পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

守ラiでF | যখন এই দ্বীপটি ডুবিয়া যায় তখন ঐ বিরাট ত্রিকোণাকার শিলাটি মাত্র জাগিয়া থাকে। পরদিন প্রাতে যাত্রা করিয়া জামরা জম্‌-লিঙ গ্রামে পৌছিলাম। কিছু দূরে এক নালার কাছে নেপালের বৌদ্ধ গুপের মত একটি স্তুপ দেখা গৈল । ব্ৰহ্মপুত্রের এই উপত্যক অঞ্চল যথেষ্ট গরম এবং এখানে বহু আখরোটের বৃক্ষ আছে । চেষ্টা করিলে আরও অনেক ফল এখানে অনায়াসেই উৎপাদন করা যায় কিন্তু সনাতন ধৰ্ম্মের কৃপায় তাহ হওয়া সম্ভব নহে। নৌকার মাঝি বলিয়াছিল এখান হইতে সমূ-য়ে লইয় যাইবার লোক জোগাড় করিয়া দিবে কিন্তু কাৰ্য্যত: তাহার কোনও লক্ষণ না " দেখায় আমরা স্থির করিলাম যে তিন মাইল পথ মাত্র ব্যবধান পার হইয়া fবহারেই আশ্রয় লইব । ব্ৰহ্মপুত্র ও উই-ছু নদীর ত্রিবেণীর উত্তরের অঞ্চলকে এদেশে উচ-যুল ( মধ্যদেশ ) ও দক্ষিণে ছু-শরের নিকট fরবেণীর নীচের অঞ্চলকে স্হেী-থা ( দক্ষিণ দেশ ) বলে । ব্ৰহ্মপুত্রের উপর পশ্চিম অঞ্চল টশীলামার চাঙ প্রদেশ ও পূৰ্ব্ব দিকে পূহে-থা প্রদেশ। বর্তমান ( এখন গত) দলাইলামা ও টশীলামা উভয়েই এই প্রদেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । নৌকা হইতে নামিয়া পাহাড়ের ধার দিয়া সম্-য়ের দিকে চলিলাম। পথে পৰ্ব্বতগাত্র হইতে খোদিত ছোট ছোট সুপ দেখিলাম, যেরূপ আমাদের দেশের গুহ বিহারে আছে। এই সব দেখিতে দেখিতে দুই বট চলিবার পর সম্য়ে বিহার দেখা দিল । সমতলভূমির উপর চারি দিকে দেওয়াল-ঘেরা এই বিহার বস্তুতই ভোট অপেক্ষ ভারতেরই কথা মনে করা য়া দেয়। বিহারের চতুদিকে ফলহীন বৃক্ষের বাগানও আছে । পশ্চিম দ্বার দিয়া প্রবেশ করিডে পরিক্রমায়ু চীনদেশের কালোচশমাযুক্ত এক ভিক্ষুর সঙ্গে দেখা হইল। হনি সিকিম দেশের লোক এবং উর্গেন-কুশে নামে পরিচিত। তিনি কিছুক্ষণ অতিশয় প্রীতির সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিবার " তাইfর লোককে সঙ্গে দিয়া আমার থাকিবার ব্যবস্থা নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর

করিয়া দিলেন। সেদিন কেবলমাত্র আরামে শ্রাস্তি দূর করিলাম । ভোট দেশের গ্রন্থে লিখিত আছে যে, সম্-য়ে বিহার আচার্ধ্য শাস্তরক্ষিত উড়ন্তপুরী বিহারের অনুকরণে করাইয়ছিলেন। উড়ন্তপুরী নিৰ্ম্মাণ করেন মহারাজ ধৰ্ম্মপাল, তাহার শাসনকাল ৭৬১-৮৯ খ্ৰীঃ পৰ্যন্ত । সমূ-য়েনিৰ্ম্মাতা সম্রাট, ঠি-সোঙ দে-চন্‌ ভোট শাসন করিয়াছিলেন ৭৩০-৮৪ খ্ৰীঃাঝে, এবং সমৃ-য়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ৭৫১-৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দে। ভিতরের চরি কোণের চারি ইষ্টকময় স্তুপ (শুপশিখরে এখনও প্রাচীন ভারতের স্তুপের ন্যায় ছত্র বিরাজ করিতেছে ) নিশ্চয়ই নবম শতাব্দীর মধ্যে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। আশেপাশে বহু চন্দ্র-স্থধ্যযুক্ত বজ্রধান স্তুপ রহিয়াছে, এবং সকলের মধ্যে গ চুগ-লগ-খণ্ড, বিহার রহিয়াছে। একবার এখানের প্রায় সকল অট্টালিকাই অগ্নিদগ্ধ হইয়া যায়, পরে একাদশ শতাব্দীতে র-লোচ-ব পুননিৰ্ম্মাণ করেন। বিহার প্রায় চতুষ্কোণ এবং ছয়-সাত হাত উচ্চ দেওয়ালে ঘেরা, ইতার চার প্রধান দিক-কোণে চারটি দ্বার আছে। মধ্যস্থলে প্রধান বিহার যাহার চারি দিকের পরিক্রমায়ু ভিক্ষুদিগের জন্য দ্বিতল আবাস আছে। মূলবিহার প্রায় সমস্তই দারুময় ও ত্রিতল, নীচের তলায় বুদ্ধমূৰ্ত্তিই প্রধান। বাহিরে আচাধা শাস্তরক্ষিতের বৃদ্ধাবস্থার মূৰ্ত্তি আছে, সঙ্গে তাহার ভোট দেশীয় ভিক্ষু শিষ্য বৈরাচন ও গৃহস্থ শিষ্য সম্রাট, ঠি-স্রোঙ-দে-ন এই দুই জনেরও মূৰ্ত্তি আছে। শত বৎসর বয়সে দেহরক্ষা করার পর বিহারের পূর্ব দিকের এক পাহাড়ে এক গুপ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার দেহ না জালাইয়া রাখিয়া দেওয়া হয় । সার্ধ দশ শতাব্দীর উপর ঐ গুপ হইতে তিনি নিজহস্তে রোপিত এই ক্ষেত্র দর্শন করিবার পর, চল্লিশ বৎসর পূর্থে ঐ জীর্ণ স্ত,প যায়। সূপের ভিতর হইতে তাহার কম্বাল ও বাহির হইয়া পড়িলে এখানের লোকে তাহ সযত্বে আমিয়া এক কাচময় আধারে স্থাপন করিয়৷ বিহারের প্রধান বুদ্ধমূৰ্ত্তির সম্মুখে রাখিয় দেয়। যখন আমি সেই আধারের সম্মুখে দাড়াইয়া তাহার সেই বৃহৎ করোটি দেখিলাম তখন আমার মনের অবস্থা অবর্ণনীয়। ৭৫ বৎসর পার হুইবার পর দুর্গম হিমালয় পার হইয়া ধৰ্ম্মবিজয়, এবং তদুপরি ૭ff૭૬ করোটি