পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°8受 গবক্ষ্মেন্টের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন, তখন ঐ গবন্মেণ্ট যথাযোগ্য অনুসন্ধানান্তে এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হন, যে, তাহারা আগুামান দ্বীপপুঞ্জকে আর দণ্ডিতদের নির্বাসনস্থানরূপে ব্যবহার করিবেন না। সরু উইলিয়ম ভিক্সেণ্ট বিশেষ করিয়া বলিয়াছিলেন, রাজনৈতিক বন্দীদিগকে ও সৰ্ব্ববিধ বন্দিনীদিগকে সেখান হইতে ভারতবর্ষে আনা হইবে । সৰ্ব উইলিয়ম বলেন, এই প্রকারে ভারতশাসনের একটি ব্লট বা কলঙ্ক মুছিয়া ফেলা হইবে। ভারত-গবক্সেণ্ট এখন যাহাই বলুন, ১৫/১৬ বৎসরের মধ্যে আণ্ডামান-নরক ভূস্বর্গে পরিণত হয় নাই ; এবং গত বৎসর গবষ্মেন্ট কর্তৃক প্রেরিত রায়ুজাদা হংসরাজ আগুণমান হইতে ফিরিয়া আসিয়া সেদিনও বলিয়াছেন, বন্দীদের তথায় বাস নরক বাসের তুলা । যুক্তপ্রদেশের গবন্মেষ্ট ভারত-গবক্সেণ্টকে অনুরোধ করিয়াছেন, ষে, যুক্তপ্রদেশের দণ্ডিত কয়েদীদের মধ্যে যাহারা আণ্ডামানে আছে তাহাদিগকে যুক্তপ্রদেশে ফিরাইয় আনা হউক এবং ভবিষাতে যুক্তপ্রদেশের কাহাকেও তথায় আর যেন পাঠান না হয়। বিহাৰ-গবন্মেণ্টও এইরূপ অনুরোধ করিয়াছেন । অতএব আগুামানের বন্দীদের তৃতীয় দাবীটি অযৌক্তিক নহে । সমুদয় বন্দীকে একশ্রেণীভূক্ত করিয়া গ্রাসাচ্ছাদন বাসগৃহ প্রভৃতির ব্যবস্থা উন্নততর করা হউক, এই “দাবী" বহুবার ভারতবর্ষের বড় নেতা করিয়াছেন। যুক্তপ্রদেশের গবন্মেস্ট সম্প্রতি তাহাদের যে কৃত্য-তালিকা ( প্রোগ্র্যাম) প্রকাশ করিয়াছেন, জেলসমূহের এবং কয়েদীদের অবস্থার উন্নতি তাহার অন্তর্গত । রাজনৈতিক বন্দীর সাধারণতঃ সেই শ্রেণীর লোক যাহাদিগকে “ভদ্রলোক’ বলা হয়। গবন্মেটি যখন কয়েদীদের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ করিয়াছেনই এবং যে নিজের বাড়ীতে শ্বেরূপ গ্রাসাচ্ছাদনে অভ্যস্ত তাহাকে জেলেও কতকটা সেইরূপ গ্রাসাচ্ছাদন দেওয়া যখন এই শ্রেণীবিভাগের উদ্দেশু বলিয়া কথিত হইয়াছে, তখন রাজনৈতিক বন্দীদিগকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ফেলাই সঙ্গত । “দাবীগুলি সম্বন্ধে জামাদের শেষ একটি বক্তব্য আছে। সকলেরই ©बांजनौ | ১Nষ্ট৪৪ যে-সকল সভ্য দেশে গণতন্ত্রমূলক স্বশাসন প্রবর্তিত আছে, তথায় সাধারণ কয়েদী অন্ত দেশেরই মত, অল্পাধিক, অাছে। আমাদের দেশে যত রকম আইন, রেগুলেগুন, অর্ডিম্ভান্স প্রভৃতির প্রয়োগ দ্বারা যত মাহুষ দণ্ডিত ও কারারুদ্ধ হয়, ঐ সব দেশে তাহ হয় না। এই জন্ত রাজনৈতিক বন্দী নামক এক শ্রেণীর বন্দী তথায় নাই, বা খুব অল্পসংখ্যক আছে । কোন দেশ স্বশাসন-অধিকার পাইলে তথাকল্পি পূৰ্ব্বেকার আমলের রাজনৈতিক বন্দীরা, সশস্ত্র বিদ্রোহ অপরাধে দণ্ডিত কয়েদীরা পর্য্যস্ত, খালাস পায়—সবু জন অা গুণসনের পরামর্শে আয়াল্যাণ্ডেও পাইয়াছিল । কংগ্রেসী প্রাদেশিক গবষ্মে ণ্ট যে ছয়টি প্রদেশে প্রবর্তিত হইয়াছে, তথাকার কংগ্রেসী নেতারা মনে করেন র্তাহার! স্বশাসনঅধিকার পাইয়াছেন । এই জন্ত ঐ সব প্রদেশে রাজনৈতিক বন্দীরা খালাস পাইতেছে এবং স্বশাসক দেশের অন্যান্থ স্ববিধাও তথায় প্রবর্তিত করিবার চেষ্ট হইতেছে । গত ২১শে শ্রাবণ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপরিষদে স্বরাষ্ট্রসচিব খাজ। সর নাজিমুদিন বলেন, “আমি সদস্যদের নিকট এই নিবেদন করিতেছি, বর্তমান শাসনতন্ত্রে আমরা সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন লাভ করিয়াছি ; এক্ষণে শাসনকার্ষ্যের দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের।” তাহা হইলে বাংলা দেশও স্বশাসন-অধিকাৰ পাইয়াছে । স্বতরাং অন্ত কোন দেশ ঐ অধিকার পাইলে তথায় যেরূপ রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে, বঙ্গেও সেইরূপ পরিবর্তন ঘটুক, এরূপ অকুরোধ বা “দাবী" অযৌক্তিক লা বিবেচনার অযোগ্য নহে । এখানে বলা আবশ্বক, যে, আমাদের মতে ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন আইন ভারতবর্মকে বা তাঙ্গর প্রদেশগুলিকে স্বশাসন-অধিকার দেয় নাই, যদিও সরকারী মত বলে, যে, দিয়াছে । কোন দেশ স্বশাসন-অধিকার পাইলে রাজনৈতিক বন্দীদের সম্বন্ধে বিবেচনা করিবার যে রীতি আছে, তাহার কারণ এই, যে, তাহার দেশের জঙ্ক স্বশাসন-অধিকবি অর্জন করিবার চেষ্টা করিয়াছিল—যদিও অবশ্ন তাই বে-আইনী উপায়ে করিয়াছিল।