পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- نیمه ها می بوه چه কক্ষান্তরে মেমােটর-খিল খিল হাশুধ্বনি শোনা গেল এবং হনয়নীর বুর্কে সেই হাসির শাণিত তীর সজোরে আসিয়া বিঁধিল । ছটফট করিতে করিতে তিনি উঠিয়া বসিলেন । ঐ হাসির বিষাক্ত তীর বাহির করিতে না পারিলে তাহার মৃত্যু বুঝি অনিবাৰ্য্য ! তাহার কেবলই মনে হইতে লাগিল, প্রাসাদের সমস্ত প্রসাদ ভোগ করিবেন, অথচ পাঁচ জনের কাছে সে কাহিনী বর্ণনা করিয়| সেই তীব্র সুখকে হয়ত আর উপভোগ করিতে পারিবেন না ! এই প্রবাসী ১৩৪৪ হাসি তাহার আজন্মপোষিত মনোবৃত্তিকে পলে পলে দ করিয়া দিতেছে - •• । পুনরায় তিনি শুইয়া পড়িয়া দুই হাতে কান ঢাকিয় রমলার ভালবাসা, সম্পদের আড়ম্বর এবং আপনার লাভবে প্রাণপণে স্মরণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু আশ্চৰ্য্য, এই পরম প্রাপ্তির উল্লাসকে মনের মধ্যে যতই নিবিড় করিয়ু রচনা করিতে লাগিলেন, স্বনয়নীর চোখের কোলের আদ্রতা ততই যেন বিন্দু রচনায় অদম্য হইয়া উঠিল । নিবেদন ঐনিরুপমা দেবী তুমি কবি সে দিঠি উদাস, তুমি আঁক ছবি সে ললিত তমুর বিলাস, তুমি গাহ মধুময় গান মোর কর-পরশনে সকল মাধুর্ঘ্য তুমি কর রসবান। একদিন নিরজনে অামি লোভী রূপায়িত হ’ল মনে রূপের প্রকাশ ! আমি নহি কবি বুঝিলাম তব গান হৃদয় ভরিয়া করি পান নিতে চাহে প্রাণ ভাবের নিঝর-ধারা তব মধু দান। নিতে চাহে রসময় রূপ এই মত আজীবন আমার পরশে ফোটে ও তোমার স্বরের স্বরূপ । তুমি দাও আমি শুধু ভরে নিই মন । অরূপের রসধারা আত্মহারা তার পর একদিন আমার আস্তর তোমার গানের মায়াজালে একান্ত আড়ালে বুনিয়াছে যে স্বপনখানি, তব বাণী আনিয়াছে দূরাগত যে মোহন বাণী গৃহছাড়া মরম উদাসী ; যে নিবিড় বনানীর ছায়। স্বপ্নময়ী যে নিটোল কায়া প্রণয়ের স্বরগের মায়ালোক হ’তে ভাসিয়া আসিল মনে কল্পনার স্রোতে ; ছিল যাহা বাণী আমরায় ধরা দিল কেন আসি রূপের কারায় ? ফুলে যাহা অপরূপ রূপ হয়ে রাজে রসরূপে তাই ফিরি আসি ফলমাঝে এক দিন ধরা দিয়ে যায় ; যে মাটি জোগায় ফুলে রূপ ফলে রসরাশি অরূপেরে স্বরূপে বিকাশি সে মাটিরে করে নিবেদন ফল তারি রসারি মধুর জীবন । তোমার দানেতে ঋণী হয়ে কবি আমি আনিয়াছি বয়ে সেই মোর জান ! আমি বি ভুমি নিবে রাখিবে সম্মান ।