পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

nes প্রৰণসী SN983 ভারতীয় দর্শনশাস্ত্রের উজ্জল দর্পণ নিৰ্ম্মাণ (বড়োদার ছাপাখানার কৃপায় ইহা এতদিন পরে আবার জগতে প্রচার হইতেছে এ এক আশ্চর্ষ্য ব্যাপার । বিহারের দ্বিতীয় তলে অমিতায়ু মূৰ্ত্তি রহিয়াছে দেখিলাম, তৃতীয় তল শূন্য। তাহার পর “দ্বীপগুলি দেখিতে গেলাম। প্রথমে জম্বুদ্বীপ, এখানে অবলোকিতেশ্বরমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত এবং তাছার নিকট দ্বীপনির্মাতা রাণী নেতুঙ-চুন-মো চন্দনকাষ্ঠে বিরাজ করিতেছেন। তাহার পর গাগৰ্ব-fগ্নঙ ( ভারতদ্বীপ ) । এইখানে সেই সৰ্ব্বজ্ঞ ভারতীয় পণ্ডিতগণ থাকিতেন র্যাহীদের পরিশ্রমের ফলে সহস্ৰ ভোটগ্রন্থে এখনও মানব-দানব ও কালের অত্যাচারে ভারত হইতে লুপ্ত প্রাচীন ভারতীয় রত্বরাজি ভোটভাষায় বর্তমান ইহানের সদত গ্রন্থের সংগ্রহ দেখিয় ১৯৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দেও ਾਂ দীপঙ্কর ঐজ্ঞান বিস্মিত হইয় বলিয়ছিলেন—এখানে অনেক পুস্তক দেখিতেছি যাহ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও দুষ্প্রাপ্য। দুঃখের বিষয়, পরবর্তী নিৰ্ব্বোধদিগের সময় ঐ অমূল্য গম্বরাজি অগ্নিতে ভস্মীভূত হয় এখন যাহারা এই বিহারের রক্ষক তাহাদের কথ! মা বলাই ভাল । আমার পক্ষে এদেশের তাম্রমুদ্রার ভাং লইয়া চলাচল করা ফুরূহ ছিল, স্বতরাং কয়েকথানি চিত্র ও পুস্তক এখানে সংগৃহীত হইল । কিছু বেশ অর্থ সঙ্গে থাকিলে আরও অনেক জিনিষ পাঠকে পারিতাম । ፵፰oሮ চিত্র-পরিচয় “প্রিয়-প্রসাধন” পুকুরবা কেশী দানবের হাত হইতে উৰ্ব্বশকে রক্ষা করিলে ও তৎপর তাহারা পরস্পর অমুরক্ত হইলে পুকুরবার পাটরাণী রাজার প্রতি অভিমানবশত প্রস্থান করিলেন । পুকুরবার সঠিত রাণীর বিবাদভঞ্জনের কাহিনী এই চিত্রে বর্ণিত আছে ---“এমন সময় চেটা আসিয়া খবর দিল, রাজার কাছ হইতে গিয় অবধি রাণী উপবাস করিতেছেন । তাহার এক ব্ৰত আছে, সেই ব্রত আজ সাঙ্গ হইবে । কিন্তু রাজার নিকট ন! আসিলে সে ব্ৰত আজ উদ্‌যাপন হইবার কোনো সম্ভাবনা নাই । তাই তিনি অকুনয়বিনয় করিয়া একবার দেখা করিবার জন্তু বড় ব্যস্ত হইয়াছেন । ত্রতের কথা শুনিয় রাজা বলিলেন, তিনি আসুন । রাণী আসিলেন ; সঙ্গে অনেক চটি অনেক পূজার জিনিষ রুইয়৷ আসিয়াছে । রাণ রাজাকে পূজা করিলেন । ফুল দিলেন, মালা দিলেন, চক্ষণ দিলেন, ভাল ভাল খাবার জিনিব দিলেন ।•••রাণী আৰুতি করিলেন পূজার অঙ্গ শেষ গুষ্টলে গলায় কাপড় দিয়া বলিলেন, ‘আজ অ’ আমার স্বামী যাঙ্গকে ভালবাসিবেন, আমিও তাঙ্গাকে ভালবা"ি এই ত্রতের ন · সে আমার ভগিনী হুইবে । এই আমার ব্ৰত । প্রিয়-প্রসাধন " —শুধুপ্রসাদ শাস্ত্রী