পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৬ প্রষণসী సిలిgg তন্মধ্যে তিন-চারখানি মারবুর্গ ধাৰ্ম্মিক-সংগ্রহালয়ে বন্ধুবর প্রফেসর রুদলফ, অটে। মারফৎ পাঠাইয়াছিলাম, আরও দুই-চারিটি প্রতিশ্রুতি-অতুধায়ী অন্য বন্ধুবান্ধবকে দিয়াছিলাম, বাকি ১৪০খানি চিত্ৰপট পাটনা মুজিয়মকে দান করি, সেগুলি সেখানেই স্বরক্ষিত। পুস্তকের মধ্যে থম্ ( পূৰ্ব্ব-তিব্বত ) মঙ্গোলিয়া ও সাইবিরিয়ায় ছাপা পুস্তকও সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম । 彎 鬱 籌 ১৬৪১ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি পঞ্চম দলাইলাম সুমতিসাগর মঙ্গোল-রাজ গুণী খী কর্তৃক তিব্বতের রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তাহার পূৰ্ব্বে পঞ্চম দলাইলাম ডে-পুঙ বিহারের এক ড-ছঙে খন্‌-পো অর্থাৎ অধ্যক্ষ পণ্ডিত ছিলেন। পঞ্চম দলাইলামা নিজের মঠের খ্যাতি বুদ্ধির জন্য প্রতি বর্ষে নববর্ষ-প্রারম্ভের ২৪ দিন পৰ্য্যস্ত লাসায় ডে-পুঙ মঠের ভিক্ষুদিগের রাজত্বের অধিকার দেওয়ার নিয়ম প্রবর্তন করেন এবং অদ্যাবধি সেই নিয়ম বর্তমান আছে । শাসনের জন্ত দুই জন অধ্যক্ষ, এক জন ব্যাখ্যাত। এবং অন্য লোকজন নিযুক্ত হয়। ঐ ২৪ দিন লাসায় সরকারী পুলিস, আদালত প্রভৃতির অধিকার থাকে না এবং নেপালী ভিন্ন অন্য সকল দোকানদারকে কিছু শুষ্ক দিয়া লাইসেন্স লইতে হয় এবং এই ব্যাপারে ভুলভ্রাস্তি হইলেই জরিমালার অন্ত থাকে না। জরিমান এদেশে সৰ্ব্বঘটে আছে, লোকে বলে এখানে জেল-দও হয় না, কেন-না, তাহাতে সরকারের কোন অর্থাগম নাই । সরকারী সকল উচ্চপদই ত অর্থবলে ক্রয় করিতে হয় । অধিমাস এক সময় না হওয়ায় ভোট ও ভারতীয় চান্দ্র বর্ষ একসঙ্গে আরম্ভ হয় না। এইবার ভোট বৎসর পয়ল মার্চে পড়ে এবং এই বৎসরে দুইটি নবম (শূকর) মাস ঠিল । ডে-পুঙ মঠ হইতে ভারপ্রাপ্ত শাসকবৰ্গকে দলাইলামার নিকটে ২৪ দিন লাসা শাসন করিবার পরওয়ানা লইতে হয়। ২রা মার্চ দেখিলাম রাস্তাঘাট শুধু পরিষ্কার নহে, উপরন্তু প্রত্যেককে নিজ গৃহের বা দোকানের সন্মুখস্থ অংশে শ্বেত মৃত্তিকায় “চৌকা” কাটিয়া সাজাইতে হইয়াছে। সেই দিনই লাসার অস্থায়ী শাসকদ্বয় ঘোড়ায় চড়িয়া সদলে লাসায় আসিয়া, আমার বাসস্থানের পূর্বদিকে কিছু দূরে এক চত্বরে, নাগরিকদিগকে আহবান করিয়া ৫৪ দিনের জন্ত নূতন শাসন পদ্ধতি ঘোষণা করিয়ু পোতলার প্রাচীন জে-খণ্ড মন্দিরে যাইলেন । পাসক-নিৰ্ব্বাচনে বোধ হয় মানসিক অপেক্ষ দৈহিক বিস্তৃতির উপরই অধিক লক্ষ্য রাখা হয়, কেন-ন, ইহার দুই জনেই ছিলেন বিরাটকায় পুরুষ। ইহাদের সঙ্গের রক্ষীবর্গ সাড়ে-চার হাত লম্বা ও তিন-চার ইঞ্চি ব্যাসের লগুড় লইয়া “ফা কু্য ক্যে ! পী কো মা শমো” ( হটে যাওঁ ! টুপি খোলে ) বলিয়৷ চীৎকার করিয়া চলিতেছিল । কাহারও যদি ভুলক্রমে আজ্ঞাপালনে মুহূৰ্ত্তমাত্র বিলম্ব হইল ত তৎক্ষণাৎ তাহার পৃষ্ঠে ও মস্তকে উক্ত প্রচণ্ড “দুঃখভঞ্জন ঔষধ” পড়িল । দলাইলামার ‘পোতলা” প্রাসাদে এই উপলক্ষ্যে মেলা বসে। দর্শকগণ সমতলভূমির অভাবে অলিগলি, সিড়ি, ছাদ ইত্যাদি সকল স্থানেই ভীড় করিয়া থাকে। চা-রুটি ও খাবারের দোকানও অনেক বসে ; আমরা দেখিলাম একটি বিশ-পচিশ হাত উচু থামের উপর এক জন বাঙ্গীকর খেলা দেখাইতেছে, চারি দিকে লোকে লোকারণ্য, এবং স্বয়ং মহাগুরু তাহার বৈঠকের খিড়কিতে দুরবীন-হস্তে বসিয়া আছেন। ফিরিবার সময় দেখিলাম ডে-পুঙ মঠের সহস্রাধিক ভিক্ষু পিপীলিকার মত সারিবন্দীভাবে মোটঘাট লইয়৷ পোতলার সম্মুখ দিয়া লাসায় আসিতেছে । শুনিলাম ইহার চব্বিশ দিন লাসায় থাকিবে । এই নববর্ষ-উৎসবে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার দর্শক ও তীর্থধাত্রী লাসায় আসে, সুতরাং রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা ছাড়াও অনেক ব্যবস্থা করিতে হয় । পানীয় জলের ব্যবস্থা অতি অপরূপভাবে করা হয় নববর্ষের কয়দিন পূৰ্ব্ব হইতেই জল-সরবরাহের নালীর জল দিয়া শহরের যত গৰ্ত্ত পূর্ণ করা হয় যাহাতে সাধারণ কূপগুলি জলশূন্ত না হয়। ব্যবস্থা উত্তম কিন্তু মুখের বিষয় জল ভৰ্ত্তি করার পূৰ্ব্বে সেই গৰ্ত্তগুলি পরিষ্কার কর! হয় না, সুতরাং মৃত পশুর গলিত দেহ হইতে আরম্ভ করিয়া সকল প্রকার মল-আবর্জনাই ঐ জলে ভাসিয়া চতুৰ্দ্দিক দুৰ্গদ্ধে পূর্ণ করে এবং সেই জল মাটির ভিতর দিয়া চুহম শহরের সাধারণ ব্যবহার্ষ্য অগভীর কাচা ৰূপগুলিতে যাওয়ায় নানা প্রকার ব্যাধিরও প্রকোপ বাড়ে । এই সময়