগিবে । কিন্তু হৈমন্ধীর মনে তপনের প্রতি শ্রদ্ধা জঙ্গিলেও অভিমান হইল । নিখিলের কাছে এ-কথা স্বীকার করিবার তাহার কি প্রয়োজন ছিল ? এই একটি কথা তাহার কি তপনের মুখে সৰ্ব্বপ্রথম শুনিবার অধিকার ছিল না ? না-হয় সে দুই দিন পরে গুনিত, কিন্তু নিখিলের কাছে শোনার চেয়ে সে শোনার মূল্য যে অনেক বেশী ছিল। তপনের স্বাদেশিকতার আইনে কি বলে তপনই জানে, কিন্তু নিখিলের মাঝখানে আসিয়া পড়াটা হৈমন্তী কিছুতেই সহ করিতে পারিতেছে न! । ক্রমশঃ