পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԴՏՑ تمام ১৩৪৪ তাহারই বিবাহের সময়কার পাওনা, এখনও সেগুলি নূতন রহিয়াছে। এ-সব দেখিয়া কি মৃগাঙ্ক দিনে দশ বার সেই হারানো গৃহলক্ষ্মীকে স্মরণ করেন না ? ভাবিতেই প্রিয়বালার মনে যেন কঁটি ফুটিয়া ধাইত । খাইতে বসিয়া মনে হইত, এই থালা বাটি গেলাস, সবই ত সতীনের সঙ্গে আসিয়াছিল। শুইতে গিয়া মনে এই থাটেই শৈলজা ৪ শুইডেন নিশ্চয়। নিজে বিবাহের সময় কিছুই পান নাই, শাখাশাড়ী দিয়া তাহার পিত কন্যাদায় হইতে অব্যাহতি পাইয়াছিলেন, তাহা না-হইলে প্রিযুবালা বোধ হয় এ-সব জিনিধে আগুন লাগাইয়া দিতেন । কিন্তু মনে ধতই কাটা ফুটুক, এইগুলি দিয়াই তাহাকে নিজের সংসার পাতিতে হইল। ভালর মধ্যে ইহার। জড় পদার্থ, ইহাদেব মুখে ভাষা নাই, চোখে দৃষ্টি নাই । কেহ যদি ইহাদের ভুলিতে চায়, ইহার জোর করিয়া অতীতের স্মৃতি জাগতিয়া দেয় না । প্রিয়বালা জোর করিয়াই সব কথা তুলিতে চেষ্টা করিতেছিলেন, স্বামীকেও আদর-যত্বে যতটা পারেন একেবারে নিজের করিয়া লইবার চেষ্টারও ক্রটি ছিল না। কিন্তু মৃণাল তাহার সংসারে একটা মূৰ্ত্তিমতী উৎপাতের মত আসিয়া উপস্থিত হঠল । এ-যে মুতী শৈলজার চোপমুখ গলার স্বর সব চুরি করিয়া লইয়া আসিয়াছে। নিজে কিছু নাই বলিল, কিন্তু কালে চোখের দৃষ্টিতে, গলার স্বরে, হাত নাড়ার মুকুমার ভঙ্গীতে সে দিনে দশ বার করিয়া তাহার পিতাকে মনে পড়াইয়া দিতে লাগিল যে সে শৈলজার মেয়ে । প্রিয়বালা মনে মনে জলিতে লাগিলেন । মৃণালকে মুখে কিছু বলিতে পারেন না, হাজার হউক সবে মাত্র তিনি এ-সংসারে আসিয়াছেন, তাহার দাবী আর কতটুকু ? ইহার মা ত তবু পাচ-ছয় বৎসর স্বামীর ঘর করিয়া গিয়াছেন, সন্তানের জননীও হইয়া গিয়াছেন। মরিয়াও এখনও তিনিই জিতিয়া আছেন । প্রিয়বাল মৃণালকে মুথে কিছু বলিলেন না বটে, তাহাকে থাইতেওঁ দিতেন, লোকদেখানে যত্নও করিতেন, কিন্তু সংসারটা তাহার নিজের কাছে বিস্বাদ হইয় গেল । তাহার থাইয়া স্বথ নাই, শুইয়া মুখ নাই । চোখের দৃষ্টিতে মনের ঝাঝ যেন ঠিকরাইয় পড়ে। মুগাঙ্ক ব্যাপার দেখিয়া দfময় গেলেন । দুই বৎসর হচত, গুgাইয়া একল লক্ষ্মীছাড়া জীবন যাপন কfরয় তাহার অরুচি ধরিয়া গিয়াছিল। তাই বিবাহ করিয়াছিলেন, এবং আর কিছু না পান, আরাম পাইয়াছিলেন। শৈলজাকে বিবাহ করিয়ু তাহাকে লইয়। প্রথম সার-রচনার যে অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ তিনি লাভ করিয়াছিলেন, এই দ্বিতীয়বার পাতা সংসারের মধ্যে, প্রিয়বালার সাহচর্য্যে সে আননা অবশ্য তিনি প্রত্যাশ করেন নাই, পানণ্ড নাহ। আরামটুকুর খাতিরেই তিনি নীচু ধরে, অর্থের প্রত্যাশ ন-রাখিয়াও বিবাহ করিয়াছিলেন । নিশ্চিস্ত আরামের চেয়ে অধিক কাম্য তখন তাহার আর fকছুই ছিল না। সেই আরামহ ঘূদি টুটিয়া যায়, প্রিয়বালা যদি রাগ করিয়া সুক্তনিতে টক দিয়া দেন এবং উন্মন। হহয়! বিছানা ঝাড়িতে ভুলিয়া যান ও ভাল কথা বলিলেণ্ড ঝঙ্কার দিয়া উত্তর দেন, তাহা হইলে বিবাহ করিয়া আর লাভ হইল কি ? তাহার চেয়ে মেয়ে যেমন মামার বাডীতে ছিল তাই ন হয় থাকু। এমন ত - যে সেখানে কিছু অযত্ন হয় ? মামা, মামী দুই জনেই তাঁহাকে ধথেষ্ট মেঙ্গ করেন, তাহার। ত মৃণালকে এখানে পাঠাইতেই চান নাই । খরচও মৃগাঙ্ক দিতে রাজী, যদি মল্পিক-মশায় নিতে রাজ? থাকেন। সারারাত ধূলাবালিভৰ্ত্তি বিছানায় শুইয়া, যত ঘুমের ব্যাঘাত হইতে লাগিল, ততই মেয়েকে অবিলঙ্গে মামার বাড়ী পাঠাইয়া দিবার সঙ্কল্প মুগাঙ্কের মনে দৃঢ়তৰ হইতে লাগিল । সকালে উঠিয়াই তিনি বfললেন, “আমি বলি কি, খুfক তার মামার বাড়ীই থাকুক এখন কিছুদিন ।” প্রিয়বালাও ত তাত চান, কিন্তু তৎক্ষণাৎ রাজী হইয় গেলে লোকে বলিবে কি ? তাই বলিলেন, “এই সবে এল, দুদিন না থেকেই চলে যাবে ? লোকে আমায়ই ত দুধ:ে বলবে সৎমা-মাগী ঘরে ঢুকেই পর ক'রে দিলেক গা ।” মৃগাঙ্ক মনে মনে বলিলেন, “নিতান্ত মিথ্যা বলবে না, কিন্তু মুয়োরাণীর মুথের উপর আর সেকথা বলিতে তাহা সাহস হইল না। বলিলেন, “ বলে ত বয়েই গেল। আমরা কারও থাইও না, না। খুকির একলা এখানে ভাল লাগে না, মামার বাড়ীt • ভাই বোনে মিশে বেশ থাকবে । তোমারও খাটুনি বাড়ে না, তা বলবে কে৮ : *fr